আসসালামুআলাইকুম।
মদ এবং গুন্নাহ এই বিষয় টা নিয়ে ওয়াস ওয়াসা ছাড়তেছেনা। মনে হচ্ছে বার বার মনে হয় যে নামাজ সহ আরো যা দোয়া দুরুদ পরি সব মনে হয় ভুল হচ্ছে।
১) তাজবীদ মূলত কাকে বলে? মদ গুন্নাহ টাই আদায় করা কি পূর্ন তাজবীদ?
২) মদ কত প্রকার এবং কি কি?
৩) নামাজের কেরাতে এবং তাশাহুদ দুরুদ মাসূরা তে যদি ১ আলিফ, ৩ আলিফ, ৪ আলিফ কোনো মদ আদায় না করি তাহলে কি নামাজ হবে?
৪) আমি যদি কোনো গুন্নাহ আদায় না করি তাহলে কি নামাজ হবে??
৫) কুরআন তেলাওয়াত এবং নামাজের কেরাত দুইটায় কি একই বিধান? মদ গুন্নাহ আদায় না করলে গুনাহ হবে?
৬) সকাল সন্ধার দোয়া, আয়তুল কুরছি, তিন কুল , সাইয়েদুল ইসতিগফার, আরো ছোট বড় যে সকল দোয়া দুরুদ জিকির আছে এগুলো পড়ার সাধারণ নিয়ম কি? এগুলো কি কুরআন এর মতো মদ গুনাহ আদায় করে পড়তে হয় নাকি মদ গুনাহ ছাড়াই পড়তে হয়?
৭) নামজের তাসবিহ, তাশাহুদ, দুরুদ, মাসুরা, এগুলো কি কেরাতের অনুর্ভুক্ত নাকি দোয়ার অন্তর্ভুক্ত? এগুলো সকাল সন্ধার দোয়া দুরুদ জিকিরের মতো মদ গুনাহ ছাড়া পড়া যাবে?
৮) রুকু থেকে উঠার পর দাড়ানো অবস্থায় সেজদা দেওয়ার আগে সতর দেখা যাবে এই ভয়ে দুই হাত দিয়ে শার্ট বা টিশার্ট টেনে নামিয়ে দেয় তারপর সেজদা দেয় । আর এটা অভ্যাস হয়ে গেছে এটা কি আমলে কাছীর হবে? আমলে কাছীর সম্পর্কে আগে জানা ছিলো না। দুই হাত ব্যবহার করলে নাকি ভেঙে যায় এটা শুনেই ভয় লাগতেছে।
৯) একই রুকনে তিনবার চুলকালে বা হাত নাড়ালে আমলে কাছীর হয় নাকি একই রুকনে একবার বা তিনবার মিলে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় হাত নাড়ালে বা চুলকালে আমলে কাছীর হয়। অনেক পোস্ট পড়ছি কিন্তু এটা ক্লিয়ার হতে পারছিনা।
১০) নামাজে কেরাত পড়া অবস্থায় পায়ের মুড়ি হালকা উপরে নিচে করে শরীর সামনে পিছনে সামান্য করে বারবার ঢুললে কি আমলে কাছীর হবে?? এটা অভ্যাস হয়ে গেছে আমলে কাছীর সম্পর্কে জানার পর সন্দেহ হচ্ছে।
১১) গোসল ফরজ হওয়া অবস্থায় সকাল সন্ধার এবং ঘুমের আগে দোয়ার আমল যেমন আয়তুল করছি, তিন কুল, সাইয়েদুল ইসতিগফার, সূরা বাকারা শেষ ২ আয়াত এগুলো পড়া যাবে?
১২) নামাজের মুখস্ত সূরা গুলো রিপিট করে পড়া এবং সূরা ইখলাস ১০ বার পড়া এবং রাতে ঘুমের আগে সূরা মূলক ৩০ আয়াত পড়লে কোরআন পড়ার যে সাওয়াব সেটা কি পাবো? রেগুলার যে কোরআন পড়তে বলা হয়ছে আমি শুধু মুখস্ত সূরা আর সূরা মূলক রেগুলার পরার মাধ্যমেই এই হক কি আদায় হবে? কেয়ামতের দিন কোরআন পরি নাই কেনো বা খতম দি নাই কেনো এসবের জন্য কি আলাদা ভাবে ধরা হবে?
১৩) আমার ভিতরে সব কিছু নিয়ে অতিরিক্ত সন্দেহ ওয়াস ওয়াসা কাজ করে আর কখনো কোনো সন্দেহ সত্যি হলে তখন সব বিষয়ে ওয়াস ওয়াসা আরো বেড়ে যায় মাথায় অনেক চাপ পড়ে আমার।। আর একই বিষয় জানার পরেও বার বার শিওর হতে চাওয়া ঐটা নিয়ে পরে থাকা এসব মানুষিকতা কাজ করে।