আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
75 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (115 points)
১/আওয়াল ওয়াক্ত কত মিনিট পর্যন্ত থাকে?যদি জোহরের ওয়াক্ত ১২টায় শুরু হয় তাহলে ১২.৩০পর্যন্ত বা এরপর পর্যন্ত কি থাকবে?নাকি ওয়াক্তের আগেই অযু বানিয়ে ওয়াক্ত হওয়া মাত্রই দাঁড়িয়ে যেতে হবে?৫/১০মিনিট লেট হলেও কি আওয়াল ওয়াক্ত মিস যাবে?


২/আমার পরিবারে খুব গীবত হয়।কখন কথা বলতে বলতে যে গীবত করে ফেলে!আমি থামাতে চাইলে আমার প্রতি বিরক্তবোধ বা রাগ করেন।আমার মাও খুব গীবত করেন,মানুষের দোষ ধরেন।বড় মানুষ উনাকে আটকাতে গেলে উনি আমার প্রতি খারাপ মনোভাব পোষণ করেন।এভাবে পরিবারের অন্যরাও কথা বলতে চাইলে আমি পালিয়ে যেতে চাই।দেখা যায় প্রায় কথাতে গীবত থাকবেই।আমি খুব মিশুক না,যার কারণে কথা বাড়াতে পারিনা,ঠিকমতো কিভাবে কথা বলবো এইটাও বুঝিনা।দাওয়াহ কিভাবে দিব এইটাও বুঝিনা।দাওয়াহ নিয়ে থাকলেও আমি দাওয়াহ শুরু করতে পারিনা।শুরু করলেও ঠিকমতো কথা বলতে পারিনা,উলট পালট কথা বলি।আমি ইসলামের কোনো নিষেধাজ্ঞা বল্লেও তারা বিরক্ত হোন বা রাগ করেন।আমারো ত্রুটি আছে।আমার আচরণ ও ঠিক নাই।আমার পরিবার কম কথা বলেন, কম মিশে এমন মানুষ খুব কম পছন্দ করেন।ঘুরাঘুরি, হাসি মজাক, আডডা,অতিরিক্ত খাওয়া, নাফসের খায়েশাত মিটানো খুব পছন্দ করেন।যারা কথা কম বলে তাদেরকে চালাক ভাবেন,ভাবে যে তারা কথা লুকাতে চায়।আমি আত্মীয়স্বজন এর বাসায় যাইনা তাই কথা শুনতে হয়,কিন্তু নন মাহরাম থাকলে যাওয়া পসিবল না।এছাড়া ফোনে খোঁজ খবর নি না তাই কথা শুনি কিন্তু আমি কথা কিভাবে বাড়াবো এইটায় বুঝিনা।আমার সলাত পড়তে সময় বেশি লাগে।নফল সলাত পড়িনা।কোনো এক্সট্রা আমল নেই আমার।যা জরুরত তাই করি।কিন্তু দেখা যায় সলাত পড়ার সময় আমালে খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করা হচ্ছে।উত্তম আখলাক ও কিভাবে দেখাতে হয় তার পরিপূর্ণ জ্ঞান আমার নেই।আমি তাদের সাথে কিভাবে উত্তম আখলাকের পরিচয় দিতে পারি?কিভাবে দাওয়া দিতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (707,280 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
عَنْ أُمِّ فَرْوَةَ، قَالَتْ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ " الصَّلاَةُ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا " .
উম্মে ফারওয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উত্তম আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ ওয়াক্তের প্রথম ভাগে নামায আদায় করা সর্বোত্তম কাজ। (আবু-দাউদ-৪২৬)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রতি ওয়াক্তের পৃথক পৃথক মুস্তাহাব ওয়াক্ত রয়েছে।ফজরের নামাযকে দেড়ী করে পড়া মুস্তাহাব,এবং এটাই তার আওয়াল ওয়াক্ত।জোহরের নামাযকে গরমের সময় দেড়ী করে পড়া মুস্তাহাব।এবং আসর ও মাগরিবে  নামাযকে সর্বদা ওয়াক্তের প্রথমে পড়া মুস্তাহাব। এশার নামাযকে রাতের এক ততৃতীয়াংশ পর্যন্ত দেড়ী করে পড়া মুস্তাহাব।
এগুলো বুঝা ও বুঝানো অনেকটা মুশকিল বিষয়।সহজভাবে বলা যায় যে,আমাদের দেশে যে ওয়াক্তের যখনই আযান হয়,আযান পরবর্তী জামাতের সাথে নামায আদায় করা বা ঐ সময়ে ঘরে বা অন্য কোথাও নামায আদায় করা মানে-ই মুস্তাহাব বা আওয়াল ওয়াক্তেই আদায় করা। আওয়াল ওয়াক্ত কোনো বিশেষ সময় বা সেকেন্ড মিনিটের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/39433

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আউয়াল ওয়াক্তে নামায ফযিলত নিয়ে যে হাদীসটি আবু দাউদে বর্ণিত রয়েছে, সেটা সনদ দুর্বল। তাছাড়া সহীহ হাদীসে কিছু কিছু নামাযকে কিছুটা দেড়ী করে আদায় করার কথাও উল্লেখিত রয়েছে। হ্যা, দ্বিতীয় মিছিলের পর আসরের নামায এবং মাগরিবের নামাযকে সর্বদা ওয়াক্তের সূচনাতেই পড়ার কথা বলা হয়েছে। ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর পবিত্রতা অর্জন ও দু'আয়ে মাছুরা পড়তে যতটুকু সময় লাগে, ততটুকু সময় পর নামায পড়া আউওয়াল বা মুস্তাহাব ওয়াক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।

(২)
আপনি ধর্য্য সহকারে প্রতিদিনের ফরয ইবাদতগুলো পালন করবেন। যথাসম্ভব গীবত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন। হেকমতের সাথে পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে তারপর দাওয়াত দিবেন।সম্ভব হলে কোনো নেককার মানুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করবেন 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...