আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in সালাত(Prayer) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
১.ফজরের ফরজ নামাজে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম উচ্চারণ এ রহমানি(র) রহিম র উচ্চারণ টা বুঝা যায় নি বলে মনে হয়েছে আমি আমার ভুল সন্দেহ ভেবে ২য় বার আবার পড়ি নাই  কিন্তু নামাজ শেষে মনে হচ্ছে র উচ্চারণ হয় নি,, আর না হয়ে থাকে  এতে কি নামাজ ফাসিদ হয়ে যাবে?
২.যোহর ও আছরের সালাতে নিম্নস্বরে তেলাওয়াত করতে চাইলে ফিসফিস করে তেলাওয়াত করি এতে আমার রুমে কেউ থাকলে ঐ ব্যাক্তি ও ফিসফিস তেলাওয়াত শুনতে পাই আমি কি পড়ছি,, এর চেয়ে নিম্ন আওয়াজে পড়তে গেলে আমার উচ্চারণ সঠিক ভাবে হয় না যে ঐরকম লাগে। অনেক সময় মুখে দিয়ে আসে না যে ঐরকম লাগে,,, এতে কি নামাযে সমস্যা হবে
২(১) নিম্নস্বরে তেলাওয়াত করতে গেলে অনেক হরফ উচ্চারণ করতে সমস্যা হয়,,,, অনেক সময় উচ্চারণ ই করতে পারি না যেমন ح ع ص ض.

[কিন্তু নামাজের বাইরে তেমন সমস্যা হয় না আলহামদুলিল্লাহ হলে ও কম আবার ঠিক করে নিই।]

  তাই সুরা ফাতিহার  ২ / ৩ আয়াত বা  কোনো কোনো  শব্দ ও ২ বার অনেক সময় আরো বেশি বার উচ্চারণ করা লাগে,, অনেক সময় ৪ আয়াতের বেশি একাধিক বার উচ্চারণ করেছি সন্দেহে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদা দিই,,,অনেক নামাজ ২ বার অনেক সময় ৩ বার ও পড়ে ফেলি সন্দেহের কারণে ,,,,, এতে অনেক সময় ও ব্যয় হয় সবার বকা খাওয়া লাগে,,, প্রচুর ওয়াসওয়াসা হয়,,,
তাই প্রায় প্রত্যেক বার নামাজ পড়ে হতাশ হয়ে যায় এরপর নিয়ত করি এরপরের ওয়াক্তে কোনো ভুল করবো না  ইন শা আল্লাহ কিন্তু আবার এমন ভুল  হয়ে যায়।
৩. সুরা ফাতিহার সিরত্বল মুস্তাক্বীম এর উচ্চারণ এ মুস্তাক্বীম س উচ্চারণ ঠিক হয় ভেবে  মুস্তাকীম শব্দটা  আবার পড়ি। একবার শুধু মুস্তাক্বীম পড়লে ভুল হবে ভেবে আল মুস্তাক্বীম পড়েছি,,, কিভাবে পড়লে সঠিক হবে এটা নিয়েও দ্বন্দে থাকি,,

৪,,তাশাহুদ ১ম বৈঠক এ একাধিকবার পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব এখন আমার উচ্চারণ নিয়ে সন্দেহের  সমস্যার কারণে কিছু শব্দ বা লাইন একধিকবার উচ্চারণ করি যেমন ওয়া'লা ই'বাদিল্লাহিস স্বলিহীন বা আসসালামু আলাইকা আয়্যুহান নাবিয়্যু অনেকসময়  এই দুই বাক্য বা এই দুই বাক্য পরিমাণ কোনো লাইন  দুই বার  উচ্চারন করে ফেলি,,  এতে কি সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে,,,আমি সাধারণত সন্দেহের কারণে শেষে দুই সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদা দিই,,,

৫. ض এর উচ্চারণ অনেকটা মোটা د এর মাখরাজ এর উচ্চারণ এর মতো লাগে ,,যেমন গ্বইরিল মাগ্বদ্বুবি বা ওলাদ্দ্বল্লীন এ এতে কী নামাজ  এর কোনো সমস্যা হবে?
৫(১) সিরত্বল লাযিনা আনআ'মতা আলাইহিম গ্বইরিল মাগ্বদ্বুবি আ'লাইহিম বলে এখানে থেমে আবার ওয়াদ্দ্বল্লীন বলা যাবে,,এতে কোনো সমস্যা হবে

৬ দোয়া কুনুতের আগে যে আল্লহু আকবর বলে হাত বাধতে হয় সেখানে উচ্চারণ ভুলে হয়েছে মনে করে আল্লহু আকবর ২ বার বললে কি সাহু সিজদা দিতে হবে,,

৭,,,নামাজের মধ্যে অযু ভেংগে গেছে সন্দেহ হলে ঐ সন্দেহকে পাত্তা না দিয়ে নামাজ শেষ করি আর শেষে যদি মনে মনে সন্দেহ বেশি লাগে বা দেখা যায় যে অযু ভেংগেছে তাহলে কি ঈমান চলে যাবে আর যদি এমন হয় অযু করার আগেই কি কালিমা শাহাদাত পাঠ করতে হবে নাকি অযু করে তবেই পাঠ করবো,,

*অনেকদিন উত্তর গুলো খোজার চেষ্টা করেছি,,, আই ফতোয়াতে,,, *
<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_240120_072312_597.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

প্রত্যেক নর-নারীর ওপর কুরআন এতটুকু সহিহ শুদ্ধ করে পড়া ফরজে আইন, যার দ্বারা লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয় না। 

লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। অতএব কমপক্ষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য যে সুরাগুলোর প্রয়োজন, সেগুলো (সুরা ফাতেহা ব্যাতিত কমপক্ষে চারটি সুরা) শুদ্ধ করে নেওয়া আবশ্যক, অন্যথায় সে গুনাহগার হবে। 

মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
زينوا القرآن بأصواتكم
সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে  (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৮

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লম ইরশাদ করেছেন, (কিয়ামতের দিন) কুরআনের তিলাওয়াতকারী বা হাফেজকে বলা হবে-
اقْرَأْ، وَارْتَقِ، وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا، فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا.
তিলাওয়াত করতে থাক এবং উপরে উঠতে থাক। ধীরে ধীরে তিলাওয়াত কর, যেভাবে ধীরে ধীরে দুনিয়াতে তিলাওয়াত করতে। তোমার অবস্থান হবে সর্বশেষ আয়াতের স্থলে যা তুমি তিলাওয়াত করতে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৪; জামে তিরমিযী, হাদীস ২৯১৪

বিস্তারিত জানুনঃ  

https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার নামাজ ফাসিদ হয়ে যায়নি।

(০২)
এতে নামাজ হয়ে যাবে।
শুধু নিজের কানে আসার মতো আওয়াজে কুরআন তিলাওয়াত করবেন।

(২.১)
(০৩)
শেষে সেজদায়ে সাহু দিলে নামাজ হয়ে যাবে।

(০৪)
শেষে সেজদায়ে সাহু দিলে নামাজ হয়ে যাবে।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরন অনুসারে আপনি ض এর উচ্চারণ সঠিক ভাবে করতে পারেননা।
এক্ষেত্রে যেভাবে আপনি উচ্চারণ করছেন,তাতে নামাজ হয়ে যাবে।

(০৬)
না,এক্ষেত্রে সাহু সেজদাহ দিতে হবেনা।

(০৭)
এক্ষেত্রে ঈমান চলে যাবেনা। 

অযু ভেঙ্গে সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হলে সেই নামাজ পুনরায় আদায় করবেন। 

অন্যথায় নামাজ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...