আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (8 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম।

গতকাল বাংলাদেশের  অন্যতম স্বনামধন্য থানবি সিলসিলার একজন পীর সাহেবের কাছে বায়াত গ্রহনের পদ্ধতি দেখলাম। ঐ সময় যারা বায়াত হচ্ছিল তারা একটা লম্বা কাপড় পর পর সবাই ধরে ছিল, যা পীর সাহেবের সাথে আনা হয়েছিল । আমার প্রশ্ন হল এই পদ্ধতিটা কি জন্য করা হয় , আর কোরআন - হাদিস দ্বারা কতটুকু  প্রমাণিত?

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّ الَّذِينَ يُبَايِعُونَكَ إِنَّمَا يُبَايِعُونَ اللَّهَ يَدُ اللَّهِ فَوْقَ أَيْدِيهِمْ ۚ فَمَن نَّكَثَ فَإِنَّمَا يَنكُثُ عَلَىٰ نَفْسِهِ ۖ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِمَا عَاهَدَ عَلَيْهُ اللَّهَ فَسَيُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا-
যারা আপনার কাছে আনুগত্যের শপথ করে, তারা তো আল্লাহর কাছে আনুগত্যের শপথ করে। আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর রয়েছে। অতএব, যে শপথ ভঙ্গ করে; অতি অবশ্যই সে তা নিজের ক্ষতির জন্যেই করে এবং যে আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করে; আল্লাহ সত্ত্বরই তাকে মহাপুরস্কার দান করবেন।(সূরা ফাতাহ-১০)

বায়আত অনেক প্রকারের হতে পারে। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর হাতের উপর হাত রেখে সাহাবাদের যে বায়'আত হয়েছিল, সেই বায়'আত একমাত্র মুসলিম রাস্টের খলিফাই গ্রহণ করে ইসলামী ত্বরিকায় দেশ পরিচালনা করবেন।
পীর মাশায়েখদের মধ্যে হাতের উপর হাত বা রশি বেধে যে বায়'আত করা হয়, সেটা হল, গোনাহকে পরিত্যাগ করার দৃঢ় সংকল্প বা শপথ।
(فتوى: 317/ن=294/ن)
کسی بزرگ کے ہاتھ پر یہ معاہدہ کرنا کہ میں آئندہ معصیت نہ کروں گا اور تصفیہ قلب کے لیے آپ کی ہدایات پر عمل کروں گا، اس کا نام بیعت ہے اعلم أن البیعة المتوارثة بین الصوفیة علی وجوہ: أحدہا بیعة التوبة من المعاصي الخ (القول الجمیل: ص12)
عن عبادة بن الصامت رضي اللہ عنہ قال قال رسول اللّہ صلی اللّہ علیہ وسلم وحولہ عصابة من أصحابہ: بایعوني علی أن لا تشرکوا باللّہ شیئا ولا تسرقوا ولا تزنوا ولا تقتلوا أولادکم ولا تأتوا ببہتان تفترونہ بین أیدیکم وأرجلکم ولا تعصوا في معروف (الحدیث رواہ البخاري ومسلم) (مشکوٰة: ص13)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রশি বাধার চেয়ে কোনো নেককার ব্যক্তির হাতের উপর হাত রেখে গোনাহকে পরিত্যাগ করার ওয়াদা করাই উচিৎ।তাহলে বিষয়টা ইখতেলাফ থেকে বের হয়ে আসতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
শাইখ তাহলে  কাপড় ধরা কি বিদআত বলে গণ্য হবে?
by (709,320 points)
যেহেতু কাপড় বাধা বা ধরা কে জরুরী মনে করা হয়না, বরং একজনের কাছে সকল একই সময়ে যেহেতু হাতে হাত রাখতে পারবেন না, তাই সকলের সুবিধার্তে কাপড় ধরা হয়,। সেজন্য পুরোপুরি বিদ'আত তো বলা যাচ্ছে না। তবে সমর্থনও দেয়া যাচ্ছে না।কেননা একজন ওকজন করে হাতের উপর হাত রেখে ওয়াদা করাটাও তো সম্ভব।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...