জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
বিবাহবার্ষিকী পালন করা, এটা আমাদের ইসলামী কোনো সংস্কৃতি নয়। এটা এসেছে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর থেকে। এটা আমরা গ্রহণ করতে পারি না।
মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:-
“হে মুমিন মুসলমানগণ! তোমরা কাফিরদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না”। ( সূরা আন নিসা : পবিত্র আয়াত ১৪৪)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-
“তোমরা (মুসলমানগণ) কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ-অনুকরণ করো না।” ( সূরা আহযাব : পবিত্র আয়াত ৪৮)
আমাদের কাছে প্রতিটি দিনই খুশির দিন। যাঁরা স্বামী-স্ত্রী আছেন, তাঁদের প্রতিটি দিনই হবে খুশির দিন
প্রতিদিনই স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে,স্ত্রী তার স্বামীকে নিয়ে খুশি, প্রতিদিনই আমাদের জন্য খুশির দিন। আমরা এ জাতীয় কোনো সংস্কৃতি গ্রহণ করতে পারি না।
,
আমাদের স্ত্রীরা সব সময় স্বামীর জন্য খুশির কারণ, স্বামীরা সব সময় স্ত্রীদের জন্য খুশির কারণ। এটা কোনো সুনির্দিষ্ট দিনে নয়। এ জন্য বিয়ের দিন, এ জাতীয় জিনিসগুলো পালন করা ইসলাম অনুমোদন করে না।
,
বিবাহবার্ষিকী পালন একটি বিজাতীয় সংস্কৃতি। আর ইসলামি শরিয়তে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عن ابن عمر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من تشبه بقوم فهو منهم
‘যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪০৩১]
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত স্বামী স্ত্রী নিজেরা নিজে বিবাহ বার্ষিকী পালন করা, বা উপহার দেয়া নাজায়েজ।
,
এতে গুনাহ হবে।