ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ إِلَّا بِخَيْرٍ فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ يُؤَمِّنُونَ عَلَى مَا تَقُولُونَ )
তিনি বললেনঃ নিজেদের জন্য কল্যাণ কামনা ছাড়া তোমরা অযথা কিছু বলো না।কারণ তোমরা যা বলবে তার সাথে সাথে ফিরিশতারা আমীন বলবেন। (সুনানে আবু-দাউদ-৩১১৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই-বোন!
কেউ জুলুম করলে তাকেই ক্ষমা করে দেয়াই উত্তম। এটাই মূলত রাসূলুল্লাহ সা. এর সুন্নাহ। হ্যা অবশ্যই জুলুম পরিমাণ প্রতিশোধ বা বদ-দুআ করা যায়। তবে অতিরিক্ত প্রতিশোধ বা বদ-দুআ করা কখনো জায়েয হবে না। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَإِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُواْ بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُم بِهِ وَلَئِن صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَيْرٌ لِّلصَّابِرينَ
আর যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঐ পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদেরকে কষ্ট দেয়া হয়। যদি সবর কর, তবে তা সবরকারীদের জন্যে উত্তম।(সূরা নাহল-১২৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি অন্যায়ভাবে যার উপর বদ-দুআ করেছেন,তার উপর আপনার বদ-দুআ পতিত হবে না। কেননা আল্লাহ তা’আলা অন্যায় দুআকে কবুল করেন না।আপনি যে বদ-দুআ করেছেন, সে সেটার যোগ্য না হলে ,উক্ত বদ-দুআ উল্টো আপনার উপর পতিত হতে পারে! তাই এ বদ-দুআর প্রভাব থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।আল্লাহর কাছে তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হবে। আল্লাহ আপনাকে সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে হেফাজত করুক।আমীন।