بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/85619/?show=85619#q85619
নং
ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ
يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ
يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧]
وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا
حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ
يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا
[٤:١٨
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ
মন্দ কাজ করে,অতঃপর
অনতিবিলম্বে তওবা করে;
এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,রহস্যবিদ। আর
এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু
উপস্থিত হয়,তখন
বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী
অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}
عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ،
عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
«التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»
হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ
করেছেন, গোনাহ
থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০]
খাঁটিভাবে তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা অতীতের ছোট বড় সমস্ত গোনাহ
মাফ করে দেন। তবে বান্দার কোন হক নষ্ট করে থাকলে তাওবার পাশাপাশি তাকে তার হক তাকে
বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া জরুরী।
তওবা তিনটি জিনিসের
সমন্বয়-
বান্দার হক থাকলে আগে সেটি আদায় করতে হবে বা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে আসতে হবে।
এক. পূর্বের গোনাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া। আর অপরের হক
নষ্ট করলে তা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া।
দুই. ভবিষ্যতে গোনাহ না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা।
তিন. আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/7936/
★প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. না জেনে এমন কাজ করেছেন। বিধায় উক্ত কৃত কাজের উপর তওবা করলেই আল্লাহ তায়ালা
ক্ষমা করবেন ইনশাআল্লাহ। তবে উক্ত কাজটি ইচ্ছকৃত কুরআন অবমাননার উদ্দেশ্যে না করাই
শিরক বা কুফুর হবে না।
২. উক্ত সন্দেহের শরীয়তে কোন ভিত্তি নেই। তবে যদি প্রবল ধারণা হয় যে, আপনি অপবিত্র
অবস্থায় জানাযার সালাত আদায় করেছেন তাহলে স্বীয় গুনাহের উপর অনুতপ্ত হয়ে তওবা করতে
হবে। অন্যথায় সন্দেহ বা দুশ্চিন্তা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
৩. ইসলাম বিরোধী কোন কাজকে সমর্থন করা হারাম। বিধায় উক্ত কৃতকর্মের উপর তওবা করা
আবশ্যক।
৪. জ্বী পূর্বের যাবতীয় গুনাহ থেকে তথা শিরক-কুফুর, প্রকাশ্যে বা গোপনে, একাকী বা
দলবদ্ধ ভাবে, ছগীরা বা কাবীরা গুনাহ ইত্যাদী থেকে খালেস অন্তরে তওবা করলে আল্লাহ তায়ালা
পূর্বের সমুদয় গুনাহ মাফ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। তবে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত শর্তসমূহ
মেনে তওবা করতে হবে।