জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
,
প্রথমত কথা হলো যদি লেখাটির নিচে বইটির নাম সুত্র হিসেবে,বা লেখকের নাম লিখে দেওয়া হয়,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই।
,
আর যদি সুত্র ছাড়াই প্রকাশ করা হয়,
মূল লেখকের পক্ষ থেকে যদি এমনটি করার অনুমতি থাকে,তাহলে সুত্র দেওয়া ছাড়াই এমনটি করা যাবে।
তবে সেখানে মূল লেখায় কোনো কমবেশি করা যাবেনা।
এমন লেখা সোশ্যাল মিডিয়ায়(ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম) দ্বীনের স্বার্থে প্রচার করলে এক্ষেত্রে ছওয়াবও হবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
,
তবে যদি মূল লেখকের পক্ষ থেকে যদি অনুমতি না থাকে,তাহলে তার এমনটি করা সুত্র উল্লেখ করা ছাড়া জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বত্ব সংরক্ষিত কিতাবের কপি অনুলিপি প্রকাশ করা নাজায়েয ও হারাম। কেননা তখন মূল লিখকের স্বার্থ আঘাত প্রাপ্ত হয়।তবে উদ্ধৃতি দেওয়া, রেফারেন্স পেশ করা নাজায়েয হবে না।কেননা তখন মূল লিখকের স্বার্থ আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছে না।বরং তখন মূল লিখকের লাভই হচ্ছে,ব্যক্তিত্ব সুমহান হচ্ছে, এবং উক্ত লিখিত গ্রন্থের মান এবং ইজ্জত বাড়ছে।
বিস্তারিত জানুনঃ