জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
অযুতে দাড়ি খিলাল করা সুন্নাত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُخَلِّلُ لِحْيَتَهُ
উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাড়ি খিলাল করতেন। -সহীহ। (তিরমিজি ৩১.ইবনু মাজাহ– (৪৩০)।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ أَبِي الْمُخَارِقِ أَبِي أُمَيَّةَ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ بِلاَلٍ، قَالَ رَأَيْتُ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ تَوَضَّأَ فَخَلَّلَ لِحْيَتَهُ فَقِيلَ لَهُ أَوْ قَالَ فَقُلْتُ لَهُ أَتُخَلِّلُ لِحْيَتَكَ قَالَ وَمَا يَمْنَعُنِي وَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُخَلِّلُ لِحْيَتَهُ .
আবদুল করীম ইবনু আবুল মুখারিক আবু উমাইয়া হতে হাসসান ইবনু বিলালের সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ)-কে ওযু করার সময় দাড়ি খিলাল করতে দেখলাম। তাকে বলা হল, অথবা তিনি (হাসসান) বলেছেন, আমি তাঁকে বললাম, আপনি দাঁড়ি খিলাল করছেন? তিনি (আম্মার) বললেনঃ (এ কাজে) কে আমাকে বাধা দিবে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তার দাঁড়ি খিলাল করতে দেখেছি।
(সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৪২৯) তিরমিজি ২৯)
দাঁড়ি খিলাল করার নিয়ম হলোঃ ভেজা আঙুল দাঁড়ির ফাঁকের ভেতর প্রবেশ করিয়ে কিছুক্ষণ সঞ্চালন করতে হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনার দাড়ি ঘন কিনা?
দাড়ির নিচের চামড়া দেখা যায় কিনা?
আপনার দাড়ি যদি ঘন হয়,দাড়ির নিচের চামড়া যদি দেখা না যায়,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে দাড়ির সব জায়গায় পানি পৌছানো আবশ্যক নয়।
দাঁড়ি খিলাল করবেন।
দাঁড়ি খিলাল করা সুন্নাত।
আর যদি আপনার ঘন না হয়,দাড়ির নিচের চামড়া যদি দেখা যায়,সেক্ষেত্রে চেহারার সীমার মধ্যের দাড়িটুকুর নিচের চামড়া ধোয়া ফরজ। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র খিলাল যথেষ্ট নয়।
وفي الشامیة:
"(قوله: وأصول شعر الحاجبین) یحمل هذا علی ما إذا کانا کثیفین، أما إذا بدت البشرة فیجب، کما یأتي له قریباً عن البرهان، وکذا یقال في اللحیة والشارب". (۱/۲۱۱، أرکان الوضوء )
সারমর্মঃ-
যদি দাড়ি ঘন হয়,সেক্ষেত্রে চামড়ার নিচে পানি পৌছানো ফরজ নয়। তবে যদি চামরা প্রকাশ পায় (দেখা যায়) সেক্ষেত্রে দাড়ির চামড়ার নিচে পানি পৌছানো ফরজ।
★উল্লেখ্য, চেহারার সীমানার বাহির থুতনির নিচে যে দাড়ি লটকিয়ে থাকে,সেগুলো ধোয়া ফরজ নয়।