আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামুয়ালাইকুম মুহতারাম। আমি একজন মেয়ে।
১)কলেজে পড়াকালীন একজনের সাথে বিয়ের পূর্বে সম্পর্ক ছিল। তখন মাঝে মাঝে আমাদের বন্ধু বান্ধবীরা আমাদেরকে এসে জামাই বউ বা অমুকের বউ অমুকের জামাই এসব বলে ডাকত। আমরা তখন একসাথেই এগুলো শুনতাম শুনে হাসতাম এবং জবাব ও দিতাম। এতে কি কোনো সম্মতি ধরা হবে। এতে কোনো বিয়ে সংঘঠিত হয় নি ত মুহতারাম।

২)আমার খুব বেশি রাগের সমস্যা ছিল। দিনে রাতে আমি আমার স্বামীর সাথে ঝগড়া করতাম। আমার স্বামী কখনোই আমাকে ছাড়তে চাইতোনা। একদিন ফোনে আমি ঝগড়া করে তাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য জোড় জবরদস্তি করেছিলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন আচ্ছা ঝগড়া বাদ দাও। আর ঝগড়া করবোনা। তখন তাকে আমি বললাম পরেরবার যদি আর ঝগড়া করো তখন যেন ডিভোর্স দেওয়া হয়ে যায়। মানে বুঝাতে চেয়েছি তখন যেন দেয়। তিনি বলত ওকে তুমি যা ভালো বুঝো। আমি তো বুঝতাম পরেরবার যদি ঝগড়া করে তাহলে তখন ডিভোর্স দিতে হবে। মানে তখন দেবে আর যদি না দেয় তাহলে তো কিছু হবেনা। এইভাবে আমি বুঝতাম। কিন্তু পরে ঝগড়া করলেও তখন আর সে তালাক দেয়নি। তাকে জিজ্ঞেস করলে বলল আমি তো তালাক দিয়ে দিছি এইরকম নিয়তে কিছু বলি নি। এইরকম নিয়ত ছিলো বলে আমার মনে হয় না। নিয়ত থাকলে অবশ্যই বলতাম। এই কথা পরে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বলেছি বা তোমাকে ঝগড়া থামানোর জন্য বুঝ দেওয়ার জন্য বলেছি। আমি তো পরেও আর কোনো তালাক দেইনি। কোনো তালাক হবে না ত মুহতারাম।

৩)আরেকদিন ঝগড়ার সময় এইরকম ডিভোর্স দেওয়ার জন্য জোড় জবরদস্তি করেছিলাম। সে এবং আমার বাবা মা আমাকে বুঝানোর চেষ্টা করে। তখন আমি বলেছিলাম না আমার আর দরকার নেই। আমি এই সম্পর্ক বাদ দিয়ে দিয়েছি শেষ। এইসব কথা আমি রাগে বলেছিলাম। আমাকে তালাকের কোনো অধিকার দেওয়া হয়েছে কি না আমি নিজেও জানিনা এবং আমার স্বামীও জানেনা। আর তালাকের অধিকারের ব্যাপারে ও আমরা কিছুই জানতামনা। যতদুর দেখেছি আমরা খালি কাগজে স্বাক্ষর করেছিলাম।  এতে কি কোনো তালাক হবে।
৪)একটি সমস্যার কারনে আমাদের কাবিন নামা আমরা একবছর ধরে হাতে পাইনি। এসব ঝগড়ার পর কাবিন নামা রেজিস্ট্রেশন করার আগে কাজী আমাদেরকে দেখালো সেখানে তালাকের অধিকার দিয়েছে সব লেখালেখি শেষ। তখন তালাকের অধিকার দেওয়া দেখে আমি কান্না করে কাজীকে বলেছি আপনি রেজিস্ট্রেশন করার আগে এই লিখা তুলুন আমি এই অধিকার চাইনা কারন আমার রাগের সমস্যা আছে। আমার স্বামীকে জানালে সে বলল থাকুক সমস্যা কি তখন আমি কান্না করে বলেছি না আমি চাইনা। তখন আমার স্বামী বলেছে আচ্ছা উনাকে বলতেছি তুলে ফেলতে। তখন রেজিস্ট্রেশন করার আগে এই কাগজ বাতিল করে আবার টাকা দিয়ে নতুন কাগজ লিখে তারপর রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। এতে কি তালাকের অধিকার বাতিল হয়েছে মুহতারাম।
আমাকে সাহায্য করুন মুহতারাম আমি আমার স্বামীর সাথে থাকতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (716,120 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।
https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...