আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in পবিত্রতা (Purity) by (27 points)
আস সালামু আলাইকুম,
আমার দুটি প্রশ্ন।

১. আমার দাড়ির কিছু অংশ ঘন আর কিছু অংশ পাতলা ঘন অংশের পরিমাণ ই বেশী।আমারা ক্ষেত্রে ওযুর সময়ে দাড়ি ধোয়ার বিধান কি?

২. আমি একটি কবীরা গুনাহ ছাড়তে পারছিনা। দুনিয়ার কেউ জানে না, কিন্তু আমি জানি যে আমি প্রায় ই সে গুনাহ তে লিপ্ত হই।  সুদ, ঘুষ, যেনা বা কারো হক্ব নষ্ট  বা সবাই দেখে এরকম  কোনো কিছু না। অন্য একটা গুনাহ। এই যে আমি প্রায় ই এই গুনাহ তে লিপ্ত হই, তারপর যদিও অনুশোচনা হয়, তওবা ও করি। তবুও এই গুনহ তে লিপ্ত হওয়ার জন্য কি আমাকে ফাসিক বলা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُخَلِّلُ لِحْيَتَهُ

উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাড়ি খিলাল করতেন। -সহীহ। (তিরমিজি ৩১.ইবনু মাজাহ– (৪৩০)।

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ أَبِي الْمُخَارِقِ أَبِي أُمَيَّةَ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ بِلاَلٍ، قَالَ رَأَيْتُ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ تَوَضَّأَ فَخَلَّلَ لِحْيَتَهُ فَقِيلَ لَهُ أَوْ قَالَ فَقُلْتُ لَهُ أَتُخَلِّلُ لِحْيَتَكَ قَالَ وَمَا يَمْنَعُنِي وَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُخَلِّلُ لِحْيَتَهُ .

আবদুল করীম ইবনু আবুল মুখারিক আবু উমাইয়া হতে হাসসান ইবনু বিলালের সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ)-কে ওযু করার সময় দাড়ি খিলাল করতে দেখলাম। তাকে বলা হল, অথবা তিনি (হাসসান) বলেছেন, আমি তাঁকে বললাম, আপনি দাঁড়ি খিলাল করছেন? তিনি (আম্মার) বললেনঃ (এ কাজে) কে আমাকে বাধা দিবে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তার দাঁড়ি খিলাল করতে দেখেছি।
(সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৪২৯) তিরমিজি ২৯)

وفي الشامیة:
"(قوله: وأصول شعر الحاجبین) یحمل هذا علی ما إذا کانا کثیفین، أما إذا بدت البشرة فیجب، کما یأتي له قریباً عن البرهان، وکذا یقال في اللحیة والشارب". (۱/۲۱۱، أرکان الوضوء )
সারমর্মঃ-
যদি দাড়ি ঘন হয়,সেক্ষেত্রে চামড়ার নিচে পানি পৌছানো ফরজ নয়। তবে যদি চামরা প্রকাশ পায় (দেখা যায়) সেক্ষেত্রে দাড়ির চামড়ার নিচে পানি পৌছানো ফরজ।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি পাতলা অংশের নিচে পানি পৌছাবেন।
যাতে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছে যায় 
আর ঘন দাড়ির উপর পানি দিয়ে খিলাল করবেন।

(০২)
আপনি যেহেতু গুনাহটি প্রকাশ্যে করছেননা,তাই আপনাকে ফাসেক বলা হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 93 views
...