আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (51 points)
edited by
(সত্য ঘটনা)

ধরা যাক, ২৭ বছর বয়সী একজন যুবক যার নাম ক, তাকে তার চাচাত বোনের স্বামী খ এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে সর্বসম্মুখে এমন কিছু বলে যা তার কাছে অপমানজনক মনে হয়। এতে সে পরিবারের কাছে বিচার চেয়েও পায়নি।

এখানে ক হল শালা, খ হল দুলাভাই।

পরবর্তীতে, ক (শালা) এর সাথে খ (দুলাভাই) এর দেখা হয় নির্জনে। কথার পর্যায়ে খ মানে দুলাভাই, ক কে উত্তেজিত করে। এতে ক (শালা) অনেক বাজে ব্যাবহার ও জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।
এখানে, খ (দুলাভাই) একটা চাতুরির আশ্রয় নেয়। সে গোপনে ক (শালা) এর এই আচরণ মোবাইলে রেকর্ড করে পরিবারের সবাইকে দেখায়। এরপর পারিবারিক ভাবে ক (শালা) এর বিচার হয়। কিন্তু সেই বিচারে ক নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেয় এবং আর এমন করবেনা জানায়। উক্ত সালিশে খ (দুলাভাই) নিজেকে বাচাতে কিছু মিথ্যার আশ্রয় নেয়।

অপরদিকে ক (শালা) এর সাথে যে অন্যায় হয়েছে তার বিচার হয়না।

এর কিছুদিন পর ক (শালা) এর বিয়ে। পরিবারকে দাওয়াত দেয়া সত্ত্বেও সবাই যেতে সরাসরি অস্বীকার করে এবিং বকে তারা যেতে পারবেনা। কারণ, সহজেই অনুমেয়। তারা মনে করে, জয়েন্ট ফ্যামিলিতে একজন না গেলে বাকিদের যাওয়া টা অনুচিত। অপরদিকে ক (শালা) খারাপ কাজ করেছে। তার শিক্ষা হওয়া দরকার। অথচ পূর্বে সালিশ হয়েছে আর ক (শালা) ক্ষমাও চেয়েছে।

ক (শালা) এরপরেও সবাইকে রাজি করানোর চেস্টা করেছে বিয়েতে যাওয়ার জন্য। বারবার খ (দুলাভাই) এর কাছে গিয়েছে। সবার সামনে খ (দুলাভাই) এর পা ধরে ক্ষমা চেয়েছে। তবুও খ (দুলাভাই) এর মন গলেনি। এবং সে যাবেনা বলে কেউ ই ক এর বিয়েতে যায়নি।

উল্লেখ করা প্রয়োজন, ক (শালা) হচ্ছে বাড়ির ছোট ছেলে আর খ হচ্ছে বাড়ির জামাই। ক আর খ একই বিল্ডিং এ ক এর পরিবারের সাথেই থাকে।

পরবর্তীতে, ক (শালা) আরো কয়েকবার সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সর্বাত্মক চেস্টা করেছে।

কিন্তু খ কোন কথাই বলতে চায়না। এড়িয়ে যায়। বর্ত্মানেও একই অবস্থা। এখন কেউ কারো সাথে কথা বলেনা। ক এর ধারণা, খ তাকে পছন্দ করছেনা তাই সে জোর করে এলহ্ন আর কথা বলতে যায়না।

উপরোক্ত ঘটনায় আমার প্রশ্ন:

১। সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী ক (শালা)  কে কি দোষী হলা যাবে?  যেহেতু, সে ইচ্ছা করে খারাপ আচরণ করেনি আবার পরে ক্ষমাও চেয়েছে। পরবর্তী তে এমন আচরণ করেনি।

২। ক বা, খ এদের কারো উপর কি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার গুনাহ হবে?

৩। ক এর সাথে কি অন্যায় হয়েছে? যেহেতু, তার সাথে প্রথমে অন্যায় হয়েছিল আর তার বিচার হয়নি। আবার, সে ক্ষমা চাওয়ার পরেও অনেক চেস্টার পরেও তার বিয়েতে কেউ যায়নি। যেখানে বিয়ের দাওয়াত গ্রহণ করা নাকি ওয়াজিব। অপরদিকে পারিবারিক সালিশে খ মিথ্যা আর চতুরতার আশ্রয় নিয়েছে।

1 Answer

0 votes
by (713,640 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَنْ جَابِرٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنِ اعْتَذَرَ إِلَى أَخِيهِ فَلَمْ يَعْذِرْهُ أَوْ لَمْ يَقْبَلْ عُذْرَهُ كَانَ عَلَيْهِ مثلُ خَطِيئَة صَاحب المكس»
رواه أبو داود في "المراسيل" (رقم/521) ، وابن ماجه في "السنن" (رقم/3718) ، وابن حبان في "روضة العقلاء" (ص/182) ، والطبراني في "المعجم الكبير" (2/275) ، والبيهقي في "شعب الإيمان" (6/321) ،
 তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজের কোন মুসলিম ভাইয়ের কাছে ওযর-আপত্তি করে এবং সে মুসলিম যদি তাকে অপারগ বা ওযরযোগ্য মনে না করে অথবা যদি তাকে ক্ষমা না করে, তবে যালীম তহসীলদারের মতো পাপী হবে। [বায়হাক্বী’র ’’শু’আবুল ঈমান’’; আর ইমাম বায়হাক্বী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ مَكَّاسٌ অর্থ- ওশর আদায়কারী বা তহসীলদার](মিশকাত-৫০৫২)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
'ক' তথা শালার দায়িত্ব শেষ। এখন বর্তমান পরিস্থিতির জন্য 'খ' তথা দুলাভাইয়ের গোনাহ হবে। 'ক' তার সাধ্যানুযায়ী সম্পর্ক বহাল রাখার চেষ্টা করবে।সম্পর্ককে পরিত্যাগ করার গোনাহ দুলাভাইয়েরই হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,640 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (51 points)
হুজুর, ৩ নং প্রশ্নের উত্তর টা যদি দিতেন। 

ক এর সাথে কি অন্যায় হয়েছে? যেহেতু, তার সাথে প্রথমে অন্যায় হয়েছিল আর তার বিচার হয়নি। আবার, সে ক্ষমা চাওয়ার পরেও অনেক চেস্টার পরেও তার বিয়েতে কেউ যায়নি। যেখানে বিয়ের দাওয়াত গ্রহণ করা নাকি ওয়াজিব। অপরদিকে পারিবারিক সালিশে খ মিথ্যা আর চতুরতার আশ্রয় নিয়েছে।
by (713,640 points)
জ্বী  ক এর সাথে অন্যায় হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...