আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। আমি জানি কেমন একটু। আমার কারো কাছ থেকে টাকা চেয়ে নিতে ইচ্ছে করে না।আগে এমন হত না কিন্তু এখন হয় ইভেন আব্বু আম্মুর কাছে টাকা চাইতেও খুব কেমন জানি লাগে।মনে হয় তারা খাওয়াচ্ছে, পড়াচ্ছে এই ত বেশি।তাছাড়া, সবসময় টাকা চাওয়াও যায় না, একরকম পরিস্থিতি থাকে না।আবার টাকা দিলেও তারা মাঝে মাঝে তাদের সাথে ১৯/২০ হলেও কথা শুনিয়ে দেন।দেখা যায়, অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস দরকার কিন্তু খুব ইতস্তত লাগছে।যেমন:চশমাটা স্ক্রেচ পরে গেছে পালটানো উচিত, কেনা দরকার ডাক্তার এর কাছে যাওয়া দরকার।কিন্তু আমি চাইতে পারছিনা,আবার সামনে কিছুদিন পরে বই খাতার টাকাও লাগবে।কিন্তু কেমন যেন খুব আত্বসম্মানে লাগে।আমার মনে হয় আমার ভবিষ্যত হাজবেন্ড এর কাছেও টাকা চাইতে পারব না।(জিনিসটা হয় না আমার দ্বারা)।বাহিরে গিয়ে টিউশন করানো ও আব্বুর পছন্দ নয়।আর বাসায় এসে কেও পড়তে চায় না।

১)এখন আমি যদি অনলাইনে বিজনেস করি,আব্বুর থেকে টাকা নিয়ে(আব্বুর হালাল-হারাম)দুই ইনকাম ই আছে।তাহলে, আমার বিজনেস এর উপার্জন ও কি হারাম হবে।বা যদি আম্মুর থেকে টাকা নেই।(আব্বুর টাকাই আম্মু জমায়).

২) বিজনেস করলে মেয়েদের ড্রেস নিয়ে করব সেক্ষেত্রে, আমি কি পেইজে লাইভ করাতে পারব আমার বোনদের দিয়ে সে যদি বোরখা হিজাব নিকাব পরে আশে?ওরা সাবালক।আর যদি না পারি,শুধু মাত্রে গ্রুপ খুলে মেয়েদের জন্য সেখানে লাইভ প্রেজেন্ট করতে পারবে?লাইভ গুলো সেখানে সেইভ থাকল।

৩) আমি ব্যাসিক লেভেল এর তাজউইদ কয়েক জায়গায় পড়েছি,এখন ইন্টা:ন্যাশনাল তাজউইদ কোর্স করছি।এছাড়া হফজ করছি।আমি কি অন্য কাওকে কুরআন শিক্ষা দিতে পারব? আমার ইজাজাহ নেই।

৪)আমি মুলত বিজনেস করতে চাচ্ছি, আমার অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস ই কিনতে পারছিনা।(অন্যান্য ভাই-বোন)ও আছে।উস্তাযাদের হাদিয়া দিতে সমস্যা হচ্ছে ইত্যাদি।আমার জন্য অনলাইনে বিজনেস জায়েজ কি না।
by (50 points)

কাউকে কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় করে দিয়ে  সার্ভিস চার্চ গ্রহণ কি জায়েজ?

[১] ধরুন,  আমার ১টি ডোমেইন হোস্টিন ব্যবসা আছে। কাস্টমার ডোমেইন অর্ডার করলে আমি তা অন্য কোন কোম্পানির কাছ থেকে কিনে কাস্টমারের কাছে বেশি দামে বিক্রয় করি। এটি কি জায়েজ আছে? আমি একজন হুজুরের কাছে শুনেছি, ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আগে পণ্য হস্তগত হতে হবে অন্যথায় জায়েজ হবে না। যেহেতু ডোমেইন হোস্টিন ডিজিটাল পণ্য তাই এটি আগে কিনার কোন উপায় নেই। কাস্টমারে উপরে নির্ভরশীল। এটি কি জায়েজ আছে?

[২] কাস্টমার ডোমেইন অর্ডার করলে আমি তা অন্য কোন কোম্পানির কাছ থেকে অন্য কোন কোম্পানির নির্ধারিত মূল্য দিয়ে কিনে দিয়ে তার সাথে কিছু সার্ভিস চার্চ যুক্ত করে বেশি দামে বিক্রয় করা কি জায়েজ হবে? 

1 Answer

0 votes
by (565,920 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/25087/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হারাম টাকায় ব্যবসা করাও নাজায়েজ। 
হারাম টাকা ব্যবসা জায়েজ হবেনা, সেই ইনকামের টাকা আর বিনিয়োগের টাকা কোনোটাই ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা।
,
তবে কঠিন প্রয়োজন বশত এমনটি হলে উক্ত ব্যবসার লভ্যাংশ ব্যবহারের অনুমতি কিছু ইসলামী স্কলারগন দিয়েছেন।   তারা বলেছেন যে এটি সেই ব্যবসায় তার পরিশ্রমের বিনিময়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ مَخْلَدِ بْنِ خُفَافٍ قَالَ : ابْتَعْتُ غُلَامًا فَاسْتَغْلَلْتُه ثُمَّ ظَهَرْتُ مِنْهُ عَلٰى عَيْبٍ فَخَاصَمْتُ فِيهِ إِلٰى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَضٰى لِىْ بِرَدِّه وَقَضٰى عَلَىَّ بِرَدِّ غَلَّتِه فَأَتَيْتُ عُرْوَةَ فَأَخْبَرْتُه فَقَالَ : أَرُوْحُ إِلَيْهِ الْعَشِيَّةَ فَأُخْبِرُه أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْنِىْ أَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ قَضٰى فِىْ مِثْلِ هٰذَا : أَنَّ الْخَرَاجَ بِالضَّمَانِ فَرَاحَ إِلَيْهِ عُرْوَةُ فَقَضٰى لِىْ أَنْ اٰخُذَ الْخَرَاجَ مِنَ الَّذِىْ قَضٰى بِه عَلَىِّ لَه

মাখলাদ ইবনু খুফাফ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একটি দাস কিনেছিলাম এবং তার মাধ্যমে কিছু উপার্জনও করিয়েছিলাম। অতঃপর আমি তার মধ্যে একটি দোষ সম্পর্কে অবগত হলাম এবং শাসনকর্তা ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ)-এর কাছে আমি তার বিষয়ে অভিযোগ করলাম। তিনি বিচার করলেন যে, আমি তাকে ফেরত দিতে পারবো, তবে অবশ্যই তার দ্বারা উপার্জিত সব কিছুই আমাকে ফেরত দিতে হবে। আমি ‘উরওয়াহ্ (রহঃ)-এর নিকট এ রায় জানালাম। তিনি বললেন, আমি সন্ধ্যাকালেই শাসনকর্তার নিকট যাবো এবং তাঁকে অবহিত করবো। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) আমাকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ জাতীয় ঘটনায় রায় দিয়েছেন যে, উপার্জিত আয় তার তত্ত্বাবধান ব্যয় বলে সাব্যস্ত হবে। ‘উরওয়াহ্ (রহঃ) সন্ধ্যাকালেই ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ)-এর কাছে গেলেন। এমতাবস্থায় তিনি বিচার করলেন যে, উক্ত উপার্জিত আয় তিনি পূর্বে (প্রথমে) যাকে দেয়ার জন্য আদেশ করেছিলেন তার কাছ থেকে আমি যেন তা ফেরত নেই।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ২৮৭৯)

উক্ত সম্পদ দ্বারা ব্যবসা করে যে লভ্যাংশ অর্জিত হয়েছে বা হবে,তাহা গ্রহন করা জায়েজ নেই,এটিই অনেক ইসলামী স্কলারদের মত।

★তবে ইমাম শাফেয়ী ও মালেক রহঃ এর মতে সে ব্যাক্তি লভ্যাংশ নিজের পরিশ্রমের বিনিময় বা পারিশ্রমিক হিসাবে গ্রহণ করতে পারবে  (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৫১)। 
তবে তাদের মতেও এহেন ব্যবসার লাভ পরিত্যাগ করাই অধিকতর নিরাপদ ও তাক্বওয়াপূর্ণ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি যদি আপনার বাবা হতে টাকা নিয়ে ব্যবসা করেন,সেক্ষেত্রে এই টাকা ঋন হিসেবে নিয়ে পরবর্তীতে সম্পূর্ণ ঋনের টাকা ফেরত দিলে আপনার ব্যবসা ও উপার্জন সবই হালাল হবে।

চাই আপনার বাবা হালাল ইনকাম হতে আপনাকে টাকা দিক,অথবা হারাম ইনকাম হতে টাকা দিক।
তারপরেও হালাল টাকা হতে টাকা দেয়ার কথা বলবেন।

আর যদি আপনি সেই টাকা ঋন হিসেবে না নেন,বরং আপনার বাবা সেই টাকা আপনাকে একেবারে দিয়ে দেয়,পরিশোধ করতে আর না হয়।

সেক্ষেত্রে আপনার বাবা আপনাকে হারাম ইনকাম হতে উপার্জিত টাকা দিলে তা দিয়ে ব্যবসা করা জায়েজ হবেনা।

এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসা ও উপার্জন সবই হারাম হবে।

সুতরাং আপনি আপনার বাবাকে বলবেন যে হালাল ইনকাম হতেই যেনো আপনাকে টাকা দেন।
তাহলে আর কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০২)
না,কোনো ভাবেই মহিলাদের দিয়ে লাইভ করাতে পারবেননা।
কেননা এতে যেভাবেই হোক, সেই ভিডিও গায়রে মাহরামের নিকট যাবেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
আপনার কুরআন শুদ্ধ থাকলে আপনি অন্যকে কুরআন শিক্ষা দিতে পারবেন।

(০৪)
শরীয়তের গন্ডির মধ্যে থেকে অনলাইনে বিজনেস করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...