আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
178 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (58 points)
আমি গত ৩-৪ বছর যাবত জিন দ্বারা ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত ও কুরান সহ্য হয়না। জাদু সংক্রান্ত বা রুকইয়াহ সম্পর্কিত আয়াত গুলো শুনলে ঘুমিয়ে পড়ি ও কখনো সেন্সলেসের মত হয়ে যাই। একবার তো পাগল হয়ে গেছিলাম, রুকইয়াহ করেও সুবিধা করতে পারিনি, উলটো হাসপাতালের ইমার্জেন্সি থেকে ঘুমের ইনজেকশন দেয়া হয়েছিল।


স্বভাবগত ভাবে আমি ঠান্ডা প্রকৃতির মানুষ যে সহজে রাগেনা। একটা সময় দ্বীন প্র‍্যাক্টিস করতাম। জিনগত সমস্যার পর থেকে কুফরি চিন্তা আসে। মাঝে মাঝে পাগলামি করি আর আল্লাহ বিরোধী কথা বলি। আমার মনে হয় এগুলো বলিনা। আমাকে দিয়ে বলানো হয়। আমি জোর করে নামাজ পড়ি আর মুনাজাতে দুয়া করি। ইচ্ছা একদম ই করেনা। কিন্তু জোর করে পড়ার চেস্টা করি। কুরানের প্রতি ঘৃণা কাজ করলেও নিয়মিত কুরানের আয়াত শুনি। আর ইস্তিগফার করি। অথচ আল্লাহর ইবাদত আমার কাছে নেশার মত ছিল। আমি অনেক মজা পেতাম। আর প্রচুর দুয়া করতাম।


যাই হোক, প্রথম সরাসরি রুকইয়াহ এর পর ২০ দিন সেল্ফ রুকইয়াহ করি। পরপর দুদিন স্বপ্নে জীন দেখি। জ্বীন আমাকে বলে, এবার তোকে আরো ভাল করে ধরব। এই স্বপ্নের পর থেকে আর কুরান আর আল্লাহর নাম সহ্য হয়না। প্রচুর রাগ আসে। তবে বর্তমানে জোর করে নামাজ পড়ছি আর কুরান শুনি।
এমতাবস্থায় আমি পরিবারের সাথে খারাপ ব্যাবহার করি প্রচন্ড। এরপর থেকে পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন। আমি আগ বাড়িয়ে ক্ষমা চেয়েছি আর আমার সমস্যার কথা বুঝিয়ে বলেছি। কেউ কেউ বুঝলেও অনেকে মানতে চাইছেনা। আমি বিনয়ের সাথে চেস্টা করেও তারা কথা বলতে আগ্রহী নয়। আমার কোন কথাই শুনতে রাজি নয়। কোন অবস্থাতেই তারা আমাকে মেনে নিতে পারছেনা। তাদের কথা, যখন ইচ্ছা হবে তখন কথা বলবে। আমি আল্লাহর বিধান জানানোর পরেও তাদের মন গলাতে পারিনি।


আমার জানামতে, এক মুসলমানের সাথে ৩ দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখা যায়না। আর আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা যায়না।


এমতাবস্থায়, আমি আগ বাড়িয়ে আর চেস্টাও করতে পারছিনা। আর তারাও নিজে থেকে কথা বলছেনা। আমি কেবল দুয়াই করতে পারি।


এমতাবস্থায় আমি বা আমার পরিবার এর কোন পক্ষ কি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার অপরাধে অভিযুক্ত হবে? আর আল্লাহর বিধান অনুযায়ী, আমাকে কি বর্তমানে দোষী বলা যাবে? যেহেতু, আমি জিন দ্বারা ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ছিলাম আর আন্তরিক ভাবে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি।


আর এ পর্যায়ে কি আমি কাফুর বলে গণ্য হব?
by (58 points)
উত্তর আশা করছি

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/18346/ ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ 
আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা নাজায়েজ,এক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোরভাষা ব্যবহার করেছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে  

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " . - صحيح

জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

.(বুখারী ৫৯৮৪, মুসলিম ১৯-(২৫৫৫), আবূ দাঊদ ১৬৯৬, তিরমিযী ১৯০৯, সহীহুল জামি‘ ৭৬৭১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫৪০ সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৫, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ২০২৩৪, মুসনাদুল বাযযার ৩৪০৫, আহমাদ ১৬৭৩২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৭৩৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৫২, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১৪৯১, আর মু‘জামুল আওসাত্ব ৯২৮৭।)

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি এক্ষেত্রে  আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার অপরাধে অভিযুক্ত হবেননা।

তবে এখন আপনি আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন।
মাঝে মাঝেই দেখা সাক্ষাৎ করবেন,কমপক্ষে ফোন দিয়ে হলেও সালাম বিনিময় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...