আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার স্ত্রীর সাথে তালাক হয়েছে।সে এখন ইদ্দত পালন করছে।আমাদের ছোট ২ টি বাচ্চা আছে।আমরা চায় বিবাহ করে একসাথে থাকতে। আমার সাথে বিয়ে হতে গেলে তার অন্য জায়গায় বিয়ে বসতে হবে।

এখন যে ছেলে বিয়ে করবে সে আমার স্তীর বন্ধু।সে সব জানে সে এইটাও জানে বিয়ে করলে তাকে কিছুদিন পর তালাক দিতে হবে।

এখন কি কোনো শর্ত ছাড়া ২য় বিয়ে কি হিল্লাহ হবে?শর্ত ছাড়া কিছুদিনের জন্য বিয়ে করতে পারবে? যেহেতু সব ২ জনই জানে।তাদের মধ্যে সহবাস হলে ১ম স্বামীর জন্য বৈধ হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে করনীয় হলো, আপনার স্ত্রী অন্যত্র বিবাহ হতে হবে।তারপর সেই স্বামীর সাথে স্বাভাবিক ঘর সংসার করতে হবে। এমনকি শারিরীক সম্পর্ক হতে হবে। তারপর সেই স্বামী যদি আপনার স্ত্রীকে তালাক দেয়, তারপর ইদ্দত শেষ হয়, তাহলেই কেবল আপনার স্ত্রীকে আপনি আবার বিবাহ করতে পারবেন। এবং আবার ঘর সংসার করতে পারবেন। এছাড়া দ্বিতীয় কোন রাস্তা খোলা নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَجُلاً طَلَّقَ امْرَأَتَه“ ثَلاَثًا فَتَزَوَّجَتْ فَطَلَّقَ فَسُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَتَحِلُّ لِلأَوَّلِ قَالَ لاَ حَتّٰى يَذُوقَ عُسَيْلَتَهَا كَمَا ذَاقَ الأَوَّلُ.

আম্মাজান আয়েশা রা. থেকে বরণিত, রাফায়ার স্ত্রী বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমার স্বামী রাফায়া আমাকে এক সাথে তিন তালাক দিয়েছে? এরপর আমি আব্দুর রাহমানের সাথে বিবাহ করেছি। এখন রাফায়ার কাছে যেতে পারবো কিনা? নবীজী বললেন, আবদুর রহমান তোমার সাথে সহবাস করলে এরপর রাফায়ার নিকট যেতে পারবে। (সহীহ বুখারী ৫২৬১)

আরো জানুনঃ- 

https://ifatwa.info/86110/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
যদি প্রথম স্বামীর সাথে পূনরায় বিয়ে হালাল হওয়ার শর্তে অন্য কারো সাথে উক্ত স্ত্রীর বিয়ে হয়, তাহলে সেই পদ্ধতি নাজায়েয হিসেবে বিবেচিত হবে। হ্যা, যদি এমন বিয়ে হওয়ার পর দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস হয়ে যায়, তাহলে প্রথম স্বামীর সাথে পূনরায় বিয়ে  বৈধ হয়ে যাবে, কেননা এখানে কুরআনে বর্ণিত শর্ত পাওয়া গিয়েছে। 
তবে যদি স্বামী স্ত্রী কারো মুখ থেকে বা তৃতীয় কাহারো মুখ থেকে বিয়ের পর তালাক হবে, এ জাতীয় কোনো শর্ত উল্লেখিত না হয়, বরং স্বামী বা স্ত্রীর কারো মনের মধ্যে এমনটা থাকে, এবং বিয়ের পরবর্তী সহবাসের পর স্বামী বা স্ত্রীর কেউ তালাক দেয় বা চায়, তাহলে তখন তালাক পরবর্তী প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ জায়েয হবে ।এবং উক্ত ত্বরিকাটাও নাজায়েয বা মাকরুহ হবে না।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্ত্রীর ২য় বিবাহের ক্ষেত্রে যদি স্বামী স্ত্রী কারো মুখ থেকে বা তৃতীয় কাহারো মুখ থেকে বিয়ের পর তালাক হবে, এ জাতীয় কোনো শর্ত উল্লেখিত না হয়, বরং স্বামী বা স্ত্রীর কারো মনের মধ্যে এমনটা থাকে, এবং বিয়ের পরবর্তী সহবাসের পর স্বামী বা স্ত্রীর কেউ তালাক দেয় বা চায়, তাহলে তখন সহবাসের পত তালাক পরবর্তী ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর প্রথম স্বামী (আপনার ) সাথে বিবাহ জায়েয হবে।

এবং উক্ত ত্বরিকাটাও নাজায়েয বা মাকরুহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (15 points)
মনে মনে তালাক নেওয়ার ইচ্ছা আছে এবং যে করবে সেও ত জানে যে তালাক দিতে হবে, কিন্তু কবে তালাক হবে এমন কোনো শর্ত হবে না, তাহলে কি হিল্লা বিয়ে হবে?।এতে কি পাপ হবে?
by
ব্যাপারটা কেমন যেন হয়ে গেলো না। এখন তো এথেকে আরো কিছু প্রশ্ন করা যায়। -
(১.) স্ত্রীর মনের মধ্যে যদি এমনটা থাকে এবং বিয়ের পরবর্তী সহবাসের পর স্ত্রী তালাক চায়, এখন স্বামী যদি তালাক দিতে অস্বীকৃতি জানায় তবে? কারণ স্বামীর পূর্ণ ক্ষমতা আছে।

(২.) যদি ২য় স্বামী সামাজিকভাবে বা মানসিকভাবে চাপের মাঝে থাকে, যে তাকে তালাক দিতেই হবে [উক্ত প্রশ্নে উল্লিখিত প্রেক্ষাপটে] এবং স্ত্রীও বিয়ের পর সহবাসের পর তালাক চায় তখন এটা কি জায়েজ হবে? এটা তো এক প্রকার হিল্লা বিয়ে হয়েই গেলো। কারণ তাদের নিয়তই তো ছিলো কিছুদিনের জন্য বিবাহ করা (শুধুমাত্র তা বাইরে প্রকাশ করা হয়নি)।

(৩.) ইসলামে এই রকম বিবাহের শর্ত সম্পর্কে আমি যা পড়েছি সেটি হলো: স্ত্রী যদি দ্বিতীয় বিবাহ করে এবং সহবাসও করে; এবং পরবর্তীতে কোনোসময় তাকে তালাক দেওয়া হয় তবে তাহলে সে ইদ্দত পালনপূর্বক প্রথম স্বামীর নিকট আসতে পারে। কিন্তু প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে, ২য় স্বামী ও স্ত্রী এই নিয়তেই বিয়ে করছে যে, তারা নির্দিষ্ট সময় পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এরকম মন মানসিকতা কি ইসলাম support করে? আর যদি না করে, তবে এটাকে জায়েজ বললেন কিভাবে? আর এটাতো আমার কাছে হিল্লা বলেই মনে হচ্ছে।
by
অর্থাৎ এই 'চুক্তি' লিখিত বা মুখে বর্ণিত না হলেও মনঃস্তাত্ত্বিক ভাবে এই চুক্তি করা হয়ে গেছে। তখনও কি এটা জায়েজ হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...