وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻣَﺎ ﺃُﻣِﺮُﻭﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﻟِﻴَﻌْﺒُﺪُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣُﺨْﻠِﺼِﻴﻦَ ﻟَﻪُ ﺍﻟﺪِّﻳﻦَ ﺣُﻨَﻔَﺎﺀ ﻭَﻳُﻘِﻴﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﻳُﺆْﺗُﻮﺍ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓَ ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺩِﻳﻦُ ﺍﻟْﻘَﻴِّﻤَﺔِ
তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে।এটাই সঠিক ধর্ম। (সূরা বাইয়্যিনাহ- ৫)
কোনো কাজের ব্যাপারে অন্তরের দৃঢ় ইচ্ছাকেই নিয়ত বলে। সুতরাং নামায-রোযা এবং অন্যান্য আমলের ক্ষেত্রে অন্তরের সংকল্পই নিয়ত হিসেবে যথেষ্ট। মুখে উচ্চারণ করে বলা জরুরি নয়। তবে অন্তরের নিয়তের সাথে সাথে মুখেও উচ্চারণ করে বলতে নিষেধ নেই। কেউ যদি ইচ্ছার দৃঢ়তার জন্য মুখেও উচ্চারণ করে নেয় তবে তা দোষণীয় হবে না। -উমদাতুল কারী ১/৩৩; শরহুল মুনইয়া ২৫৪; আদ্দুররুল মুখতার ১/৪১৫
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. নামাযের জন্য নিয়ত করা শর্ত। নিয়ত ছাড়া নামায হবে না। সেই নিয়ত মুখেই বলতে হবে, বা আরবীতেই করতে হবে এমন কোন শর্ত নেই। মনে মনে নিয়ত করলেই নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে মুখেও নিয়ত করা যায়। মুখে আরবি নিয়ত করা বিদআত নয়। কিন্তু নিয়ত ছাড়াই নামায পড়লে নামায হবে না। আর সাধারণ মানুষ মুখে নিয়ত না করার কথা বললে অনেক সময় বেখেয়ালে নিয়ত ছাড়াই নামায শুরু করে দেয়। এ কারণে অনেক উলামাগণ মুখে নিয়ত করতে বলেছেন। জরুরী হিসেবে নয়। বরং নিয়ত ছুটে যাওয়া থেকে বাঁচার জন্য।
কিন্তু আরবীতে নিয়ত করাকে জরুরী মনে করলে তা বিদআত হবে। কারণ, আরবীতেই নিয়ত করার কোন বাধ্যবাধকতা ফিক্বহের কিতাবে আসেনি।
২. কুরআন তেলাওয়াত আরবীতেই করতে হবে। তবে অর্থ ও তাফসীর জানার জন্য বাংলা পড়তে পারেন। কিন্তু মূল ও অনুবাদের মাঝে ভিন্নতা আছে। আরো জানুন: https://ifatwa.info/56553/