আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
624 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
সুরা মূলক ও সুরা ওয়াকিয়ার ফযিলত গুলো কি এশার নামাযের পর যেকোনো সময় পড়লেই পাওয়া যাবে?? নাকি ঘুমানোর ঠিক আগ মুহূর্তেই পড়তে হবে??

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সূরা মূলক সাধারণত যেকোনো সময় তেলাওয়াত করা এবং বিশেষত ঘুমানোর পূর্বে তেলাওয়াত করার অনেক ফযিলত হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।

হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( إِنَّ سُورَةً مِنْ الْقُرْآنِ ثَلَاثُونَ آيَةً ، شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ ، وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,কুরআনের একটি সূরা যার ত্রিশটি আয়াত রয়েছে,ঐ সূরাটি তার তেলাওয়াতকারীর জন্য মাগফিরাতের দু'আ করবে।এই সূরাটি হল,সূরা মূলক।(সুনানু তিরমিযি-২৮৯১,মসনদে আহমদ-৭৯১৫)

হযরত জাবের রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
عن جابر رضي الله عنه : " أن النبي صلى الله عليه وسلم كان لا ينام حتى يقرأ آلم تنزيل ، وتبارك الذي بيده الملك "
রাসূলুল্লাহ সাঃ সূরায়ে সেজদা এবং মূলক পড়া ব্যতীত শয়ন করতেন না।(সুনানু তিরমিযি-২৮৯২,মসনদে আহমদ-১৪২৪৯)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই/বোন!
ঘুমানোর পূর্বে সূরা মূলক পড়াই রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাহ ছিলো।তাই ঘুমানোর পূর্বে যেকোনো মূহুর্তে পড়া যাবে।ঘুমানোর ঠিক পূর্ব মুহুর্তে পড়া জরুরী নয়। https://www.ifatwa.info/1830



সূরা ওয়াকেয়া সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণিত রয়েছে।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ـ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ـ ﻳﻘﻮﻝ : " ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻮﺍﻗﻌﺔ ﻛﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﻟﻢ ﺗﺼﺒﻪ ﻓﺎﻗﺔ ﺃﺑﺪًﺍ "
তরজমাঃ- তিনি বলেন, নবীজী ﷺ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াকেয়া তিলাওয়াত করবে; সে কখনও অভাব-অনটনে পতিত হবেনা।’ (শু‘আবুল ঈমান, হাদীস নং-২৪৯৯)

সূরা ওয়াক্বেয়ার ফযিলত সম্পন্ন হাদীস সহীহ না যঈফ? এ সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের নিকট মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
মুহাদ্দিস মুনাওয়ী রাহ বলেন,
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻤﻨﺎﻭﻱ ﻓﻲ ﻓﻴﺾ ﺍﻟﻘﺪﻳﺮ:
ﻣﺎ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻲ ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ - ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻮﺍﻗﻌﺔ ﻓﻲ ﻛﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﻟﻢ ﺗﺼﺒﻪ ﻓﺎﻗﺔ ﺃﺑﺪﺍً . ﻭﻫﻮ ﺣﺪﻳﺚ ﺿﻌﻴﻒ، 
ইমাম বায়হাক্বী যে হাদীস ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণনা করেছেন,সেটা যঈফ।(ফয়যুল ক্বাদির)

সৌদিআরবের 'হাই'আতু কিবারিল উলামা' এর সদস্য সালেহ বিন ফাওযান লিখেন........
সূরা ওয়াক্বেয়া এর ফযিলত সম্পর্কে বিশুদ্ধ হাদীস রয়েছে,এ বিষয়ে তাফসিরে ইবনে ক্বাসির দেখতে পারেন,(তাফসিরে ইবনে কাসির-৪/৩৮৩)
ইবনে আসাকির হযরত ইবনে আব্বাস রাযি এর সূত্রে সহীহ সনদে বর্ণনা করেন যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,সূরায়ে ওয়াক্বেয়া হল ধনরত্নের সূরা।সুতরাং তোমরা তা পাঠ করো এবং তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দাও।
(ফাতহুল কাদ্বীর-৫/১৪৬) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-  https://www.ifatwa.info/459


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সূরায়ে ওয়াকেয়া এবং সূরায়ে মূলক সম্পর্কে যে সমস্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে,সবগুলো খুলাসা হল, উক্ত সূরাদ্বয়কে পড়লে তার অনেক সওয়াব রয়েছে।দিনে হোক বা রাতে হোক।তবে রাতে যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাঃ নিজে পড়েছেন বা পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন,তাই রাতে পড়াই সুন্নাহ এবং বেশী সওয়াবের উপযোগী সময়।রাতের যেকোনো মুহূর্তে পড়া যাবে।ঠিক ঘুমানোর পূর্ব মুহূর্তে পড়তে হবে,বিষয়টা আসলে এমন নয়।বরং যেকোনো অংশে পড়লেও সওয়াব পাওয়া যাবে।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
সূরা মুলক রাতে পড়ার ফজিলত কি মাগরিবের পড়ে পড়লে পাওয়া যাবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...