আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১-এইখানে(আইফতোয়া)বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছি বাচ্ছাদের শাসন সম্পর্কে।

১০ বছরের বাচ্ছাদের বেত দ্বারা প্রহার করা যাবেনা।এই বিষয়ে বাচ্ছাদের কাছে ক্ষমা চাইলেও হবেনা।আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করা লাগবে ইত্যাদি।

আমি কিছু স্টুডেন্ট পড়াই,যাদের একজন ছাড়া আর কারো ১০ বছর বয়স হয়েছে বলে আমার মনে হয়না।মানে বাকিরা ১০ এর নিচে।ওই একজন ক্লাস সেভেন,আর বাকিরা ক্লাস ওয়ান,টু,থ্রি।আমি আগে তাদের হোমওয়ার্ক না দিলে হাতে বেত দিয়ে মারতাম,না পড়লে,অন্যদের ডিস্টার্ব করলে এইভাবে।তাদের ভালোর জন্যই তাদের মারতাম।এইখানে বাচ্ছাদের শাসন নিয়ে পড়ার পর কয়েকদিন হাতে বেত নিইনাই।তারপরে দেখতেছি তারো আরো বেশি বেশি করতেছে তখন শুধু ভয় লাগানোর জন্য হাতে বেত টা নিতাম।হইতো খাটে/ চেয়ারে জোরে মারতাম।কয়েকদিন থেকে আবার একটু একটু মারা শুরু করেছি।

আমি তাদের না মেরে নম্রতার সাথে পড়াতে চাই।তাদের সাথে আলহামদুলিল্লাহ আমার সম্পর্ক ভাল।সমস্যা হলো তাদের মারিনা তাই তারা আর রিগুলার হোমওয়ার্ক দেয়না।তাদের জন্য মাস শেষে চকলেট দিবো বলে খাতায় লিস্ট করি যারা পাশ হবে তাদের জন্য।তাতেও দুজন বাদে কেও তেমন সিরিয়াস হচ্ছেনা।তাদের যদি কানে ধরায়,উঠবস করায় তাতেও তারা খুশি।তারা শুধু মাইরকেই ভয় পায়।যখন আগে মারতাম খুব কমই হোমওয়ার্ক মিস যেত।

তাদের আম্মুরা  আমায় বলে তাদের যেন পিটাই,কিন্তু আমি আল্লাহ কে ভয় করি।আবার এইদিকে বাচ্ছাগুলোও মারিনা বিধায় অনেক বেশি দুষ্টমি করে।আমার পাগলের মত অবস্থা।

দায়িত্ব অনেক বড় কঠিন।আমি কি করবো?আমি যাই করি তাদের ভালোর জন্য।কয়েকজনকে পড়ানোর ইচ্ছে মন থেকে চলে গেছে।

তাদের ভালোর জন্য আমি কতটুকু শাসন করতে পারি শাইখ?

২-একজন কাছের মানুষ,যার একটি ছোট মাদ্রাসা আছে।বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি।১৯/২০ বছর হবে প্রতিষ্ঠানের।আল্লাহর  দয়ায় তিনি এতোটুকু করেছেন।আজ কয়েকবছর উনার আর্থিক অবস্থা খারাপ যাচ্ছে,কোন কাজ হয়েও হয়না এমন।তিনি স্বপ্ন দেখেন মাদ্রাসা টা বড় করার।উনি বাচ্ছাদের পড়ালেখার প্রতি সিরিয়াস।শিক্ষকদের অবহেলা,না আসা,ক্লাস ফাকি দেয়া এইসব পছন্দ করেন না।উনার স্বপ্ন উনার টাকা থাকলে উনি আরো ভাল শিক্ষক রাখবেন।উনাদের এইসবের জন্য বকাবকি করলেও উনাদের মাথা খারাপ।

সমস্যা হলো উনি এখন মাদ্রাসায় গিয়ে উনার প্রয়োজনে টাকা নেন।অবশ্যই উনাদের বেতন কেটে/বকেয়া রেখে না।যতটুকু জানি,উনি বলেন উনি কখনো এইসব টাকা নিতেন না,যখন ইনকাম ছিল।

প্রতিমাসে টাকা উঠলে প্রধানশিক্ষক & বাকি টিচাররা ভাগ করে নিয়ে নেন। উনি টাকা চাননি মাদ্রাসার।এখন নিচ্ছেন তাই অনেকের(টিচার) ভাল লাগেনা।অবশ্যই তিনি বলেন আমি যত টাকা নিই তা লিখে রাখি।মানে উনি ধার হিসেবে মাদ্রাসা থেকে নিচ্ছেন।

আসলে এই টাকার ভাগ টা কিভাবে হবে।মাস শেষে সব টাকা কে নিয়ে ভাগ করবে?কিভাবে?উনি তো চান মাদ্রাসার উন্নতি করার।তিনি বাধ্য হয়ে নিচ্ছেন।

৩-কোন বোন যদি ভাইয়ের উপর রাগ করে তার আব্বুকে বলে আপনার ছেলে নেই মনে করেন।সব জায়গা সম্পত্তি বিক্রি করে দেন।কাদের জন্য এইসব রাখবেন?

তার এইসব বলাতে কি গীবত হবে?

মানে লোকটার অবস্থা খুব খারাপ যাচ্ছে।মাঝে মাঝে ওষুধ  খাওয়ার টাকাও পকেটে থাকেনা।ঋনে জর্জরিত।তাই উনার মেয়ে উনাকে এইসব বলে।এতে কি মেয়েটার বলা কথা গুলো গীবত হবে?

শাইখ তিনটা প্রশ্নের উত্তর একটু বড় করে দিয়েন যাতে বুঝতে সুবিধা হয়।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নাবালক বাচ্ছাদেরকে শিক্ষা ও তারবিয়্যাত শিখানোর স্বার্থে প্রহার করার রুখসত রয়েছে।
الطبقات الكبرى:
"عن عكرمة قال: كان ابن عباس يجعل في رجلي الكبل يعلمني القرآن ويعلمني السنة". (الطبقات الکبری لابن سعد،(5/ 219)، بقیة الطبقة الثانیة من التابعین،  عکرمة، ط:دارالکتب العلمیة بیروت)

শিক্ষা অর্জনের প্রতি ছাত্রদেরকে মনযোগী করতে বা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করার পরও যদি ছাত্রটি মনযোগী হয়না,তখন তাকে সরি বা বেত দ্বারা অবস্থাবেধে সর্বোচ্ছ ১০টা বেত্রাঘাত  করা যাবে।যেমন হাদীস শরীফে এসেছে......
ﺃﺑﻲ ﺑﺮﺩﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﻻ ﻳﺠﻠﺪ ﻓﻮﻕ ﻋﺸﺮ ﺟﻠﺪﺍﺕ ﺇﻻ ﻓﻲ ﺣﺪ ﻣﻦ ﺣﺪﻭﺩ ﺍﻟﻠﻪ
ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﺪﻭﺩ » ﺑﺎﺏ ﻛﻢ ﺍﻟﺘﻌﺰﻳﺮ ﻭﺍﻷﺩﺏ
তরজমা- নবী কারীম সাঃ বলেনঃ-
শিষ্টচার শিক্ষা দেওয়ার জন্য সর্বোচ্ছ দশটা বেত্রাঘাত করা যাবে তবে আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা অতিক্রান্ত হওয়ার হলে এর থেকেও বেশী শাস্তি দেওয়া যাবে।(যেমন ব্যবিচারির শাস্তি ১০০বেত্রাঘাত)
**শিষ্টাচার শিক্ষা দিতে বেত্রাঘাত ব্যতীত অন্যান্য সব রকম চেষ্টাই যখন ব্যর্থ হবে সব রকম চেষ্টাই বিফল যাবে,তখন বেত্রাঘাত করার হুকুম শরীয়ত কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে প্রদান করে।
(১)দশের উর্দে হতে পারবে না।
(২)চেহারায় প্রহার করা যাবে না।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/6149


(২)
তিনি মাদরাসার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে থাকলে মাদরাসা থেকে পারিশ্রমিক নিতে পারবেন। আর তিনি চাইলে পরবর্তীতে ফিরিয়েও দিতে পারবেন।

(৩)
উনি বাস্তবতার আলোকে এগুলি বলছেন।তাই এটা গীবত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...