জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাজের শর্তগুলির মধ্যে অন্যতম একট শর্ত হলো নামাজের জায়গা পাক হওয়া।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ اِذۡ جَعَلۡنَا الۡبَیۡتَ مَثَابَۃً لِّلنَّاسِ وَ اَمۡنًا ؕ وَ اتَّخِذُوۡا مِنۡ مَّقَامِ اِبۡرٰہٖمَ مُصَلًّی ؕ وَ عَہِدۡنَاۤ اِلٰۤی اِبۡرٰہٖمَ وَ اِسۡمٰعِیۡلَ اَنۡ طَہِّرَا بَیۡتِیَ لِلطَّآئِفِیۡنَ وَ الۡعٰکِفِیۡنَ وَ الرُّکَّعِ السُّجُوۡدِ ﴿۱۲۵﴾
আর স্মরণ করুন, যখন আমরা কাবাঘরকে মানবজাতির মিলনকেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল করেছিলাম এবং বলেছিলাম, তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ করো। আর ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ দিয়েছিলাম তাওয়াফকারী, ই’তিকাফকারী, রুকু’ ও সিজদাকারীদের জন্য আমার ঘরকে পবিত্র রাখতে।
(সুরা বাকারা ১২৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তের বিধান হলো নাপাক স্থানের উপর কাপড় বিছিয়ে নামায পড়লে নামায আদায় হয়ে যাবে। কোন সমস্যা নেই। সে হিসেবে জায়নামায বিছিয়ে নামায পড়লেও হয়ে যাবে।
(আল বাহরুর রায়েক-১/২৬৮.ফাতওয়ায়ে শামী-১/৬২৬)
لو بسط الثوب الطاهر على الأرض النجسة وصلى عليه جاز (البحر الرائق، كتاب الصلاة، باب شروط الصلاة-1/268)
সারমর্মঃ
কেহ যদি নাপাক জমিনের উপর পাক কাপড় বিছিয়ে দেয়,এবং তার উপর নামাজ আদায় করে,তাহলে জায়েজ আছে।
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَامَ أَعْرَابِيٌّ فَبَالَ فِي الْمَسْجِدِ فَتَنَاوَلَهُ النَّاسُ، فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم " دَعُوهُ وَهَرِيقُوا عَلَى بَوْلِهِ سَجْلاً مِنْ مَاءٍ، أَوْ ذَنُوبًا مِنْ مَاءٍ، فَإِنَّمَا بُعِثْتُمْ مُيَسِّرِينَ، وَلَمْ تُبْعَثُوا مُعَسِّرِينَ ".
আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা জনৈক বেদুঈন দাঁড়িয়ে মসজিদে পেশা করল। তখন লোকেরা তাকে বাধা দিতে গেলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেনঃ তোমরা তাকে ছেড়ে দাও এবং ওর পেশাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। কারণ তোমাদেরকে কোমল ও সুন্দর আচরণ করার জন্য পাঠানো হয়েছে, রূঢ় আচরণ করার জন্য পাঠানো হয়নি। (বুখারী ২২০.৬১২৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২০)
★এক্ষেত্রে জায়গা পাক দ্বারা ততটুকু জায়গা পাক হওয়া উদ্দেশ্য,নামাজ আদায় করতে যতটুকু জায়গা শরীরের সরাসরি স্পর্শ হয়।
যেমন দাড়ানোর জায়গা,সেজদায় হাটু রাখার জায়গা,হাত, নাক,কপাল রাখার জায়গা।
বৈঠকের সময় বসার জায়গা পাক হতে হবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি নামাজ বিছানায় পড়ছেন,এতে আপনার নামাজ হয়ে যাবে।
তবে বিছানায় নাপাকি থাকলে তাহা পাক করে নিবেন।
অন্যথায় নাপাকি শুকিয়ে যাওয়ার পর বিছানার উপর জায়নামাজ বিছিয়ে তারপর সেখানে নামাজ আদায় করবেন।
(০২)
এটি যেহেতু কাজা রোযা,তাই উক্ত রোযা আদায় হবেনা।
কেননা সুবহে সাদিক এর আগেই কাজা রোযার নিয়ত আবশ্যক।
বিস্তারিত জানুনঃ-