জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এই দুইজনের উপার্জন হালাল হবে।
তবে এক্ষেত্রে কোনো মিথ্যার আশ্রয় নেয়া যাবেনা।
(০২)
এক্ষেত্রে তার ইনকাম সোর্চ জানতে হবে।
না জেনে মনের মধ্যে সন্দেহ রেখে এভাবে হাদিয়া নিবেননা।
(০৩)
আল্লাহ তাআলার বাণী;
ل لاَّ أَجِدُ فِي مَا أُوْحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَى طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلاَّ أَن يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا مَّسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ
আপনি বলে দিন, যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র। (সূরা আল আনআ’ম ১৪৫)
বাদায়ে’-গ্রন্থে (৫/৬১) এসেছে,
وَأَمَّا بَيَانُ مَا يَحْرُمُ أَكْلُهُ مِنْ أَجْزَاءِ الْحَيَوَانِ الْمَأْكُولِ فَاَلَّذِي يَحْرُمُ أَكْلُهُ مِنْهُ سَبْعَةٌ: وهي: الدم المسفوح، والذكر، والأنثيان، والقبُل، والغدة، والمثانة، والمرارة. لقوله عز شأنه: {ويحل لهم الطيبات ويحرم عليهم الخبائث} [الأعراف:157/ 7] وهذه الأشياء السبعة مما تستخبثه الطباع السليمة. وروي عن مجاهد أنه قال: «كره رسول الله صلّى الله عليه وسلم من الشاة: الذكر، والأنثيين، والقبل، والغدة، والمرارة، والمثانة والدم» والمراد منه كراهة التحريم، بدليل أنه جمع بين الأشياء الستة وبين الدم، في الكراهة، والدم المسفوح محرم. والمروي عن أبي حنيفة أنه قال: «الدم حرام، وأكره الستة» أطلق اسم الحرام على الدم المسفوح، لأنه ثبت بدليل مقطوع به وهو المفسر من الكتاب قال الله تعالى – { أَوْ دَمًا مَّسْفُوحًا }
‘হালাল প্রাণীর সাতটি অংশ খাওয়া নিষেধ। তাহল, প্রবাহিত রক্ত, পুরুষ লিঙ্গ, অন্ডকোষ, স্ত্রী লিঙ্গ , চামড়ার নিচের টিউমারের মতো উঁচু গোশত, মুত্রথলি, পিত্ত। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষণা করেন ও নিষিদ্ধ করেন নোংরা বস্তুসমূহ।–সূরা আল-আ’রাফ ১৫৭।
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
চিংড়ি, শিং মাছের রগ খাওয়া হালাল।
তবে কেহ কেহ অপছন্দ করে থাকেন।
(০৪)
নিষিদ্ধ সময়ে পড়া যাবেনা।
নিষিদ্ধ সময় পার হওয়ার পর কাজা আদায় করতে হবে।
নিষিদ্ধ সময়ে পড়লে সেটি আদায় হবেনা।
পুনরায় আদায় করা আবশ্যক হবে।
এটিই হানাফি মাযহাবের ফতোয়া।
(০৫)
বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে এসে পাত্রের বাবা পাত্রীর কুরআন তেলাওয়াত শুনতে পারবেননা।
তার জন্য এটি নাজায়েজ।
ঘরে শুধু পাত্র পাত্রী দুজন কথাবার্তা বলতে পারবে। তবে একাকিত্ব জায়েজ নয়। অবশ্যই সেই ঘরে মেয়ের মাহরাম বা অন্য কোনো ব্যাক্তি থাকতে হবে।
তবে সেই রুমে (পাত্র ছাড়া) পাত্রীর গায়রে মাহরাম কেউ থাকবেনা।
(০৬)
হাদীসের কিতাবের কোথাও উক্ত তথ্য পাইনি।
(০৭)
এক্ষেত্রে নাজায়েজ বিজ্ঞাপন ছাড়া যদি হালাল বিজ্ঞাপন না থাকে,সেক্ষেত্রে ইনকাম হালাল হবেনা।
বিজ্ঞাপন হালাল হতে হবে।