আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (26 points)
আসসালামু'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমার এক বোনের জিজ্ঞাসা।  নিচের প্রশ্নের উত্তর জানা প্রয়োজন -


"আমার আম্মু একজন এর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন এবং নেয়ার সময় কথা হয়েছে যে আরও অতিরিক্ত ২০ হাজার লাভ দিতে হবে তাকে আমার আম্মু তখন সুদ এর গুনাহ সম্পর্কে বুঝতেন না। এখন আলহামদুলিল্লাহ আমরা সুদ সম্পর্কে জানি এবং এর শাস্তি সম্পর্কে জানি।এইজন্য আমরা ওই লোকের কাছে মাফ চেয়েছিলাম ৩০ হাজার টাকা দিয়ে দিয়েছি আর অতিরিক্ত ২০ হাজার মাফ করে দিতে বলেছি।কিন্তু সে কিছুতেই মানবে না সে এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন যে টাকা না দিলে আমাদের পরিবার এর উপর একটা বড়সর ঝামেলা করবে,আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। আমাদের ২০ হাজার টাকা দিতে কষ্ট হলেও আমরা তা দেয়ার সামর্থ্য রাখি কিন্তু সুদ দেয়া,নেয়া,লেখা,সাক্ষী ৪ দলই তো গুনাহগার।


আমরা তাকে দিতে চাচ্ছিনা কিন্তু সে জোড় করে তা আদায় করতে চাচ্ছে এমতাবস্থায় আমাদের করনীয় কি? আর এইজন্য কি আমাদের গুনাহগার হতে হবে? আমরা তো আগে না জেনে এনেছিলাম এবং এখন জানার পর গুনাহের ভয়ে তাকে দিতে চাচ্ছিনা কিন্তু সে নিবেই এবং তাকে দিতেই হবে আমাদের।


এখন এইজন্য কি আমাদের গুনাহ হবে?"

1 Answer

0 votes
by (714,080 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সুদে ঋণ গ্রহণের জন্য আপনারা তাওবাহ করবেন।
খালিছ নিয়তে তাওবাহ করলে আল্লাহ তা'আলা অতীতের সকল প্রকার গোনাহ সমূহকেও নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا*يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا*
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُوْلَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا *وَمَن تَابَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَإِنَّهُ يَتُوبُ إِلَى اللَّهِ مَتَابًا
এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে।কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।যে তওবা করে ও সৎকর্ম করে, সে ফিরে আসার স্থান আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।(সূরা ফুরকান-৬৮--৭১)

যদি ঝামেলা হওয়ার আশংকা থাকে, তাহলে আপনারা অপারগ অবস্থায় সুদ দিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,080 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 88 views
...