বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
উপরোক্ত দু'টি মূলনীতির আলোকে তৃতীয় আরেকটি বিষয় আমাদের সামনে পরিস্কার হয়ে যায় যে,
যে সমস্ত আসমায়ে হুসনা সম্পর্কে এ কথা জানা যাবে না যে,ঐগুলা কুরআন-হাদীস বা উম্মাহর তা'আমুল(ব্যবহার) বা উরফে(সমাজে) গায়রুল্লাহর জন্য প্রচলিত ছিল কি না? এমন আসমায়ে হুসনা দ্বারা নাম রাখা থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে।কেননা আসমায়ে হুসনার মধ্যে মূলকথা হল,সেগুলো দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখাটা নাজায়েয। সুতরাংজায়েয হওয়ার জন্য অবশ্যই দলিলের প্রয়োজন পড়বে।
উপরোক্ত উসূলের ভিত্তিতে সমস্ত আসমায়ে হুসনার ব্যাপারে আ'মল করা হবে।যেহেতু এই জবাব উসূল দ্বারা লিখিত,অন্যদিকে প্রত্যেক নামের ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো আলোচনা কোথাও পাওয়া যায়নি।বিধায় এ ব্যাপারে আমাদের আরো গবেষনা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ।সম্ভব হলে এব্যাপারে বিজ্ঞজনদের নিকট থেকে আরো বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।(ফাতাওয়ায়ে উসমানি-১/৫২)
নাম সম্পর্কে বলা যায় যে,যতক্ষণ পর্যন্ত শরীয়তে কোনো নাম সম্পর্কে বাধা আসবে না ততক্ষণ পর্যন্ত ঐ নাম দ্বারা নাম রাখা জায়েয।
جاء في " الموسوعة الفقهية " (11/331) :
" الأصل : جواز التسمية بأي اسم إلا ما ورد النهي عنه " انتهى.
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জান্নাতুল ফেরদাউস নাম সম্পর্কে যেহেতু কুরআন হাদীসের কোথাও কোনো নিষেধাজ্ঞা আলোচিত হয়নি।তাই এ নাম রাখতে কোনো বিধি নিষেধ নাই।