আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
আসসালামু ওয়ালাইকুম।

১-হায়েয অবস্থায় কুরআন শিখার নিয়ম কি?আমরা যখন এই সময়ে পড়া দিতাম আমাদের ভেঙে ভেঙে পড়া দিতে বলা হতো।

২-যখন আমি নিজে অন্য কাউকে শিখাবো তখন হায়েয অবস্থায় হলে কিভাবে পড়াবো?

৩- যারা হিফয করে তারা কিভাবে এই সময় তাদের হিফজ চালু রাখবে?রিভিশন দিবে?আর নইতো তো ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

৪-আমার তিলাওয়াত পুরোপুরি সহিহ না,তবে আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি ভাল বলা যায়।এক্সামের রেসাল্টে ৮৮,৮৯,৯০+ এমন এসেছে আলহামদুলিল্লাহ।মার্ক বলেছি আমার পড়ার অবস্থা বুঝানোর জন্য।তো গ্রামের কিছু বোন আমার কাছে পড়তে আসে।একবার ভাবি যতটুকু জানি ততটুকু শিক্ষা দিবো।আর একবার তাদের হক নিয়ে চিন্তা করি যদি তাদের ভুল পড়াই তাহলেতো তাদের হক নষ্ট হবে।আমি কি তাদের পড়াবো? এমন না যে  তারা অনলাইন থেকে শিখবে।কেও চাকরি করে কেও গৃহিনি।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
অপবিত্র বা হায়েয অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/793

হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে।জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।তবে দু'আ  যিকিরের নিয়তে কুরানের আয়াত পড়া যাবে।তেলাওয়াতের নিয়তে পড়া যাবে না।যেমন,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।রাব্বানা আ'তিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।এ জাতীয় কুরআনের আরো অন্যান্য আয়াত।

তারা দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেন,হায়েয অবস্থায় কুরআনকে স্পর্শ করা যাবে না।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم  قال : " لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئاً من القرآن
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হায়েযা এবং জুনবী ব্যক্তি কুরআন থেকে কিছুই পড়তে পারবে না।(সুনানু তিরমিযি-১৩১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/389

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
হায়েয অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে না। হ্যা, তবে দু'আ হিসেবে কুরআনের আয়াত পড়া যাবে। হাতে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়া দেয়া যাবে।

(২)
যখন আপনি নিজে অন্য কাউকে শিখাবেন, তখন হায়েয অবস্থায় হয়তো ভেঙ্গে ভেঙ্গে শিখাবেন নয়তো বিরত থাকবেন।

(৩)
হিফজের ছাত্ররা এই সময়েও তিলাওয়াত করতে পারবে না।হ্যা, কেউ কেউ তখন অন্য মাযহাবের উপর আ'মল করতে বলে থাকেন।অর্থাৎ হানাফি ব্যতিত অন্য মাযহাব অনুসারে পড়ার রুখসত রয়েছে। অন্য মাযহাব সম্পর্কে জানতে উপরের লিংকে ক্লিক করুন।

(৪)
হ্যা, আপনি যতটুকু জানেন,শিখাতে পারেন। তবে আপনার চেয়ে ভালো তিলাওয়াকারী কারো কাছে পড়া সম্ভব হলে তখন তার কাছে পড়ার পরামর্শ দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...