আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
আসসালামুআলাইকুম।

মদ এবং গুন্নাহ এই বিষয় টা নিয়ে ওয়াস ওয়াসা ছাড়তেছেনা। মনে হচ্ছে বার বার মনে হয় যে নামাজ সহ আরো যা দোয়া দুরুদ পরি সব মনে হয় ভুল হচ্ছে।

১) তাজবীদ মূলত কাকে বলে? মদ গুন্নাহ টাই আদায় করা কি পূর্ন তাজবীদ?

২) মদ কত প্রকার এবং কি কি?

৩) নামাজের কেরাতে এবং তাশাহুদ দুরুদ মাসূরা তে যদি ১ আলিফ, ৩ আলিফ, ৪ আলিফ কোনো মদ আদায় না করি তাহলে কি নামাজ হবে?

৪) আমি যদি কোনো গুন্নাহ আদায় না করি তাহলে কি নামাজ হবে??

৫) কুরআন তেলাওয়াত এবং নামাজের কেরাত দুইটায় কি একই বিধান? মদ গুন্নাহ আদায় না করলে গুনাহ হবে?

৬) সকাল সন্ধার দোয়া, আয়তুল কুরছি, তিন কুল , সাইয়েদুল ইসতিগফার, আরো ছোট বড় যে সকল দোয়া দুরুদ জিকির আছে এগুলো পড়ার সাধারণ নিয়ম কি? এগুলো কি কুরআন এর মতো মদ গুনাহ আদায় করে পড়তে হয় নাকি মদ গুনাহ ছাড়াই পড়তে হয়?

৭) নামজের তাসবিহ, তাশাহুদ, দুরুদ, মাসুরা, এগুলো কি কেরাতের অনুর্ভুক্ত নাকি দোয়ার অন্তর্ভুক্ত? এগুলো সকাল সন্ধার দোয়া দুরুদ জিকিরের মতো মদ গুনাহ ছাড়া পড়া যাবে?

৮) রুকু থেকে উঠার পর দাড়ানো অবস্থায় সেজদা দেওয়ার আগে সতর দেখা যাবে এই ভয়ে দুই হাত দিয়ে শার্ট বা টিশার্ট টেনে নামিয়ে দেয় তারপর সেজদা দেয় । আর এটা অভ্যাস হয়ে গেছে এটা কি আমলে কাছীর হবে? আমলে কাছীর সম্পর্কে আগে জানা ছিলো না। দুই হাত ব্যবহার করলে নাকি ভেঙে যায় এটা শুনেই ভয় লাগতেছে।

৯) একই রুকনে তিনবার চুলকালে বা হাত নাড়ালে আমলে কাছীর হয় নাকি একই রুকনে একবার বা তিনবার মিলে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় হাত নাড়ালে বা চুলকালে আমলে কাছীর হয়। অনেক পোস্ট পড়ছি কিন্তু এটা ক্লিয়ার হতে পারছিনা।
১০) নামাজে কেরাত পড়া অবস্থায় পায়ের মুড়ি হালকা উপরে নিচে করে শরীর সামনে পিছনে সামান্য করে বারবার ঢুললে কি আমলে কাছীর হবে?? এটা অভ্যাস হয়ে গেছে আমলে কাছীর সম্পর্কে জানার পর সন্দেহ হচ্ছে।

১১) গোসল ফরজ হওয়া অবস্থায় সকাল সন্ধার এবং ঘুমের আগে দোয়ার আমল যেমন আয়তুল করছি, তিন কুল, সাইয়েদুল ইসতিগফার, সূরা বাকারা শেষ ২ আয়াত এগুলো পড়া যাবে?

১২) নামাজের মুখস্ত সূরা গুলো রিপিট করে পড়া এবং সূরা ইখলাস ১০ বার পড়া এবং রাতে ঘুমের আগে সূরা মূলক ৩০ আয়াত পড়লে কোরআন পড়ার যে সাওয়াব সেটা কি পাবো? রেগুলার যে কোরআন পড়তে বলা হয়ছে আমি শুধু মুখস্ত সূরা আর সূরা মূলক রেগুলার পরার মাধ্যমেই এই হক কি আদায় হবে? কেয়ামতের দিন কোরআন পরি নাই কেনো বা খতম দি নাই কেনো এসবের জন্য কি আলাদা ভাবে ধরা হবে?

১৩) আমার ভিতরে সব কিছু নিয়ে অতিরিক্ত সন্দেহ ওয়াস ওয়াসা কাজ করে আর কখনো কোনো সন্দেহ সত্যি হলে তখন সব বিষয়ে ওয়াস ওয়াসা আরো বেড়ে যায় মাথায় অনেক চাপ পড়ে আমার।। আর একই বিষয় জানার পরেও বার বার শিওর হতে চাওয়া ঐটা নিয়ে পরে থাকা এসব মানুষিকতা কাজ করে।

1 Answer

0 votes
by (690 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ মুহতারমা/মুহতারাম 
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 
 বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 

by
আমার বাকি ১ - ১২ নাম্বার প্রশ্ন গুলোর উত্তর টা দেন প্লিজ। আমি ঐটার জন্য অপেক্ষা করছি। ঐ উত্তর গুলো আমার আগে জানার দরকার। প্লিজ ঐ উত্তর গুলো দেন।।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 973 views
...