وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
একজন নারীর দাওয়াতি কাজের সর্ব শ্রেষ্ঠ ক্ষেত্রে হল তার পরিবার, সন্তান-সন্ততি। তাকে স্বামীর প্রতি দায়িত্ব পালন, তার ঘর গোছানো, সম্পদ হেফাজত, সন্তান-সন্ততিদের লালন-পালন ইত্যাদি নানা কাজে সময় দিতে হয়। এগুলো তার প্রধানতম দায়িত্ব।
সুতরাং এ সকল দায়িত্ব ফেলে দিয়ে দূর দূরান্তে তাকে দাওয়াতের কাজ করে বেড়াতে হবে- ইসলাম তাকে এ দায়িত্ব দেয় নি।
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন,
إِذَا صَلَّتِ الْمَرْأَةُ خَمْسَهَا، وَصَامَتْ شَهْرَهَا، وَحَصَّنَتْ فَرْجَهَا، وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا، دَخَلَتْ مِنْ أَيِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ.
‘‘রমণী তার পাঁচ ওয়াক্তের নামায পড়লে, রমযানের রোযা পালন করলে, ইজ্জতের হিফাযত করলে ও স্বামীর তাবেদারী করলে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছামত প্রবেশ করতে পারবে।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ৩২৫৪।)
কেউ যদি উপরোক্ত কাজগুলো যথাযথভাবে সম্পাদন করার পর স্বামী বা মাহরাম পুরুষ সহকারে দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার জন্য দূরে কোথাও গমন করে তাহলে তাতে কোন অসুবিধা নেই ইনশাআল্লাহ।
সে ইচ্ছে করলে সে নিজ বাড়িতেও দীনী তালিমের হালাকা করতে পারে সেখানে তার প্রতিবেশী মহিলারা অংশ গ্রহণ করবে। অথবা স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে বাড়ির আশে পাশে অন্য কোথাও তালিমি বৈঠক করতে পারে যদি এতে নিজের বাড়ির দায়িত্বে ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় এবং ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকে।
দাওয়াতি কাজে আগ্রহী মহিলাদের কর্তব্য হল, তারা নিজ স্বামী ও পরিবারের প্রতি আরও অধিক যত্নশীল হবেন। তারপর সাধ্যানুযায়ী দাওয়াতি কাজ করবেন।
বর্তমান যুগে ঘরে বসেই নানা ধরণের দাওয়াতি কাজের সুযোগ আছে। সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন। আর দূরে কোথাও যেতে হলে (যদিও তা সফরের দূরত্ব নাও হয়) অবশ্যই স্বামী বা মাহরাম পুরুষ সহকারে যাবেন এবং সব ধরণের ফিতনা থেকে দুরে অবস্থান করবেন। কেননা, বর্তমান যুগে কারও অজানা নেই যে, একজন মহিলা তার বাড়ির বাইরে যাওয়াটাই কতটা অনিরাপদ ও ফেতনার কারণ।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
একজন নারী যদি ঘর থেকে বের হয়ে দাওয়াহ এর কাজ না করে সে গুনাহগার হবেনা। তবে সে ঘরের আবশ্যকীয় কাজ আদায় করে সময় পেলে ঘর হতেই দাওয়াহ এর কাজ করার চেষ্টা করতে পারে। বাসায় মহিলাদের তা'লিমের ব্যবস্থা চালু করতে পারে।
*একজন নারী সে সবার আগে তার নিজের ইবাদত + তার পরিবারের হক আদায় করবে।
*যদি দাওয়ার কাজ করতে গিয়ে পরিবারের কোন হক ছুটে যায় তাহলে সে গুনাহগার হবে।
*একজন নারী একসাথে যদি সব ব্যালেন্স করতে না পারে তাহলে সে নিজের ঘরের আবশ্যকীয় কাজ করবে।