আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
কয়টা প্রশ্নের উত্তর দিয়েন হুজুর।  খুব পেরেশানিতে আছি।
১/ তালাকের অধিকার প্রাপ্ত স্ত্রী যদি (শিউর না যে অধিকার আছে কিনা আর এ বিষয়ে জানতও না)  ঝগড়ার সময় স্বামীর কিছু কথায় তালাক হইছে ধরে নিয়ে বা স্বামী তালাক দিছে মনে করে, মানুষকে বলে তালাক হইছে আমার৷ বা নিজেকে "ডিভোর্সড" বলে পরিচয় দেয়,  তাতে কি কোন তালাক পতিত হবে?
২/ তালাক নিয়ে ঝামেলা চলছিল স্বামী স্ত্রীকে থামানোর জন্য কিছু কথা বলছে যেটা দিয়ে কোনভাবেই সে তালাক নিয়ত করে নাই৷ কিন্তু স্ত্রী নিজে থেকে ধরছে তালাক হয়ত দিছে।
সেটার জন্য পরে স্ত্রী স্বামীকে যদি বলে ২ তালাক হয়ে গেছে, তালাক হয়ে গেল, আপনি বলে দিলেন, স্বামী যদি হ্যা বা না কিছু না বলে "হুম" বলে। তাতে কি তালাক হয়?
যদি বলে "বলছি আমি যা বলার, আর কিছু বলতে পারব না",  তাতে কি তালাক হবে?
স্বামী হুম শব্দটা কথা এড়ানোর জন্য বা কিছু বলবে না বুঝাতে ব্যবহার করে সবসময়৷ অইসময় সরাসরি মানা করে নাই কারন স্ত্রী রাগ হলে এই বিষয় নিয়ে কথা বলা থামায় না। অনেক ঝামেলা করে৷
৩/ স্ত্রী  শান্ত হবার পর স্বামীকে সরাসরি  জিজ্ঞেস করায় সে বলছে কোন তালাক হয় নাই৷ আমি দেই নাই৷ সে নিজে থেকে কখনো এটা বলেও নাই যে তালাক দিছে বা তালাক বলছে। তাকে যতবার জিজ্ঞেস করা হইছে সে বলছে কোন তালাক হয় নাই।  আমি দেই নাই৷
স্ত্রী বলতেছে হয়ত ২তালাক হয়ে গেছে, সাবধান থাকতে হবে৷  স্বামী বলল "হুম বা আচ্ছা"। তার এই কথায় কি তালাক হতে পারে?

৪/একবার স্ত্রী এমন বলতেছিল যে তালাক হইছে স্বামী হয় নাই বুঝাতে রাগে বলল " বালের তালাক হইছে" এই কথায় কি তালাক হবে?

৫/ হুজুর স্ত্রী বলল "আমি দিলে হবে না বা আমি তালাক বললে হবে না" এতে কি তালাকের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে?  অধিকার কি স্ত্রী ফিরিয়ে দিতে পারবে?

হুজুর তালাকের সন্দেহ নিয়ে কি সংসার ভেংগে ফেলা ঠিক হবে?
by (721,400 points)
ওয়াসওয়াসা মূলক কোনো প্রশ্নের জবাব দেওয়া যাবে না বলে আমাদের প্রতিষ্টানের মাশওয়ারায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সুতরাং এ সম্পর্কে কোনো প্রকার অনুরোধ করবেন না।জাযাকুমুল্লাহ।
by
হুজুর কোর্স এর লিংকে ঢুকলেও তো কাজ করে না৷ এপ্লাই করা যায় না৷ এক্ষেত্রে কি করব?
by (721,400 points)
আপনি আমাদের অফিসে যোগাযোগ করেন।জাযাকুমুল্লাহ। 

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।

https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...