আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি একটি গার্মেন্টসে চাকরি নিতে চাই। আমার কাজ হল ইলেকট্রিক্যাল মেনটেনেন্স। গার্মেন্টসে সাধারণত মেয়েদের পোশাক তৈরি করে এবং ছেলেদের পোশাক তৈরি করে। এ পোশাকগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হারাম ভাবে ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তা মালিকপক্ষও জানে কারণ এগুলো বাইরের দেশে যাবে এবং তারা ইসলাম ধর্ম অনুসারে এগুলো ব্যবহার করবে না।
পোশাক গুলোর মধ্যে মেয়েদের ছোট ছোট পোশাক, পোশাকে মানুষের ছবি কিংবা প্রাণীর ছবি, পোশাকে এমন কিছু ডিজাইন যা হারাম।
আমার কাজ হল পোশাক তৈরি করার জন্য সকল মেশিনগুলোকে ঠিকঠাক রাখা যখন সেগুলো নষ্ট হয় সেগুলোকে আমি  আবার ঠিক করে দেই যাইতে পোশাক তৈরি হতে পারে।আমার মালিকপক্ষ জানে যে এই পোশাকগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হারামে ব্যবহার হবে তারা সেগুলো বিক্রি করে সেখান থেকে আমাদের বেতন দিবে। আমার কাজ এখানে হারামের সাথে সম্পৃক্ততা নাই কারণ আমি এই পোশাকগুলো তৈরি করি না আমি এগুলো বিক্রিও করি না মার্কেটিং ও করিনা। আমি শুধু মেশিনগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণ করি যাতে পোশাকগুলো তৈরি হতে পারে। এখন আমার কাজ প্রথম পয়েন্ট অনুযায়ী হালাল হবে কারণ আমি হারাম কাজ করছি না?
কিন্তু দ্বিতীয় পয়েন্ট অনুযায়ী আমার কাজ তো হারাম হয়ে যাচ্ছে বেতন তো হারাম হচ্ছে কারণ আমার প্রতিষ্ঠানের ইনকাম  বেশিরভাগ হারাম।

এখন আমি আপনাদের এখানে এবং ইন্টারনেট থেকে কিছু ভিডিও এবং আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারলাম।

১ পয়েন্ট -- যদি কোন ব্যক্তি ব্যাংকে দারোয়ানের চাকরি করে তাই তার চাকরি হালাল কারণ এখানে সরাসরি সুদের সম্পৃক্ততা নাই।

২ পয়েন্ট -- আবার কিছু জায়গা থেকে জানতে পারলাম যে প্রতিষ্ঠানের যদি বেশিরভাগ অর্থ হারাম পথে আসে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা হারাম হবে যদিও হালাল কাজ করলেও তাহলে উপরের পয়েন্ট অনুযায়ী ব্যাংকে চাকরি করার দারোয়ানের চাকরি কিভাবে হালাল হবে কারণ ব্যাংক তো সুদের উপরেই চলছে  ব্যাংকের যা লাভ আছে সেটা সুদ থেকে আসছে অর্থাৎ হারাম বেশি। সে ক্ষেত্রে দারোয়ানের চাকরি কিভাবে হালাল হবে

এখন উপরে সকল কথার ভিত্তিতে আমার প্রশ্ন হচ্ছে।

১. উপরের দারোয়ানের চাকরি কি হালাল হবে প্রথম পয়েন্ট অনুযায়ী হালাল হলে দ্বিতীয় পয়েন্ট অনুযায়ী তো তার চাকরি হারাম হয়ে যাচ্ছে কারণ প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই হারাম আয়।

২. আমি গার্মেন্টসের যে সেক্টরে কাজ করি বললাম সেই ভাবে কাজ করে টাকা নিলে কি হালাল?

৩. আর দ্বিতীয় পয়েন্ট অনুযায়ী আমি যদি আমার প্রতিষ্ঠানে হালাল পণ্য তৈরি হচ্ছে না হারাম তৈরি হচ্ছে সেটা না হিসাব করে আমি হালাল কাজ করছি কি না হারাম কাজ করছি সরাসরি সেটা হিসাব করে টাকা নেই তাহলে কি আমার ইনকাম হালাল হবে?
মানে আমি শুধু প্রথম পয়েন্টটা অনুসরণ করলাম আর দ্বিতীয় টা করলাম না তাহলে হালাল হবে আয়?

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়,যাতে  সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না।যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে।

প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে বেতনের উৎস কি হবে?কর্মিবৃন্দকে কোথা থেকে দেওয়া হবে?

তাই বলা যায় যে,
হারাম সংমিশ্রিত মাল থেকে বেতন আদান-প্রদাণের ক্ষেত্রে শরয়ী মূলনীতি হল-
যদি বেতন হালাল-হারাম এর সংমিশ্রিত মাল থেকে দেওয়া হয়, এবং হারাম মালের পরিমাণ অাধিক্য থাকে , তাহলে সেই বেতন গ্রহণ জায়েজ হবে না। তবে যদি হারাম মাল পরিমাণে কম থাকে, তাহলে বেতন গ্রহণ এক্ষেত্রে জায়েজ হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/398


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ব্যাংকের অধিকাংশ ইনকাম হালাল থেকে আসে যদ্দরুণ ব্যাংকের হালাল জব হলে, সেই জব জায়েয। ঠিকতেমনি যদি গার্মেন্টসের অধিকাংশ ইনকাম হালাল হয়, তাহলে মেশিন মেইন্টেন্সের কাজ আপনার জন্য জায়েয হবে।তবে যদি অধিকাংশ ইনকাম হারাম হয়, তাহলে উক্ত জব জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,060 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...