জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ওয়াক্ত মতো নামাজ পড়া অকাট্য ভাবে প্রমানীত ফরজ।
কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
فَاِذَا اطْمَاْنَنْتُمْ فَاَقِیْمُوا الصَّلٰوةَ، اِنَّ الصَّلٰوةَ كَانَتْ عَلَی الْمُؤْمِنِیْنَ كِتٰبًا مَّوْقُوْتًا.
অতঃপর যখন তোমরা নিরাপত্তা বোধ করবে তখন সালাত যথারীতি আদায় করবে। নিশ্চয়ই সালাত নির্ধারিত সময়ে মুমিনদের এক অবশ্যপালনীয় কাজ। -সূরা নিসা (৪) : ১০৩
কোনোভাবেই এটি ছেড়ে দেওয়া জায়েয নেই।
তবে কোনো অতিব সমস্যার কারনে যদি ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়,নামাজ যদি না পড়তে পারে,তাহলে সেটার কাজা আদায় করবে।
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى
অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৯৩২
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪১৮২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এভাবে নামাজ কাজা করা আপনার জন্য কোনোভাবেই জায়েজ হচ্ছেনা।
এর জন্য আখেরাতে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন আপনাকে হতে হবে।
সুতরাং ওয়াক্তের মধ্যেই নামাজ আদায় করে নিতে হবে,নামাজ কাজা করা যাবেনা।
তাহলে এই বালা মুসিবত থেকে দূর হবে।
(০২)
আপনার জন্য চিন্তা করার দরকার নেই।
আরো জানতে নিম্নোক্ত প্রশ্নের জবাব দ্রষ্টব্যঃ-
(০৩)
এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।
ইনশাআল্লাহ।