আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
215 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by

আসসালমুআলাইকুম সম্মানিত মুফতী সাহেব,
একটা বিষয় জানতে প্রশ্ন, বিষয় টা জানালে খুব উপকৃত হতাম। (বি দ্রঃ:- এটা কোনো ওয়াসওয়াসা না বিষয় টা জানার জন্যই প্রশ্ন করছি) একটু এডিট করেছি দয়া করে জবাব দিবেন হুজুর অনুরোধ রইলো । অনেক উপকৃত হব ।
১. একটা ছেলে, মেয়ের  মধ্যে সম্পর্ক ছিল দুই পরিবার থেকে বিয়ে ঠিক হয়, বিয়ের পূর্বে ছেলে মেয়ের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হয়েছে মেয়ের একটা ভুল এর জন্য, ছেলেটা মেয়ে টাকে বলছে আমাকে ছেড়ে দাও , বিয়ে করবনা। মেয়েটা বলছে তুমি আমাকে শুধু ছেড়ে দিবা বলো কেনো?  ছেলেটা বলে অবশ্যই ছাড়বো।  মেয়ে টা বলে আমরা যদি স্বামী স্ত্রী হয়ে যেতাম তখন কি এই রকম কিছু করলে তুমি আমাকে ছাড়তে পারতা? ছেলেটা বলে অবশ্যই , তখন আলাদা ব্যাপার ছিল।
এক্ষেত্রে কি বিয়ের পর কোনো তালাক বা শর্ত তালাক হবে?
২. বিয়ের আগে বন্ধু এর সামনে শর্ত তালাক এর  কথা বলেছিলাম, কিন্তু  কি বলেছিলাম সেটা সঠিক ধরতে পারছিনা, আমার হালকা হালকা মনে পড়ছে আবার সম্পূর্ণ বাক্য কি বলেছিলাম সেই টা বুঝতে পারছিনা  , এবং বলেছিলাম এমন  হলে ডাইরেক্ট ডিভোর্স  । 
(  তিনটি বিষয় মনে হচ্ছে  কিন্তু কনফ্রম না , ১.যদি স্ত্রী কে বোঝানোর পর কথা না শুনে, ২. আব্বু হয়ত খুশি হয়ে বললো বৌমা হাতের রুটি করে দাও তো , দিয়ে স্ত্রী হয়ত বললো পারবনা ,বা অপমান করলো। ৩. স্ত্রী কে একটা জিনিষ একবার ,দুবার , বোঝাবো তার বেশি বোঝাবো না। এই তিনটি বিষয় এর মধ্যে কোনো একটা বলেছিলাম কিন্তু  কনফ্রম হতে পারছিনা । )
এক্ষেত্রে যদি স্ত্রী এই সব কাজ গুলো করে তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে??  

 ৩.   * খুশি হয়ে বললো বৌমা হাতের রুটি করে দাও তো , দিয়ে স্ত্রী হয়ত বললো পারবনা ,বা অপমান করলো ,  এই বাক্য টা  টা বলেছি, কিন্তু কি ভাবে কি বলেছি সেই টা মনে পড়ছে না সম্পূর্ণ বাক্য টা কি বলেছিলাম , এই রকম বললে ডিভোর্স, বা ডিভোর্স দিবো, কি বলেছিলাম সেই টা মনে পড়ছে না  । বন্ধু দের জিজ্ঞাসা ও করতে পারছিনা।  এক্ষেত্রে কি কোনো তালাক হবে? বাক্য টা এমনি বলেছি   কিন্তু সর্ত নিয়ে একটু সন্দেহ ও হয়ে যাচ্ছে,  কি বাক্য বলেছি সেই নিয়ে একবার মনে হচ্ছে ডিভোর্স, একবার মনে হচ্ছে ডিভোর্স দিবো কি বলেছি সন্দেহ তে পড়ছি  । স্ত্রী যদি সেই কাজ করে এক্ষেত্রে কি তালাক হবে??  

আমি কি স্ত্রী কে এমনি একটু সতর্ক করে দিতে পারি?? স্ত্রী সে কাজ করলে কোনো সমস্যা হবে না তো??   

আমি একবার কনফ্রম হয়ে যাচ্ছি, আর একবার মনে হচ্ছে হয়ত ভবিষ্যত্ সূচক বাক্য বলেছি। মনে পড়ছে বলেছি কিন্তু সিওর হতে পারছিনা 

৪.বাক্য টা এইরকম বলতে পারি:- বন্ধু কে বলছি দেখা গেলো এমন মেয়ে কে বিয়ে করলি, বাপে  হয় তো বলছে বৌমা হাতের রুটি করে দাও, বউ হয়ত বলছে পারবো না বা অপমান করছে , তাহলে কোনো কথাই হবে না ডিভোর্স । বন্ধুর সঙ্গে এমন ভাবে   কথা বললে  কথা টা বন্ধুকে বলেছি,তাহলে কি শর্ত তালাক হবে?

 ৫. দেখা গেলো এমন মেয়ে কে বিয়ে করলাম , বাপে  হয় তো বলছে বৌমা হাতের রুটি করে দাও, বউ হয়ত বলছে পারবো না বা অপমান করছে , তাহলে কোনো কথাই হবে না ডিভোর্স । এমন বাক্য বলেছি কি না জানিনা। মনে পড়ছে না । 

 ৪ নম্বর ও ৫ নম্বর প্রশ্নের যেকোনো একটা বাক্য বলা হয়েছে কিন্তু কনফ্রম না কোন বাক্য বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে কি কোনো তালাক হবে??আমি এই বিষয় নিয়ে কি করব আমাকে বলে দিন 

৬. এই প্রশ্ন মোবাইলে নোট বুক এ লেখা ছিল, যাতে প্রশ্ন করতে সুবিধা হয়, স্ত্রী আমার মোবাইল দেখতে গিয়ে,ভুল করে সমস্ত প্রশ্ন পড়েছে, এবং আমাকে বলছে তুমি যে সব প্রশ্ন করেছ, আমি তো সেই সব কিছুই করিনি। কিছু করলে তো হবে ( তালাক)।  আসলে শায়েখ আমি তো নিজে ও কনফ্রম না আমি কোন কথা টা বলেছি বিষয় টা জানার জন্যই প্রশ্ন করেছি, আর স্ত্রী কে আমি কিছু বলিও নি, স্ত্রী ভুল করে প্রশ্ন পড়েছে,  তাহলে যদি স্ত্রী সেই সব কাজ করে তাহলে কি তালাক হবে?? 

আর একটা প্রশ্ন তে ভবিষ্যত্ সূচক বাক্য ছিল অমুক কাজ করলে ডিভোর্স দিবো, স্ত্রী সেইটা ও পড়েছে। স্ত্রী যদি সেই কাজ করে তাহলে কি ডিভোর্স হবে??

হুজুর দয়া করে বিষয় টা জানাবেন। 

1 Answer

0 votes
by (719,600 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।

https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (719,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...