আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ।
প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি অনেক বড় পোস্টএর জন্য । জীবনের এক কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়ে জানতে চাওয়া ।
আমার হাসবেন্ড পরিবারের ছোট সন্তান , ওনার ২ বছর বয়সে( বর্তমানে ৩৬ বছর ), ওনার  বাবা মারা যান। আমার শাশুড়ি ৫ ছেলে ও ১ মেয়ে কে বড় করেন । প্রথম বড় 2 ছেলে বিয়ে করে আলাদা হয়ে যায় ৩ য়  জন কে বিয়ের অনেক বছর পর শাশুড়ি নিজেই আলাদা করেদেন । আমার ননদ কে ও ছোট বয়সে বিয়ে দিয়ে দেন।  প্রথম ৩ জন তখন থেকেই শ্বশুরএর রেখে যাওয়া জমি নিজেদের দখলে নিয়ে ভোগ করতে থাকেন ।
বাকি ২ সন্তান নিয়ে উনি থাকেন । ২০০০ সালের দিকে ৪র্থ ছেলে কে 2 লক্ষ টাকা দিয়ে কুয়েত পাঠান ( জমি বিক্রি, গরু বিক্রি, এমন কি উনার কথা মতো নিজের শাড়ি ও বিক্রি করেন টাকা জোগাড় করতে , লোণ করেন , জমি বন্ধক ) এভাবে অনেক কষ্ট করে । বিদেশ পাঠানোর  পর ছোট ছেলে কে নিয়ে অনেক কষ্ট করেন , এমন কি লোকের বাড়িতে কাজ ও করেছেন , নিজে জমি তে কাজ করেছেন। ৪র্থ ছেলে বিদেশ  যাওয়ার পর দেখে দালাল এর ক্ষপরে পরে কোনও ভিসা পান না , তিনি নিজেও বিদেশে অনেক কষ্ট করেন , দেশে টাকা পাঠাতে পারেন না ৫/৬ বছরের মতো ।
আমার শাশুড়ি ক্লাস ১০ পর্যন্ত ছোট ছেলের পড়াশুনার সব টাকা জোগাড় করেন । ২০০৭- ১৪ (ডিপ্লোমা + বি এস সি ) সাল থেকে আমার হাসবেন্ড এর পড়াশুনার  খরচ আমার শাশুড়ি  ও  নোয়া ভাসুর (৪র্থ ) দেন.

  আমার নদদ , শাশুড়ি , বাকি ২ ভাইয়ের জমি ( ৪ বিঘার মতো),  নোয়া ভাসুর কে বিদেশ পাঠানোর সময় থেকে বন্ধক দেয়া এখনো পর্যন্ত (ছাড়ানো হয়েছে , আবার ও বন্ধক দেয়া হয়েছে এমন ) জমি কেনা হয়েছে এ টাকা দিয়ে  ।

বিদেশে উনি  অল্প ইনকাম করতে পারেন ভিসা না থাকার কারণে , ২০১৭ সালের আগ পর্যন্ত যা আয় সে টাকা আমার শাশুড়ির একাউন্টে পাঠান (যখন কোনও কিছু কেনা হয় তা পরিশোধ করার জন্য ) ।  প্রতি মাসের খরচের জন্য ও টাকা দিতেন ।  অনেক গুলো জমি কেনা হয় ওনার টাকায় , বেশিভাগ জমি উনি দেশে না থাকার কারণে রেজিঃ না হওয়াতে আমার হাসবেন্ড এর নামের সাথে ওনার নাম দিয়ে কেনেন ,আমার শাশুড়ি ( আমার নোয়া ( ৪র্থ ) ভাশুরের পরামর্শ মত )। উনি নিজে ছোট ভাই কে অনেক ভালো বাসতেন বলতেন সারাজীবন একসাথে থাকবেন । আমার শাশুড়ি না করলেও উনি নিজেই ২ ভাই একসাথে জমি কিনতেন( ৪০ লক্ষ টাকা হবে ২ জনের নামে কেনা যার ৮০ ভাগ টাকা নোয়া ভাশুরের বাকি টা সমন্বিত জমি ও শাশুড়ির নিজের টাকা (বাবার বাড়ী থেকে প্রাপ্ত ), হিসাব টা আনুমানিক ১০০% সঠিক নয়  )    ।
আমার হাসবেন্ড সব দেখাশুনা করতেন নিজে খুব সাধারণ ভাবে চলতেন ভাইয়ের টাকায় বিলাসিতা করতেন না । ২০১৫ সালে আমার  হাসবেন্ড চাকরী পান তখন থেকে উনি নিজের র আমার শাশুড়ির খরচ চালাতেন । ২০১৬ সালে আমার হাসবেন্ড ৩০,০০০ টাকা বেতনের চাকরী পান । মাসে ৫ হাজার টাকা খরচ করতেন , বাকি টাকা , জমি বন্ধক ছাড়ানো , সংসার চালানো, জমি কেনা এভাবে খরচ করেন । নিজের কোনও বেক্তিগত টাকা জমা করেন নি ।
২০১৭ সালের  আমার ভাশুরের ভিসা পান , ফ্রি ভিসা । ২০১৭ সালের জুন মাসে দেশে আসেন, বিয়ে করার জন্য। এ জন্য আমার হাসবেন্ড নিজের টাকা খরচ করে (প্রায় ৪ লক্ষ ) বাড়ী ঠিক করেন আরও ২ টা রুম , ঘরের সাথে টয়লেট , রান্নাঘর, মোটর দিয়ে ঘরে পানির বেবস্থা করেন এমন কি সংসারের সব জিনিস ও কিনেন (চুলা , থালাবাটি ।। এসব ও )  । ওনার বিয়ের ১ সপ্তাহ পর আমাদের বিয়ে হয় । আমার হাসবেন্ড আমাদের বিয়ের জন্য কোনও কিছু কেনেন না কোনও গহনা বা কাপড় ও না । সব তা তার ভাইয়ের উপর ছেড়ে দেন(আমার জন্য ভাশুর  খুব নিম্ন মানের ২ টা শাড়ি কিনেন , আমার হাসবেন্ড এর জন্য একটা পাঞ্জাবি ও কিনেন না, বন্ধুর পাঞ্জাবি পরে বিয়ে করতে আসেন  )  ।
ভাশুর , আমার হাসবেন্ড কে সব সময় বলতেন তোমার টাকা খরচ করো আর আমার টাকা জমায় জমি কিনি । আমার শাশুড়ি , ননদ সব সময় বলতেন আমার হাসবেন্ড কে নিজের মত টাকা জমা করতে জমি কেনার সময় টাকা দিতে ( কারণ বিয়ের পর থেকে আমার ভাশুর  ওনার শ্বশুর বাড়ীর কথায় চলা শুরু করেন, নিজের বউ র শ্বশুর বাড়ীর লোকদের বাজার করে ওখানে মহা আয়োজন করতেন,মা কে ও নিতেন না। ঈদ এ মা কে শাড়ি না দিয়ে ২০ হাজার টাকার শপিং করে দেন শ্বশুর বাড়ী।
বাড়ীর কাওকে কিছুই দিতেন না , একটা বোন কে ও দেশে আসলে দাওয়াত করতেন না)। সব সময় মিথ্যা কথা বলতেন । টাকা নেই এমন অভাব দেখাতেন , গোপনে টাকা ওনার বউ কে পাঠান র বউ এর নামে জমি কেনেন । কারো বিপদে ও সাহায্য করা বন্ধ করে দেন । মোট কথা সব কিছু শ্বশুর বাড়ীর জন্য করা শুরু করেন । মেঝ ভাশুর মারা যাওয়ার পর ছোট ২ তা ছেলে মেয়ে রেখে যান তাদের ও কোনও সাহায্য করতেন না ( আমার হাসবেন্ড সব খরচ বহন করেছেন এবং মেয়ের বিয়ে ও দিয়েছেন) ।
২০২২ সালে দেশে এসে ২১ লক্ষ টাকা দিয়ে একটা মিল কিনেন ২ ভাই এর নামে , সবার সব জমি বন্ধক দিয়ে ( ৬লাখ)  , আমরা কিছু (৪লাখ) ক্যাশ   বাকি  টাকা উনি জোগাড় করেন লোণ নিয়ে ও বিদেশ গিয়ে । এবার দেশে এসে তিনি আমার হাসবেন্ড  কে বলেন তুমি চাকরী করে কত টাকা পাও? আমি আর কত দিন পরিবার রেখে বিদেশ করব । তুমি চাকরী ছেড়ে ব্যবসা করো আমি টাকা দিবো , ভালো পুঁজি হলে আমি একেবারে দেশে চলে আসব । আমি অনেক বারণ করি কারণ আমি সব তা জানতাম উনি ওনার সব টাকা বউ এর একাউন্ট এ রাখেন , আর শ্বশুর বাড়ীর লোকের কথাই চলেন , চাকরী ছাড়লে বিপদে পড়বে , আমার শাশুড়ি ও বারণ করেন । কিন্তু আমার হাসবেন্ড  ভাইয়ের কান্নাকাটি দেখে চাকরী ছেড়ে দেন । আমার ভাশুর এ ও বলেন যে যা টাকা হবে তার ৫০% করে ২ জন ভাগ করে নিবে ।
চাকরী ছেড়ে ব্যবসা করতে যাওয়ার ২ মাসের ভিতর ভাশুর টাকা বন্ধ করে দেন , তেলের মিলে অনেক কষ্ট করে প্রতিদিন সব হিসাব দিতে পারতেন না  ভাশুর কে ।
আমার যা খারাপ ব্যাবহার শুরু করে (কাজের লোকের মত ), ভাশুর কে সব সময় মিথ্যা নালিশ করে ।আমার হাসবেন্ড  অনেক টেনশন করতেন চাকরী ছেড়ে , মাত্র ২ লাখ টাকা পুঁজি দেন ভাশুর । পাইকারি মিল চালাতে অনেক টাকা প্রয়োজন ,  আমার হাসবেন্ড এর টেনশন দেখে আমি মা র কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা এনে দেই , বলি ব্যাপার তা তার ভাই কে ও জানাতে । এভাবে আরও ৩ মাস কাটে । তখন বাজার খরচের টাকা ও নেই এমন অবস্থা , না না  লোকদের দিয়ে আমার ভাশুর , আমাদের হুমকি দিতে থাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে । মেরে ফেলার হুমকি ও দেয় । আমার ভাশুর সরাসরি বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে । ( বাড়ি টা ২ ভাইয়ের নামে বাবার সম্পত্তি , আগের বাড়ি  আমার হাসবেন্ড করেছিলেন , পরে টা ভেঙ্গে ভাশুর ছাদ দিয়েছেন , ২ রুম আমাদের , ২ রুম তাদের এটা বলে আমাদের টা ভেঙ্গেছেন )।
আমি তাকে আবার চাকরীর জন্য চেষ্টা করতে বলি , আল্লাহর রহমতে ২ মাসের ভিতর আগের চাকরী তে জয়েন করেন , ৪ লাখ টাকার মালামাল বুঝায় দিয়ে । তবে তাকে নতুন হিসাবে চাকরীতে নেয় , জয়েন করের ৪ মাস পর সবার promotion হয় ও বেতন বাড়ে , কিন্তু কোম্পানির  নিয়ম অনুযায়ী  আমার হাসবেন্ড এর বেতন বাড়ে না । মাসে ১২ হাজার টাকা লস করছেন। তা ছাড়া ও ঢাকা থেকে বাসার সব জিনিস আনা নেয়া করতে ও আমাদের অনেক টাকা লস হয় ও গত ৮ মাস দুর স্বপ্নএর মত গিয়েছে । দুজনেই শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে গিয়েছি ।
আমাদের ৪ লাখ টাকা ও এখনো দেন নি আমার ভাশুর , নিজের সব কাজ করলে ও আমাদের টাকা টা দিচ্ছেন কেটে কেটে . আমার হাসবেন্ড এর নামে যে জমি আছে তা ও দিবেন না এমন বলছেন ।  আমার হাসবেন্ড এর নামে দিলেও কোনও দিন ১ টাকার ও সুবিধা ভোগ করতে পারিনি আমরা ।
এমন কি নিজের বাবার জমিও না , নিজের সংসারের জন্য ও না করে , ভাইয়ের সংসারের জন্য সব গুছিয়ে দিয়েছেন । আমার হাসবেন্ড তার সব টা দিয়ে করেছেন। আমারদের সংসারের ৮০% আমি বাবার বাড়ি থেকে এনেছি ।আমি বাড়িতে যেয়ে( বাবার বাড়ি থেকে এনে )  গরু(2), ছাগল(৪ টা ), মুরগী (২০+), কবুতর ১২ জোড়া পালন করি , অনেক গাছ লাগায় , ওনাদের জন্য সব নষ্ট করে চলে আস্তে হয় । তাদের ইচ্ছা ছিল আমরা তাদের চাকর হিসাবে থাকব  ( আমরা ২ জন ইঞ্জিনিয়ার )।
বিচার করার কেউ নেই । আল্লাহ ছাড়া
যদিও উনি চাইলে ব্যবসা নষ্ট করে দিতে পারতেন , বাড়ি থেকে ওনার বউ কে বের করে দিয়ে নিজেই দখল করতে পারতেন , কিছুই করেন নি । সব ছেড়ে চলে এসেছেন । ব্যবসা গুছিয়ে   দিয়েছেন । কোনও ঝগড়া ও করিনি আমরা । কর্মচারী দিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন ,তারা সব লুটপাট করতেছে এখন।
২ টা  দোকানএ  নাম আছে , ৩ বিঘার মতো জমি আমার হাসবেন্ড এর নামে
এখন যদি   আমার হাসবেন্ড তার নামের জমি নিজের দখলে নেন তাহলে কি , জুলুম করা হবে।  আমার হাসবেন্ড  সব পরিশ্রম করেছেন ও যত টা সম্ভব টাকা ও দিয়েছেন ,ওনার ভাই টাকা দিয়েছেন । নাকি আমার হাসবেন্ড এর নামের জমি ও তার ভাই কে দিয়ে দিতে হবে । আমি চাইনা এমন কোনও কাজ করতে যার জন্য আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হয়। ক্ষণিকে দুনিয়া যেভাবে হোক পারহবে , এর খারাপ ফলাফল পরকালে নিতে চাইনা ।
আমাদের নিজেদের বাড়িতে থাকার মতো পরিস্থিতি ও নেই এখন।
আমাদের করনীয় কি এখন ?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 

হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ন্যায্য পাওনা হিসেবে আপনার স্বামী যতটুকু জমি পাবেন,ততটুকু জমি দখলে নেয়া জায়েজ আছে। এতে জুলুম হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম,  সন্মানিত ওস্তাজ।
শুকরিয়া উত্তরের জন্য। 
তবুও  একটা যায়গায়  সন্ধেহ থেকে যাচ্ছে।  তা হলো কিছু জমি কেনার সময় আমার হাসব্যান্ড কোন টাকা দেন নি,  তখন তিনি  পড়াশোনা করতেন। তবে ১বিঘার মত জমি ছিল, যা বন্ধক দেওয়া হচ্ছে ৩৪ বছর ধরে,।
আমার ভাসুরের টাকায় কেনা ১জমিতে ও ওনার নাম আছে।  এখন সে জমি আমার ভাসুর দিতে চাচ্ছেন না। 
জমিটা কেনার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমার হাসবেন্ড কিনেন, জমিটাতে আমার শাশুড়ির কিছু টাকা আছে।  
এক্ষেত্রে  হাদীস অনুযায়ী : কারো মাল তার মনোতুস্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।

তবে কি তা আমাদের জন্য হারাম হবে।

যৌথভাবে সব করতে গিয়ে আমরায় বেশী ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছি।  বর্তমানে চাকরীতে ও সমস্যায় পড়েছে, বেতন ও মাসে ১২০০০টাকা কম পাচ্ছেন। ক্ষতির পরিমান হিসাবে ও জমির দাম অনেক কম। এজন্য আমার হাসবেন্ড ছাড়তে রাজি নন। তাছাড়া সামাজিক ও পারিবারিক  ভাবে অপমানিত হতে হয়েছে,  অফিসে ও। 
আমার ভাসুর আর তার স্ত্রী সব সুবিধা ভোগ করেছেন সব সময়। ওনারা কারো সাথেই ভালোব্যবহার করেন নি। নিজেদের স্বার্থ বজায় রেখে চলেছেল। 

আমি সম্পদের লোভ করছি না, ভয় পাচ্ছি আল্লাহর শাস্তির। পরে না তা হারাম হয় আমাদের জন্য।
by (677,120 points)
ঐ জমি যেহেতু আপনার ভাসুরের টাকায় কেনা,সুতরাং সেই জমি আপনাদের না দিলে আপনারা তাহা পাওয়ার অধিকার রাখেননা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...