ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
নামাজ ত্যাগ অনেক মারাত্মক গুনাহ।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ
أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ
" وَلاَ تَتْرُكْ صَلاَةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ تَرَكَهَا
مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ وَلاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ
فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ " .
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার প্রিয় বন্ধু
(রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে এই উপদেশ তুমি স্বেচ্ছায় ফরয নামায
ত্যাগ করো না। যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তা ত্যাগ করে তারথেকে (আল্লাহর ) যিম্মদারি উঠে
যায়। তুমি মদ্যপান করো না। কেননা তা সর্বপ্রকার অনিষ্টের চাবিকাঠি। (সুনানে ইবনে মাজাহ
৪০৩৪)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১. জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে নামাজ হয়েছে। কারণ, রুকু পেলে ঐ রাকাত পেয়েছে
বলে ধর্তব্য হয়।
২. জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রেও নামাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে উত্তম হলো
সামনের কাতার পূর্ণ করে তারপর পিছনের কাতারে দাঁড়ানো।
৩. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উত্তম হলো একাকি নামাজ পড়লে একটু আলাদা স্থানে পড়া। যাতে
করে জামাতের কোনো সমস্যা না হয়। আবার জামাতে যারা নামাজ পড়বে তাদের জন্য উত্তম হলো
পাশের কেউ চলে গেলে নামাজের মধ্যেই একটু সরে ফাঁকা জায়গা পূরণ করে দাঁড়ানো। তবে এভাবে
সরে না দাড়ালেও নামাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
৪. না, এতে নামাজ ভাঙ্গবে না। তবে শর্ত হলো যেভাবে নামাজ পড়ছে সেভাবেই সামনে বা
পিছনে অথবা পাশের জায়গা পূরণ করা।
৫. না, এই ক্ষেত্রে নামাজ ভাঙ্গা যাবে না। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি একা একাই নামাজ
পড়ে নিবেন।