আমি গত ৩-৪ বছর যাবত জিন দ্বারা ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত ও কুরান সহ্য হয়না। জাদু সংক্রান্ত বা রুকইয়াহ সম্পর্কিত আয়াত গুলো শুনলে ঘুমিয়ে পড়ি ও কখনো সেন্সলেসের মত হয়ে যাই। একবার তো পাগল হয়ে গেছিলাম, রুকইয়াহ করেও সুবিধা করতে পারিনি, উলটো হাসপাতালের ইমার্জেন্সি থেকে ঘুমের ইনজেকশন দেয়া হয়েছিল।
স্বভাবগত ভাবে আমি ঠান্ডা প্রকৃতির মানুষ যে সহজে রাগেনা। একটা সময় দ্বীন প্র‍্যাক্টিস করতাম। জিনগত সমস্যার পর থেকে কুফরি চিন্তা আসে। মাঝে মাঝে পাগলামি করি আর আল্লাহ বিরোধী কথা বলি। আমার মনে হয় এগুলো বলিনা। আমাকে দিয়ে বলানো হয়। আমি জোর করে নামাজ পড়ি আর মুনাজাতে দুয়া করি। ইচ্ছা একদম ই করেনা। কিন্তু জোর করে পড়ার চেস্টা করি। কুরানের প্রতি ঘৃণা কাজ করলেও নিয়মিত কুরানের আয়াত শুনি। আর ইস্তিগফার করি। অথচ আল্লাহর ইবাদত আমার কাছে নেশার মত ছিল। আমি অনেক মজা পেতাম। আর প্রচুর দুয়া করতাম।
যাই হোক, প্রথম সরাসরি রুকইয়াহ এর পর ২০ দিন সেল্ফ রুকইয়াহ করি। পরপর দুদিন স্বপ্নে জীন দেখি। জ্বীন আমাকে বলে, এবার তোকে আরো ভাল করে ধরব। এই স্বপ্নের পর থেকে আর কুরান আর আল্লাহর নাম সহ্য হয়না। প্রচুর রাগ আসে। তবে বর্তমানে জোর করে নামাজ পড়ছি আর কুরান শুনি।
এমতাবস্থায় আমি পরিবারের সাথে খারাপ ব্যাবহার করি প্রচন্ড। এরপর থেকে পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন। আমি আগ বাড়িয়ে ক্ষমা চেয়েছি আর আমার সমস্যার কথা বুঝিয়ে বলেছি। কেউ কেউ বুঝলেও অনেকে মানতে চাইছেনা। আমি বিনয়ের সাথে চেস্টা করেও তারা কথা বলতে আগ্রহী নয়। আমার কোন কথাই শুনতে রাজি নয়। কোন অবস্থাতেই তারা আমাকে মেনে নিতে পারছেনা। তাদের কথা, যখন ইচ্ছা হবে তখন কথা বলবে। আমি আল্লাহর বিধান জানানোর পরেও তাদের মন গলাতে পারিনি।
আমার জানামতে, এক মুসলমানের সাথে ৩ দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখা যায়না। আর আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা যায়না।
এমতাবস্থায়, আমি আগ বাড়িয়ে আর চেস্টাও করতে পারছিনা। আর তারাও নিজে থেকে কথা বলছেনা। আমি কেবল দুয়াই করতে পারি।
এমতাবস্থায় আমি বা আমার পরিবার এর কোন পক্ষ কি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার অপরাধে অভিযুক্ত হবে? আর আল্লাহর বিধান অনুযায়ী, আমাকে কি বর্তমানে দোষী বলা যাবে? যেহেতু, আমি জিন দ্বারা ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ছিলাম আর আন্তরিক ভাবে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি।
আর এ পর্যায়ে কি আমি কাফুর বলে গণ্য হব?