ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নামাযে রা'কাত বা সেজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়।যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন।কিন্তু যদি কারো প্রায় এরকম সন্দেহ হয়,তাহলে উনার বিধান হলো,
"وإن كثر الشك" تحرى و "عمل" أي أخذ "بغالب ظنه" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا شك أحدكم فليتحر الصواب فليتم عليه" وحمل على ما إذا كثر الشك للرواية السابقة "فإن لم يغلب له ظن أخذ بالأقل" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا سها أحدكم في صلاته فلم يدر واحدة صلى أو اثنتين فليبن على واحدة فإن لم يدر اثنتين صلى أو ثلاثا فليبن على اثنتين فإن لم يدر ثلاثا صلى أو أربعا فليبن على ثلاث ويسجد سجدتين قبل أن يسلم"
যদি কারো নামাযে সংখ্যা নিয়ে প্রায় সন্দেহ হয়,তাহলে উনি তাহাররি(সঠিক বিষয়ে পৌছার জন্য চিন্তাভাবনা করা) করে গালিবে যান্ন(প্রবল ধারণা) এর উপর আ'মল করবেন।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ করে,তাহলে সে যেন সঠিক বিষয়ে পৌছার চেষ্টা করে সে হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।তবে যদি চিন্তাভাবনার পরও কোনো সংখ্যার দিকে মনে প্রবল ধারণা না জন্মে, তাহলে সে যেন,কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সন্দেহ করে,এক রা'কাত পড়েছে না দুই রা'কাত পড়েছে? তাহলে সে যেন এক রা'কাত ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।এভাবে দুই/তিন বা তিন/চার নিয়ে সন্দেহ হলে কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সে নামাযকে সম্পন্ন করবে।এবং শেষে যেন সে সেজদায়ে সাহু দেয়।(মারাকিল ফালাহ-১/৪৭৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1797
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)সিজদাহ সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হওয়ার পর চিন্তা করতে গিয়ে যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় ব্যয় হয়ে যায়, তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে, নতুবা সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
(২) নামাযের প্রত্যেক রা'কাতে দুইটি সিজদা ফরয। নামাযের কোনো ফরযকে ইচ্ছাকৃত তরক করা যাবে না। যেহেতু আপনার একটি সিজদা ভুলে তরক হওয়ার পর পরবর্তীতে মনে হয়েছে, মনে হওয়ার সাথে সাথেই সিজদা না দেয়া মাকরুহ।তবে নামায আদায় হবে, এবং শেষে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।
(৩) মনে হওয়ার সাথে সাথে সিজদা আদায় না করা মাকরুহ।তবে আপনার নামায হয়ে যাবে যেহেতু আপনি সাহু সিজদা দিয়েছেন।
(৪)নামাজে মনে মনে তিলাওয়াত উচ্চারণ করলে কেরাত আদায় হবে না।বরং উক্ত নামাযকে দোহড়িয়ে পড়তে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/2570
(৫)দুই সিজদাহর মাঝে রব্বিগফিরলি এর গাইন কে ভুল করে গলার মাঝখানে উচ্চারণ করে ফেলা হলে এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবে না।
(৬)আল্লাহু আকবার বলার সময় আকবার এর আলিফ যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার মাঝখানে উচ্চারিত হয়, তাহলেও নামাজে কোনো সমস্যা হবে না।
(৭)নামাজে যেসব দুআ পড়া সুন্নত বা মুস্তাহাব যেমন,সানা পড়া,দরূদ, দুআ মাসুরা,দুই সিজদাহর মাঝখানে দুআ পড়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে হরফ যদি এমনভাবে উচ্চারিত হয় যাতে অর্থ বিকৃত হয়ে যায় তবেও নামাজে কোন সমস্যা হবে না।