জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " الإِمَامُ ضَامِنٌ وَالْمُؤَذِّنُ مُؤْتَمَنٌ اللهُمَّ أَرْشِدِ الأَئِمَّةَ وَاغْفِرْ لِلْمُؤَذِّنِينَ "
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম হচ্ছেন যিম্মাদার এবং মুয়াজ্জিন (ওয়াক্তের) আমানাতদার। ‘হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন এবং মুয়াজ্জিনদের ক্ষমা করে দিন।’
তিরমিযী (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ ইমাম যিম্মাদার এবং মুয়াজ্জিন আমানতদার, হাঃ ২০৭), আহমাদ (২/২৩২/২৮৪), ইবনু খুযাইমাহ (১৫২৮), ইবনু হিববান (৩৬৩), বায়হাক্বী (১/৪৩০), ত্বাবারানী ‘সাগীর’ (১/২১৪)।
ইমামতির শর্ত সমূহ।
১। পুরুষ হওয়া।
২। মুসলমান হওয়া।
৩। বালেগ হওয়া। নাবালকের ইমামতি শুদ্ধ নয়।
৪। বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়া। পাগলের ইমামতি শুদ্ধ নয়।
৫। নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কেরাত শুদ্ধভাবে পড়তে সক্ষম হওয়া। সুতরাং যে ব্যক্তি নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য যতটুকু কেরাত পড়া প্রয়োজন, ততটুকু পড়তে সক্ষম নয়, ওই ব্যক্তির ইমামতি শুদ্ধ নয়।
৬। নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার যতগুলো শর্ত আছে, তার মধ্য থেকে যদি শুধু একটি শর্তও পাওয়া না যায়, তাহলে তার ইমামতি শুদ্ধ হবে না।
৭। ওজর তথা নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া, প্রস্রাব ঝরা, সর্বক্ষণ বায়ু নির্গত হওয়া ইত্যাদি যাবতীয় অপারগতামুক্ত হওয়া।
৮। শব্দের সঠিক উচ্চারণে সক্ষম হওয়া।
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
নামাজ শুদ্ধ হওয়ার মাসয়ালা,নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মাসয়ালা,নামাজের ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নাত সম্পর্কে আপনার জ্ঞান রাখা জরুরি,এবং তদনুযায়ী নামাজ পড়ানো জরুরী।
কিরাআত বিশুদ্ধ হওয়া জরুরি।
জামাতের আগ দিয়ে মুক্তাদিদের ইমামতির নিয়ত করবেন।
(০২)
ইমাম সাহেব শুধু سمع الله لمن حمد বলবে।
মুক্তাদি শুধুমাত্র ربنا لك الحمد পড়বে।
তবে ইমাম সাহেবও যদি "রব্বানা লাকাল হামদ" পড়ে,সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।
(০৩)
যদি সেজদাহ,বৈঠক দীর্ঘকরন প্রবল ধারণা অনুপাতে মুক্তাদীদের জন্য সমস্যাকর না হয়,তাদের জন্য যদি বিষয়টি বিরক্তিকর না হয়,তাহলে দুই সেজদার মাঝে উক্ত দোয়া পড়া যাবে।
আর যদি প্রবল ধারণা হয় যে এতে মুক্তাদীদের বিরক্তি চলে আসবে,তাহলে দুই সেজদার মাঝে উক্ত দোয়া পড়বেনা।
(০৪)
যেহেতু সেখানে জামাতে নামাজ আদায় হচ্ছে,তাই সেখানেও আযান দেয়ার ব্যবস্থা করবেন।
অন্যান্য মসজিদের আযান শেষ হওয়ার আগেও জামাত শুরু করা যাবে।
★শরীয়তের বিধান হলো,মসজিদ ছাড়া অন্যত্রে জামাতে নামাজ পড়লে,সেখানে যদি মহল্লার মসজিদের আযানের আওয়াজ আসে,তাহলে সেখানে আযান,ইকামত দেয়া আবশ্যক নয়।
মহল্লার মসজিদের আযানই যথেষ্ট।
তবে উত্তম হলো সেখানেও আযান ইকামত দিয়ে জামাত শুরু করা।
(০৫)
হ্যাঁ, এভাবে জামাত পড়া যাবে।
প্রত্যেকবার জামাতের শুরুতে ইকামতের ব্যবস্থা করা উত্তম।