ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/3458/
নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ইসলাম বা দেশের স্বার্থে ফেসবুকে ছদ্মনাম
ব্যবহার করে ন্যায্য বিষয় নিয়ে,
সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে
লেখালেখি করা জায়েজ আছে। তবে শরীয়ত বহির্ভূত কোনো কাজ করা যাবেনা।
দেশ ও মানবতা বিরোধী
কোনো কিছু লেখা যাবেনা। এই ছদ্মনাম ব্যবহার
করে কাউকে এমন কথা বলা যাবেনা,
যেটা ধোকা দেওয়া বুঝায়।
কারন ধোঁকা দেওয়া ইসলামে জায়েয নেই।
□ আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَتَعَاوَنُوا
عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের
ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।
{সূরা মায়িদা-২}
□হাদীস শরীফে এসেছে
عَنْ
أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
«مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ
যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে
আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
□অন্য এক হাদীসে এসেছে
قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى
شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ
মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
,
সুতরাং কাউকে যদি ধোঁকা
না দেওয়া হয় এবং শরীয়ত বহির্ভূত
কোনো লেখালেখি না করা হয়, ইসলাম দেশ ও মানবতার স্বার্থে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ছদ্মনাম ব্যবহার করে ফেসবুকে লেখালেখি করা জায়েজ আছে।
,
তবে কাউকে ধোঁকা দেওয়া হলে বা শরীয়ত বহির্ভূত
কোনো কাজ করা হলে এটি জায়েজ হবেনা।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইসলাম, দেশ ও মানবতার স্বার্থে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ছদ্মনাম ব্যবহার করা করা জায়েজ আছে।
তবে কাউকে ধোঁকা দেওয়া হলে বা শরীয়ত বহির্ভূত
কোনো কাজ করা হলে এটি জায়েজ হবেনা।