১/বিকাশ থেকে নগদে,নগদ থেকে বিকাশে টাকা কম বেশি করে এক্সচেঞ্জ করা বৈধ হবে কিনা????
যেমন আমি একজনকে বললাম ভাই আমি আপনার বিকাশ একাউন্টে ১০১০ টাকা দিব আর আপনি আমার নগদ একাউন্টে ১০০০ দিবেন এটা জায়েজ হবে কিনা।
২/রকেট থেকে আমি যদি এটিএমে টাকা বের করি তাহলে আমার প্রতি হাজারে খরচ হয় 9 টাকা। আর বিকাশের মাধ্যমে এটিএম বা প্রিয় নাম্বারে টাকা বের করলে খরচ হয় ১৫ টাকা।
এখন জানার বিষয় হল
আমি কাউকে রকেটে ১০০৯ টাকা দিলে সে যদি আমার বিকাশ অ্যাকাউন্টে ১০১৫ টাকা দেয়, অর্থাৎ প্রতি হাজারে ছয় টাকা করে বেশি দেয় বা কমবেশি দেই তাহলে উক্ত ৬ টাকা বা কমবেশি টাকা গ্রহণ করা জায়েজ হবে কিনা,
৩/অনেককেই দেখি তারা বিভিন্ন অফার গ্রুপের মধ্যে এভাবে পোস্ট দেয়,
বিকাশে ৩০০০ টাকা দিব আর রকেটে ৩০০০টাকা নিব
সাথে ২০ টাকা হাদিয়া দিব। কেউ নিতে চাইলে ইনবক্সে আসেন। তো এভাবে টাকা কম বেশি করে লেনদেন করা জায়েজ হবে কিনা।
৪/বর্তমানে বিভিন্ন whatsapp বা মেসেঞ্জার অফার ক্রয় বিক্রয় গ্রুপে ক্রেতা বিক্রেতারা এমবি মিনিট ক্রয় বিক্রয় করে। আর এই সমস্ত গ্রুপে টাকা দিয়ে এড হতে হয়।
কিন্তু যারা এই সমস্ত গ্রুপে এড থাকেনা তারা কখনো অফার কিনতে হলে যারা এড আছে তাদের মধ্যস্থতা হয়ে অফার কিনতে হয়, তাই মধ্যস্থতাকারী ক্রয় মূল্য থেকে কিছু অতিরিক্ত টাকা ক্রেতা থেকে গ্রহণ করে
যেমন রাশেদ একজন ক্রেতা খালেদ বিক্রেতা নাসির মধ্যস্থতাকারী, এখন রাশেদের ২০০ মিনিট প্রয়োজন হল সে নাসিরকে বলল, নাসির ২০০ মিনিটের দাম ১১০ টাকা বলল, তখন রাশেদ তার নাম্বারে ২০০ মিনিট দিতে বলল, নাম্বার পেয়ে নাসির খালেদ থেকে ২০০ মিনিট ১০০ টাকায় ক্রয় করল, অর্থাৎ এখানে ক্রেতা হচ্ছে রাশেদ আর বিক্রেতা হচ্ছে খালেদ আর নাসির হচ্ছে মধ্যস্থতাকারী, তাই রাশেদ 110 টাকা দিল নাসিরকে নাসির ১০০ টাকা দিল খালেদকে,
এখন জানার বিষয় হল, এভাবে ক্রেতা বিক্রেতার মাঝে মধ্যস্থকারী হয়ে অতিরিক্ত ১০ টাকা তার জন্য গ্রহণ করা বৈধ হবে কিনা??
উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো যদি বৈধ না হয় তাহলে যদি কোন বৈধ পদ্ধতি থাকে সেগুলো জানানোর জন্য অনুরোধ করছি
মুফতি সাহেবগণের নিকট দলিলসহ উত্তরগুলো পয়েন্ট আকারে দ্রুত কামনা করছি।
আল্লাহ তায়ালা হযরতদেরকে উত্তম বিনিময় দান করুক দুনিয়া ও আখেরাতে।