আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
307 views
in পবিত্রতা (Purity) by (75 points)

আসসালামুআলাইকুম, 

১।অনেকদিন আগে আমার বাবা পানি দিয়ে ফ্রিজ ধোয়া-মোছা করেন।তারপর সে ফ্রিজে থাকা ডিম গুলো পানিতে ধুয়ে ফেলেন।সে একদম ফ্রিজ ধোয়া শেষে ডিমগুলো পানিতে ধোয় ,নাকি ধোয়ার মাঝখানে ধোয় তা আমি দেখিনি।আমি পরে বলি এভাবে বালতির পানিতে ডিম ধুয়ে রাখলে কেন;ডিমের বাহিরের অংশে অনেক সময় মুরগির বিষ্ঠা থাকে।তখন মা বলে সে বাজার থেকে আনার পর ডিমগুলো ধুয়ে রেখেছে। কিন্তু কিছুদিন পর আবার বাজার থেকে ডিম আনলে মা একটা ৫ লিটারের যে রংয়ের ডিব্বা থাকে তাতে পানি নিয়ে সবগুলো ডিম সেখানে ঢেলে একটা একটা করে ধুয়ে উঠাচ্ছিল।আমি তখন বলি এভাবে ধোও কেন?অল্প পানির ভেতর নাপাকি পরলে পুরো পানি নাপাক হয়ে যায় ।তাই পরে একটা ঝুরির মধ্যে ডিমগুলো নিয়ে বেসিনে ট্যাপ ছেড়ে তা ধোয়া হয়।ঝুরির নিচে অনেকগুলো ফুটো ছিল যা দিয়ে সব পানি বের হয়ে যেত। এখন আগের বার সে এভাবে ধুয়েছিল কিনা তা আর জিজ্ঞাসা করা হয় নি। এখন হয়তো ভুলে গেছে।

এখন আমার প্রশ্ন আমি কি করতে পারি ।আমাকে মাঝে-মাঝেই এই বিষয়টা অসওয়াসা দেয়। আমি কি এখন এই বিষয়টা এড়িয়ে যাব এবং পুরো ফ্রিজকে পাক ভাববো ?যাহেতু আমি জানি না আব্বু ডিমগুলো পানিতে ধোয়ার পর সেই পানি দিয়ে আবার ফ্রিজের কোন অংশ ধুয়েছেন কিনা;না সর্বশেষ ডিমগুলো পানিতে ধুয়েছেন ।অনেকদিন হওয়াতে হয়তো আব্বুও বিষয়টা ভুলে গেছেন। আর ডিমগুলোতে যেহেতু খুবই সামান্য অদৃশ্য নাপাকি ছিল(যদি আম্মুর ধোয়া ভুল হয়ে থাকে)তাতে কি পুরো বালতির পানিকে নাপাক করবে? আমি আবশ্য পরে শুধু ডিম রাখার ট্রে টা ধুয়ে ফেলি।

সর্বোপরি আমার এখন কি করা উচিত?

২।অনেক সময় বাজার থেকে ডিম কিনে আনা হলে ডিমের বাহিরের ময়লা অনেক ধোয়ার পরেও যেতে চায় না।বেশি জোরে চাপ দিয়ে ধুতে গেলে ভেঙ্গে যায়।আবার অনেক সময় মুরগির বিষ্ঠা লেগে আছে নাকি মুরগির খাবার লেগে আছে বুঝা মুশকিল। এক্ষেত্রে কি করতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (711,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) শুধুমাত্র ডিমের ট্রে-কে ধৌত করে নিলেই চলবে। সমস্ত ফ্রিজকে ধৌত করতে হবে না। ঝুরির মধ্যে ডিমগুলো নিয়ে বেসিনে ট্যাপ ছেড়ে ধৌত করার পদ্ধতিই সঠিক পদ্ধতি। 
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪) (শেষ)

(২) যথাসম্ভব ধৌত করার চেষ্টা করতে হবে। যদি শতচেষ্টা করার পরও ঐ নাজাসত না যায়, তাহলে ঐ নাজাসতকে দূর না করলেও ফ্রিজে কোনো সমস্যা হবে না। বেশী জোর করে ধৌত করার প্রয়োজন নাই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (75 points)
ডিম বালতির পানিতে যে ধোয়া হয়েছিল,সেই পানি দিয়ে ফ্রিজ ধোয়া হয়েছিল কিনা ?আর ডিমের ট্রে এমন যে সেখানে ডিম ধুয়ে রাখলে ,তা থেকে পানি ঝরে ফ্রিজের অন্য জায়গায় পড়বে।
এই বিষয়গুলো কি বেশী ভাবাভাবি না করে এড়িয়ে যাব? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...