আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
639 views
in সালাত(Prayer) by (29 points)
আসসালামুয়ালাইকুম,

১। আর অবশ্যই তারা বহন করবে তাদের বোঝা এবং তাদের বোঝার সাথে আরো কিছু বোঝা। আর তারা কিয়ামতের দিন অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে সে সম্পর্কে, যা তারা মিথ্যা বানাত। (সুরা আনকাবুত ২৯ঃ১৩)

আমি যদি এখন একজনের কথা শুনে ভুল আমল করি, সেক্ষেত্রে আমি যার কথা শুনে ভুল আমল বা কাজ করতেছি তার জন্যে অই ব্যাক্তি(যার কথা শুনে আমি আমল করতেছি) গুনাহ গার হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে, ভুল আমল করার জন্যে আমি গুনাহগার হবো কিনা?

২। জামাতের নামাজে যদি ইমাম সাহেবের ভুল হয়( অথবা ইমামের এমন কোনো ভুলের কারণে নামাজ শুদ্ধ হলোনা যেটা মুসল্লির নিকট প্রকাশ পায়নি), সেক্ষেত্রে কি মুসল্লির নামাজ হয়ে যাবে? নাকি এর জন্যে গুনাহগার হতে হবে?

1 Answer

+1 vote
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
আবু দাউদ শরীফের ৩৬৫৭ নং হাদীসে এসেছে 

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَفْتَى ح وحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي نُعَيْمَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ الطُّنْبُذِيِّ، رَضِيعِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ»

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে ফতোয়া দেয়া হয় ...। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে অজ্ঞতা প্রসূত ফতোয়া দেয়া হয় তার পাপ ফাতাওয়াদানকারীর উপর বর্তাবে। 
,
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ، حُمَيْدُ بْنُ هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ " .

আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।

আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮; দারিমী ১৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২৪২।

আরো জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই  বোন, 
যথেষ্ট চেষ্টা ইত্যাদি করার পর নির্ভরযোগ্য মুফতী সাহব থেকে ফতোয়া নেওয়ার পর আমল করা শুরু করলে মাসয়ালা যদি ভুল হয়,তাহলে বিষয়টি জানা মাত্র উক্ত কাজা থেকে ফিরে আসতে হবে।
না জেনে এতোদিন এ ভুল মাসয়ালার উপর আমলের   গুনাহ ফতোয়া দাতার হবে।       
,
তবে মাসয়ালা যে ভুল ছিলো,বা এই মাসয়ালাটিতে কোনো সমস্যা আছে,এটি জানার পর সেই  ভুল মাসয়ালার  উপরই আমল করলে আমল কারীও গুনাহগার হবেন।
,
(০২)
সেক্ষেত্রে মুছল্লিদেরও নামাজ হবেনা।
ইমামের ন্যায় সমস্ত মুছল্লিদেরও পুনরায় নামাজ আদায় করতে হবে।
আর উক্ত বিষয় সম্পর্কে ই'লান করে দেওয়া ইমামের উপর আবশ্যক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (29 points)
আমি এতদিন যেসব নামাজ পড়ে এসেছি, এখন এইসব নামাজের ক্ষেত্রে যদি ইমাম সাহেবের কোনো ভুলের কারণে নামাজ সঠিক ভাবে আদায় নাহয়, তাহলে সেইসব নামাজ কি আমারও সঠিক/শুদ্ধ হয়নি?
ইমাম যদি তাঁর নামাজ শুদ্ধ না হওয়ার বিষয়টি ইচ্ছাকৃত গোপন রেখে দেন সেক্ষেত্রে তো মুসল্লির কোনো ভাবেই জানা হচ্ছেনা যে ইমাম নামাজ ভুল করেছে/নামাজ টি আমাদের হয়নি! সেক্ষেত্রে মুসল্ললির কোনো দোষ না থাকা সত্ত্বেও কি নামাজ হবে না? (এরকম  অবস্থার সম্মুখীন হয়েছি যার জন্যেই এই বিষয়ে ভাবাচ্ছে অনেক।  অনুগ্রহ করে জানাবেন!)
by (675,600 points)
সেসব নামাজও হবেনা।
ইমামের ভুল হওয়ার বিষয় জেনে থাকলে পুনরায় সেসব নামাজ আদায় করতে হবে।
আর না জেনে থাকলে সেটি আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন,ইনশাআল্লাহ।   

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...