জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাজে সুরা তিলাওয়াত এর জন্য সুরা ফাতেহা এবং কমপক্ষে আরো চারটি সুরা শুদ্ধ ভাবে মুখস্ত করতেই হবে।
এটি ফরজ।
এরপর আপনি যদি প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে তিলাওয়াত করেন,অর্থ পড়েন,এবং তা অনুযায়ী আমল করেন,সেক্ষেত্রে আপনি জাহান্নাম থেকে বাঁচতে পারবেন,ইনশাআল্লাহ।
(০২)
আপনি তাদের বাসায় যেতে পারবেন।
পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে চলবেন।
(০৩)
তিন রাকাত করে আদায় করবেন।
জন সম্মুখে কাজা করলে সেক্ষেত্রে দোয়ায়ে কুনুতের আগে তাকবির বলার সময় হাত উঠাতে হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৪)
এক্ষেত্রে জোহরের আগেই ফজরের কাযা সালাত পরে নিবেন।
(০৫)
তিন সময়ে নামাজ পড়তে হাদীস শরীফে নিষেধ করা হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الشَّمْسُ تَطْلُعُ وَمَعَهَا قَرْنُ الشَّيْطَانِ فَإِذَا ارْتَفَعَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا اسْتَوَتْ قَارَنَهَا فَإِذَا زَالَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا دَنَتْ لِلْغُرُوبِ قَارَنَهَا فَإِذَا غَرَبَتْ فَارَقَهَا " . وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الصَّلاَةِ فِي تِلْكَ السَّاعَاتِ .
আবদুল্লাহ সুনাবিহী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সুর্য শয়তানের দুই শিঙের মধ্য দিয়ে উদিত হয়। যখন সুর্য উপরে উঠে, তখন শয়তান তা থেকে দুরে সরে যায়। আবার যখন সুর্য মাথার উপর আসে, তখন শয়তান এসে মিলিত হয়। আবার ঢলে পড়লে পৃথক হয়ে যায়। আবার যখন সুর্য অস্তগমনের নিকটবর্তী হয়, তখন শয়তান মিলিত হয় এবং যখন সুর্য অস্তমিত হয়, তখন শয়তান সরে যায়। এ জন্যই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ তিন সময় সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। ( সুনান আন-নাসায়ী ,৫৬০)
অন্য হাদীসে এসেছে-
عَنْ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ، يَقُولُ ثَلاَثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ .
উকবা ইবনু আমির জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনটি সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সালাত আদায় করতে ও মৃত ব্যাক্তিকে কবরস্থ করতে নিষেধ করেছেন (১) যখন সুর্য আলোকিত হয়ে উদয় হয়, যাবৎ না ঊর্ধাকাশে উঠে; (২) যখন দ্বিপ্রহর হয়, যাবৎ না সুর্য হেলে পড়ে আর (৩) যখন সুর্য অস্ত যাওয়ার উপক্রম হয়, যাবৎ না সম্পূর্ণ অস্ত যায়। ( সুনান আন-নাসায়ী ,৫৬১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(১) তিন সময়ে ফরয-নফল তথা সকল প্রকার নামায পড়া নিষিদ্ধ।যথা-
(১)সূর্যোদয়ের সময়।
(২)সূর্যাস্তের সময়।
(৩)সূর্য ঠিক মধ্যখানে অবস্থানের সময়।
আর পাঁচ সময়ে শুধুমাত্র নফল নামায পড়া মাকরুহ।উপরোক্ত তিন সময়।(৪)সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত।অর্থাৎ ফজরের নামাযের আগে ও পরে (৫)আছরের নামাযের পরে।(শেষোক্ত দুই সময়ে ফরয নামায পড়া মাকরুহ নয়)সুতরাং এই পাঁচ সময়ে যেকোনো প্রকার নফল নামায,চায় তাহিয়্যাতুল ওজু হোক বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ হোক, সবই মাকরুহ।প্রথম তিন প্রকারে মাকরুহে তাহরিমীর বিধান রয়েছে।আর শেষ দুই প্রকারে প্রকাশ্যে কোথাও পাইনি।তবে যতটুকু সম্ভব মনে হচ্ছে, মাকরুহে তানযিহি-ই হবে।(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/8219
(০৬)
হ্যাঁ, আপনার ফজরের নামাজ আদায় হয়েছে।
(০৭)
সুন্নাত সালাতের পর মুনাজাতে দুআ করা যাবে।
ফরজ সালাতের পর আরবি দুআ করার পর আল্লাহকে বাংলায় মনের সব কথা বলা যাবে।
প্রতি ফরজ সালাতের সেজদায় ইস্তেগফার পড়া যাবে। সেজদাহ লম্বা করা যাবে।
তবে ফরজ নামাজের সেজদার ক্ষেত্রে এমনটি করার ক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামগন অনুৎসাহিত করেছেন।
(০৮)
হাত তুলে দোয়া করা দোয়ার আদব।
তার মানে এই নয় যে হাত না তুলে দোয়া করলে তাহা কবুলই হবেনা। বিষয়টি এমন নহে।
আপনি যদি দোয়া কবুলের আশায় হাত না তুলেও অনুনয় বিনয় করে দোয়া করেন,সেক্ষেত্রেও সেই দোয়া কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ।
(০৯)
এতে কোনো সমস্যা নেই।
সেই ছিটা পানি পবিত্র,সুতরাং এক্ষেত্রে সালাত আদায় হবে।
(১০)
হায়েজ কখন শেষ হয়েছে,আপনি জানেননা।
তাহাজ্জুদের শেষ ওয়াক্তে অর্থাৎ ফজরের ওয়াক্ত আসার আগে আপনি চেক করেননি।
এক্ষেত্রে ফজরের ওয়াক্ত আসার আগেও তো আপনার হায়েজ শেষ হয়ে যেতে পারে!
সুতরাং আপনি সতর্কতামূলক ইশা ও ফজরের সালাত কাজা আদায় করে নিবেন।