আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আমি একটি বিষয়ে মাসয়ালা জানতে চাচ্ছি।
আমাদের রিলেশন সম্পর্কে আমাদের পরিবার কিছু টা জানতোগোপনে বিয়ে,পরে তালাক
http://www.ifatwa.info/70479/,কিন্তু আমার পরিবার প্রথমেই না করে দেয়।তারা কোনদিন মানবেনা,সেটাও স্পষ্ট জানায় দেয়।
কিন্তু তাকে আমি ভুলতে পারব না,পরিবারকে বুঝানোর চেষ্টা করি,কিন্তু তারা ভুল বুঝে আর,আমাকে বিভিন্ন ভাবে মানসিক প্রেশার দেয়।এক সময় তাদের না জানিয়ে বিয়ে করি ২ জন এ

আমি যতদুর জানি প্রাপ্ত বয়স্ক ২ জন যদি সাক্ষি সহ বিয়ে করে, সেটা নাকি হয়ে যায় বিয়ে,তার বয়স ২৫+ আর আমার ২০+। আমরা জন ২ জন কে না ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করি কিন্ত  পরিবারের চাপে  আমি তাকে ছেড়ে দিছি,কিন্তু সে আমাকে ছেড়ে দেয়নি,কাগজে সই দেয়নি, ।আর ইসলামের নাকি মেয়েরা নাকি divorce দিলে সেটা হয়না,যদি সামি না দেয়,।আর আমি শরিয়ত মতে দিছি,আর শুনছি শরিয়ত মতে দিলে ফিরে পাওয়া যায়।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে যেহেতু আমার সামি আমাকেdivorce দেয়নি,তাহলে সে কি এখনো আমার সামি আছে? তাকে কি আবার বিয়ে করতে পারব? তার সাথে যোগাযোগ করা কি যাবে?আর এমন কোনো আমল আছে কি,যেটা করলে তাকে ফিরে পাবো হালাল ভাবে?আর পরিবার ও মেনে নিবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি যদি স্বামী কর্তৃক তালাকের অধিকার পেয়ে থাকেন,এবং নিজেকে নিজে তালাক দিয়ে থাকে,সেক্ষেত্রেই কেবল আপনার দেয়া তালাক আপনার উপর তালাক পতিত হবে।
নতুবা নয়।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি স্বামী কর্তৃক তালাকের অধিকার পেয়ে থাকেন,এবং নিজেকে নিজে তালাক দিয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনার উপর তালাক পতিত হবে।

এক্ষেত্রে এক/দুই তালাক বা কোনো সংখ্যা উল্লেখ না করে তালাক দিলে আপনার আবারো সংসার করতে পারবেন।
ইদ্দত চলাকালীন আপনার স্বামী আপনাকে ফিরিয়ে নিতে পারবে।
ইদ্দত শেষ হওয়ায় পর ফিরিয়ে নিতে চাইলে পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
https://www.ifatwa.info/70479/ নং ফতোয়ার বিবরন মতে আপনার স্বামী আপনাকে অনেকবার মৌখিক তালাক দিয়েছে।
সুতরাং এক্ষেত্রে আপনার স্বামীর জন্য আপনি পুরোপুরি হারাম হয়ে গিয়েছেন। 

এক্ষেত্রে শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত ফিরিয়ে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...