আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আস্সালামুআলাইকুম হুজুর ,আমার কিছু প্রশ্ন ছিলো,যখন দেখি কেউ হারাম সম্পর্কে জড়িত ,তখন তাকে আমার খুব অশ্লীল মনেহয় এবং মন থেকে তার প্রতি অনেক ঘৃণা কাজ করে ,চাইলেও মন থেকে ভালো করে কথা বলতে পারিনা তার সাথে ,আমার কিছু অন্টি আছেন যারা নন মাহরামদের সাথে কলে নরম সুরে কথা বলে ,না চাইতেও আমার্ তাদের প্রতি ঘৃণা হচ্ছে ,আর তাদের সাথে কথাও বলতে ইচ্ছে হয়না ,বাধ্য হয়ে বলি। মনে এরূপ ঘৃণা আশা কি পাপ ? আমি যদি তাদের সাথে হাসি মুখে কথা না বলি তাহলে কি আল্লাহ নারাজ হবেন ?আমি তাদের সাথে স্বাভাবিক থাকতে চাইলেও পারিনা।  আবার প্রতিবেশী একজন অন্টি আছেন ,খাস পর্দা করেন ,একটা মাদ্রাসার শিক্ষিকা ,+ আমার ছোটো ভাইকেও আরবি পড়ান ,উনার প্রতি আমার অন্তরের ভিতর থেকে সন্মান ছিল অনেক বেশি ,আমার আবেগের জায়গা ছিলেন ,উনাকে দেখলেই নিজেকে ছোট মনে হতো সব সময় মনে হতো আল্লাহ নিশ্চই উনাকে অধিক পছন্দ করেন ক,উনি হয়তো আমার থেকে বেশি দ্বীনদার  কিন্তু আমি কোনোদিন ভাবতেও পারিনি যে উনি এমনটা করতে পারেন। উনি বিবাহিত ৩ বেবি এর মা ,স্বামী বিদেশে থাকেন ,উনি হারাম রিলেশনে জড়িত ,শুধু মনে হয় যে একজন মা হয়েও কিভাবে এতটা নোংরা হওয়া যায় ,আমি তার এরূপ আচরণে অনেক ভেঙে পড়েছি ,যে আমার অনুপ্রেরণা ছিল তাকেই  আজ আমার অপছন্দ করতে হচ্ছে ,খুব ভালোবাসতাম তাকে আল্লাহর জন্য। তার সাথে যদি আমি কম কথা বলি ,বা নিজে থেকে কথা না বলি ,তবেকি আল্লাহ নারাজ হবেন ?২)আমি যখন থেকে বড় হয়েছি আমার অনেক বড় আফসোস হয় যে আমাকে কেন ছোটবেলায় মাদ্রাসায় পড়ানো হলোনা আমাকে কেন হাফেজি পড়ানো হলোনা ,আমিও হাফেযা হতে পারতাম ,কেন আমার সাথে এমন হলো ,আমিও আজকে আল্লাহর অনেক প্রিয় হতে পারতাম হয়তো ,আমি হয়তো জীবনে এতো পাপ করতামনা ,আমার খুব কষ্ট হয় আর আফসোস হয় ,নিজেকে ছোট মনেহয় ,যে আল্লাহর প্রিয় হতে পারিনি হয়তো ,যদি হাফেজ ,আলেমা ,হতে পারতাম আল্লাহ আমাকে কতইনা পছন্দ করতো। নিজের ভাগ্যের উপরে এরূপ চিন্তা মনে আশা কি পাপ ? তকদিরকে এভাবে দোষ দেওয়া।
৩)আমি বর্তমানে অনার্সে ভর্তি হবো + জানুয়ারিতে আমার আলেম কোর্স + আমাকে দিনে ৬-৮ ঘন্টা ওয়েবডেভেলোপমেন্টএর জন্য সময় দিতে হয় মূলত এটাও আমি দ্বীনের জন্যেই করতে চাই সবাইকে সাহায্য করতে হলে দ্বীনি শিক্ষা ব্যবস্থা করার জন্য আমাকে টাকা উপার্জন করতে হবে আমার ইচ্ছে যে আমি গ্রামের সবার জন্য দ্বীনিশিক্ষার ব্যবস্থা করে দিবো এবং বাবামায়েরও ইচ্ছা যে আমি নিজের পায়ে দাড়াই এরূপ অবস্থায় মৃত্যুর আগে কোনোভাবেই হাফেজ হবার কি আমার কোনো পথ আছে। আমি কি সবগুলো একসাথে করতে পারবো ? আমি কি চাইলে এখন হাফেজ হতে পারবো, ঘরে বসে ?

 ৪)কোনো মেয়ে যদি আত্মনির্ভরশীল হয় ,ঘরে বসে পর্দার সহিত হালাল উপার্জন করে ,নিজে সাবলম্বীহয়, এবং তার ইচ্ছে হলো গ্রামের সব শিশু ও মা বোনদের জন্য দ্বীনি শিক্ষা নিশ্চিত করা ,সে নিজের বাড়িতে সব শিশু ও মাবোনদের ফ্রীতে কুরআন /হাদিস শিক্ষা দিতে চায় ,মেয়েটি সারাজীবন বিয়ে না করে নিজের বাড়িতে থেকে যদি নিজের এই কাজ চালিয়ে যায় এবং নিজের চরিত্রকে হেফাজত করতে পারে,তবে কি তার জান্নাতে যাওয়া কঠিন হবে ?

1 Answer

0 votes
by (584,580 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحَبَّ لِلَّهِ وَأَبْغَضَ لِلَّهِ وَأَعْطَى لِلَّهِ وَمَنَعَ لِلَّهِ فَقَدِ اسْتكْمل الْإِيمَان» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে কাউকে ভালোবাসে, আর আল্লাহর ওয়াস্তে কারও সাথে বিদ্বেষ পোষণ করে এবং আল্লাহর ওয়াস্তেই দান-খয়রাত করে, আবার আল্লাহর ওয়াস্তেই দান-খয়রাত থেকে বিরত থাকে। সে ঈমান পূর্ণ করেছে। (আবূ দাঊদ ৪৬৮১, সহীহুল জামি‘ ৫৯৬৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার এই ঘৃণা যেহেতু আল্লাহর জন্যই তাই এতে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (584,580 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...