আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (91 points)
reshown by
১. আমার এক স্টুডেন্ট এর বাসায় আমাকে প্রায়ই খাওয়ায়, আজকে হঠাৎ বলছে,কালকে স্যার আপনার দাওয়াত কালকে কখন আসবেন বলেন, দুপুরে না কি রাতে, আমি স্বাভাবিক কিছুক্ষন না করার পরে বললাম ঠিক আছে রাতে আসবো। তখন বললেন ঠিক আছে রাতেই ব্যবস্থা করবো, বলে যাওয়ার সময় বললেন, পয়লা দিন,সবাই একসাথে খাইলাম...।

এখন এই কথায় তো খুবই চিন্তায় পড়ে গেলাম, তারা পয়লা তারিখ উপলক্ষেই রান্না করছেন কি না তা তো শিওর না, না কি অন্য কারণে রান্না করবেন পয়লা তারিখ পরে গেছে তাও শিওর না। এখন এই দাওয়াত কি করবো, আসবো বলে এসেছি এখন তো চিন্তায় পরে গেলাম...

২. আমি আর আমার স্ত্রী একটা স্থানে গেলাম, সেখানে তার যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো না, কিন্তু তাও গেলো কিন্তু মন খারাপ করে ফেললো,তখন আমি বললাম তাহলে চলো ফিরে যাই  তখন সে রাগ করে বলে উঠে " তর সাথে ব্রেকাপ।  সব সম্পর্ক শেষ কইরা দিমু"
এটা বলার পর থাকে পরে আমি তাকে খুশি করাই, এর একটু পরেই তাকে জিগ্যেস করি, এই কথা তুমি তালাকের নিয়তে বলেছো কি না, সে বললো, এই শব্দ তার মুখ দিয়ে আসবে না তাই এটা বলেছে। আবার বললো, আমাদের তো ব্রেকআপের সম্পর্ক না। ( উল্লেখ্য, সাধারণত অবিবাহিত অবস্থায় যারা রিলেশনে থাকে তাদের সম্পর্ক শেষ বুঝাতে আমাদের দেশে ইদানিং ব্রেক আপ শব্দের প্রচলন হয়েছে)

 আবার বললো, তার এই কথা বলার সময়ের নিয়তের কথা পুরোপুরি মনে নাই, তবে তার বেশি অংশ মন সায় দিচ্ছে,  সে ভয় দেখানোর জন্য, এভাবে আমাকে কথাটা বলেছে।
এখন আমার বউ এর যদি তালাকের অধিকার দেওয়া থাকে তবে কি তার এই কথায় আমাদের সংসারে কোনো সমস্যা হবে?

৩. একজন আমকে হঠাৎ জিজ্ঞেসা করলো তোমার বউকে না কি শুনলাম ডিভোর্স দিয়ে দিছো? আমি আশ্চর্য  প্রকাশ করার জন্য বলি, "হ্যাহ!"  আমি তার জবাবে হ্যা বলিননাই এটা সেও বুঝেছে যে অবাক হয়ে বলেছি, এভাবে "হ্যাহ/হ্যা!" বলার জন্য কি কোনো সমস্যা হবে?

৪. হানাফি মাজহাবের হুরমতে মুশাহারাত এর বিষয় গুলো কেও যদি অবিশ্বাস করে, তার রেফারেন্সের হাদীস গুলোর কথা বলে, এই সব হাদীস আবার কেমন হাদীস যা আর কেও জানলো না! এটা কেমন হাদীস অন্য কোনো বড় হাদীসে বইয়ে যার আলোচনাই নাই, অর্থাত এগুলো কে সে জাল/বানেয়াট হাদীস মনে করে। তাহলে কি সে কাফের হয়ে যাবে?

৫. মোবাইলের গ্লাসে অতিক্ষুদ্র পেশাবের ছিটা পরে, এটা টেম্পার গ্লাস ছিলো ১০০ টাকা দাম, আমি এটা উঠিয়ে ফেলে না দিয়ে, হাত ভিজিয়ে তিনবার পুছে শুকিয়েছি, পরে একটা কাপড়  ভিজিয়ে মুছেছি, ভিজিয়ে চিপে তিনবার মুছেছি ... তারপর এটা পকেটে নিয়ে নামাজ পরেছি..বেশ কবার, এই নামাজ গুলো কি হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (574,590 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/37645/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
যেকোনো ধরণের দিবস পালনে হুকুম সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
,
কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেন       
দিবস পালনের মূল বিষয়টি এসেছে বিধর্মীদের থেকে।  সুতরাং বলা যায় এর মূল জিনিসটিই ইসলামে প্রত্যাখ্যাত। তা যে কোনো পদ্ধতিতেই হোক। আল্লাহ তাআ’লা বলেন,

اتَّبِعُواْ مَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلاَ تَتَّبِعُواْ مِن دُونِهِ أَوْلِيَاء

তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোন বন্ধু বা অভিভাবকের অনুসরণ করো না। (সূরা আ’রাফ ৩)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের অনুরূপ অবলম্বন করে, সে তাঁদেরই দলভুক্ত। (আবূ দাঊদ ৪০৩১)
,
★অন্যান্য উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে শরীয়ত সম্মত পন্থায় স্বাধীনতা দিবস,বিজয় দিবস ইত্যাদি পালন জায়েজ।
তবে যেই দিবস সরাসরি ইহুদি খ্রিস্টানদের থেকেই এসেছে,যেমন ভ্যালেন্টাইন্স ডে,থার্টি ফার্স্ট নাইট,পহেলা বৈশাখ,ইত্যাদি সেগুলো কোনো ভাবেই পালন করা জায়েজ নেই।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের থেকে জেনে নিতে হবে যে তারা আজকে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে বিশেষ রান্না করেছেন কিনা?

যদি তারা থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে বিশেষ রান্না করে থাকেন,তাহলে সেই খাবার খাওয়া জায়েজ হবেনা।
এক্ষেত্রে আপনাদের গুনাহ হবে।

থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে বিশেষ রান্না না করে থাকেন,এমনিতেই অন্যান্য সাধারণ দিনের মতোই রান্না করে থাকেন,তাহলে সেই খাবার খাওয়া যাবে।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরন মতে সে কাফের হয়ে যাবেনা।

(০৫)
নামাজ গুলি হয়েছে।

(২.৩)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...