আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)
আল্লাহর যেসব নাম আমরা কুরআনে দেখি সেসব শব্দ পুরুষবাচক হিসেবে পাই । যেমন: বাসির,লতিফ, রহিম,করিম,জব্বার,কাইয়্যুম, রাজ্জাক,খলিল, খালিদ.....ইত্যাদি। আবার কুরআন কারিমে আমরা আংতা,কা এমন পুরুষবাচক দমিরগুলো ব্যবহার করতে দেখি রবের ক্ষেত্রে। এটার কারণ কী? আল্লাহর তো কোনো লিঙ্গ নেই তাহলে আল্লাহ এমনভাবে নিজেকে কেন কুরআন কারিমে প্রেজেন্ট করেছে? এসব ভাবলে মনে হয় আল্লাহ কী মহিলা যে এমন দমির হলো। এর আগেও আমার আল্লাহকে নিয়ে আজেবাজে চিন্তা আসতো। নামাজের মাঝে সিজদা দিতে গেলে আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় তার কোনো লিঙ্গ নেই এসব কখনো ভাবলেই। মনে হতো আল্লাহ পুরুষ ও না স্ত্রী ও না তাহলে কী হিজড়া (আল্লাহহুম্মাগফিরলি) আমার সওয়াসা,জিন জাদুর সমস্যা আছে।  রাক্বী বলেছে এসব নিয়ে কম ভাবতে ইগনোর করতে। রুকইয়াহ করেছি এবং করতেছি আমি। আমার কি এমন চিন্তা আসাতে ঈমান ভঙ্গ হবে? বা  শাস্তি পাবো এর জন্য?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিন্নুরি মাদরাসার দারুল ইফতা থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয়েছে যে, (ফাতাওয়া নং 144307101887)

পুরুষ হওয়া বা নারী হওয়া, এগুলো আল্লাহর সৃষ্টিজীবের বৈশিষ্ট্য। সুতরাং সৃষ্টিকর্তার সাথে এগুলো ব্যবহার করা যাবে না, জায়েয হবে না। আল্লাহ কুরআন কারীমে নিজের জন্য পুঃলিঙ্গ শব্দ ব্যবহার করেছেন। সুতরাং আল্লাহ সম্পর্কে এসব প্রাণীর বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রশ্ন করা সম্পূর্ণ অনুচিৎ।


اور اللہ تعالیٰ نے خود قرآنِ مجید میں اپنے لیے مذکر کا صیغہ فرمایا ہے۔اسی طرح رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم نے بھی مذکر کا استعمال فرمایا ہے؛ لہذا اس کی اتباع میں وہی صیغہ استعمال کرنا ضروری ہے۔

في شرح العقیدۃ الطحاویة:
"قوله: ومن وصف الله بمعنى من معاني البشر، فقد كفر، من أبصر هذا اعتبر، وعن مثل قول الكفار انزجر، علم أنه بصفاته ليس كالبشر"۔(ص:188، ط:المطبعة المصریة)

وفي بہشتی زیور :
"مخلوق کی صفتوں سے وہ پاک ہے اور قرآن وحدیث میں بعض جگہ جو ایسی باتوں کی خبر دی گئی ہے تو ان کے معنی اللہ کے حوالہ کریں کہ وہی اس کی حقیقت جانتا ہے"۔ (پہلا حصہ، ص:48، ط:اسلامک بک سروس)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ সম্মানার্থে নিজের জন্য পুঃলিঙ্গ শব্দ ব্যবহার করেছেন।হাদীসেও আল্লাহর জন্য পুঃলিঙ্গ শব্দ এসেছে। কেন আল্লাহ ব্যবহার করলেন, তা আল্লাহই ভালো জানেন। পুঃলিঙ্গ ব্যবহারের জন্য এসব বৈশিষ্ট্য কে আল্লাহর জন্য প্রমাণিত করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...