জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
মহানবী সাঃ এর উপর কুরআন আরবি ভাষায় নাযিল হয়েছিলো।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
اِنَّاۤ اَنۡزَلۡنٰہُ قُرۡءٰنًا عَرَبِیًّا لَّعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۲﴾
নিশ্চয় আমরা এটা নাযিল করেছি কুরআন হিসেবে আরবী ভাষায় যাতে তোমরা বুঝতে পার।
(সুরা ইউসুফ ০২)
وَ کَذٰلِکَ اَنۡزَلۡنٰہُ حُکۡمًا عَرَبِیًّا ؕ وَ لَئِنِ اتَّبَعۡتَ اَہۡوَآءَہُمۡ بَعۡدَ مَا جَآءَکَ مِنَ الۡعِلۡمِ ۙ مَا لَکَ مِنَ اللّٰہِ مِنۡ وَّلِیٍّ وَّ لَا وَاقٍ ﴿۳۷﴾
আর এভাবেই আমরা কুরআনকে নাযিল করেছি আরবী ভাষায় বিধানরূপে। আর জ্ঞান পাওয়ার পরও যদি আপনি তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করেন তবে আল্লাহর বিরুদ্ধে আপনার কোন অভিভাবক ও রক্ষক থাকবে না।(সুরা আর রা'দ ৩৭)
وَ کَذٰلِکَ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ قُرۡاٰنًا عَرَبِیًّا لِّتُنۡذِرَ اُمَّ الۡقُرٰی وَ مَنۡ حَوۡلَہَا وَ تُنۡذِرَ یَوۡمَ الۡجَمۡعِ لَا رَیۡبَ فِیۡہِ ؕ فَرِیۡقٌ فِی الۡجَنَّۃِ وَ فَرِیۡقٌ فِی السَّعِیۡرِ ﴿۷﴾
আর এভাবে আমরা আপনার প্রতি কুরআন নাযিল করেছি আরবী ভাষায়, যাতে আপনি মক্কা ও তার চারদিকের জনগণকে সতর্ক করতে পারেন এবং সতর্ক করতে পারেন কিয়ামতের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল থাকবে জান্নাতে আরেক দল জলন্ত আগুনে।
(সুরা আশ শুরা ০৭)
মুসা (আ.)-এর ভাষা হিব্রু ছিল, তাই তাঁর ওপর নাজিলকৃত কিতাব তাওরাত হিব্রু ভাষায় নাজিল করা হয়।
যাবুর কোন ভাষায় নাজিল হয়েছিল তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় না। তবে ‘অনেক ইসলামী স্কলারদের মতে দাউদ (আ.) ছিলেন বনি ইসরাঈলের নবী। আর কোরআনের ভাষ্যমতে, মহান আল্লাহ কোনো রাসুলকে তার জাতির ভাষা ছাড়া পাঠাননি। (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৪)
বনি ইসরাঈলের মাতৃভাষা যেহেতু হিব্রু ছিল, তাই ‘যাবুর’ হিব্রু ভাষায় অবতীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ইবনে কাসির (রহ.)-এর মতে, ঈসা (আ.)-এর ভাষা সুরিয়ানি ছিল। ইবনে তাইমিয়্যাহ (রহ.) ও ইবনে কাইয়িম (রহ.)-এর মতে তাঁর ভাষা ছিল হিব্রু। সে হিসেবে ইঞ্জিল সুরিয়ানি বা হিব্রু ভাষায় নাজিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে কেহ কেহ বলেছেন যে ইঞ্জিল ইউনানি বা গ্রিক ভাষায় ছিল।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
দুনিয়াতে যেই রাসুলের ভাষা যা ছিলো,সেই ভাষাতেই তাদের উপর কিতাব নাযিল হয়েছিলো।
একেক নবির ভাষা যেহেতু একেকরকম ছিলো,তাই আসমানি কিতাব গুলি মূলত বিভিন্ন ভাষায় নাযিল হয়েছিলো।
লাওহে মাহফুজ এ যেই কুরআন সংরক্ষিত আছে আর যা যা কিছু লিপিবদ্ধ আছে,সেগুলো মূলত কোন ভাষায় লিপিবদ্ধ,বিষয়টি কুরআন হাদীসে পাইনি।
উল্লেখিত ব্যপারটি যেহেতু আমাদের জন্য জরুরী কোনো বিষয় নয়,দুনিয়া ও আখেরাতের কোনো বিষয়ই সেটি জানার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়,বিষয়টি আমাদের আমল সংশ্লিষ্ট না হওয়া ও মাসয়ালা মাসায়েল জাতীয় না হওয়ায় এ ধরনের প্রশ্ন না করারই পরামর্শ থাকবে।