আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
edited by
আসসালা-মু ‘আলাইকুম হুজুর

(০১) ব্রাশ না করলে দাঁতে সাদা ময়লা জমে, তো এগুলোর জন্য কি ফরজ গোসলে সমস্যা হবে?

(০২) রোজা অবস্থায় মেসোয়াক করলে মেসোয়াকের আগা(লম্বা লম্বা) যা দিয়ে দাঁত ঘষি সেগুলো দাতের সাথে ঘর্ষণে ছিড়ে যায়। আর মুখ,গলার বিভিন্ন স্থানে আটকে থাকে।যা বের করা যায় না। এগুলোর জন্য কি রোজা নষ্ট হবে?

(০৩) আর ফরজ গোসলে নাকের নরম অংশ বলতে কতটুকু বোঝানো হয়েছে? রোজা অবস্থায় কতটুকু নাক পরিষ্কার করবো?রোজা অবস্থায় পানী টানলে তো সেগুলো নাক হয়ে গলা দিয়ে পেটে চলে যাবে। প্লিয সাহায্য করুন।দয়া করে ছবি দিয়ে বোঝাবেন।

https://drive.google.com/file/d/16kTwbKhl7zZzfqSbtt8DYlLgcQiRznkR/view?usp=drivesdk

(০৪) আর অবাঞ্চিত লোমে শুকনো বীর্য থাকলে করণিয় কি? আর সেগুলো না ঊঠলে?

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এগুলোর জন্য ফরজ গোসলে সমস্যা হবেনা।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাযি. থেকে বর্ণিত-

ذكر عنده الوضوء من الطعام، قال الأعمش مرة والحجامة للصائم، فقال : إنما الوضوء مما يخرج وليس مما يدخل، وإنما الفطر مما دخل وليس مما خرج.

শরীর থেকে (কোনো কিছু) বের হলে অযু করতে হয়, প্রবেশ করলে নয়। পক্ষান্তরে রোযা এর উল্টো। রোযার ক্ষেত্রে (কোনো কিছু শরীরে) প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায়, বের হলে নয়। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪০২)

ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছেঃ   
اؤ ابتلع ما بين أسنانه وهو دون الحمصة . لانه تبع لريقه .ولو قدرها افطر 
(لانه تبع لريقه ) لانه قليل لا يمكن الاحتراز عنه
চানা বুটের চেয়ে ছোট বস্তু দাঁতের ফাঁকে আটকে গেলে এবং তা গলার ভেতর চলে গেলে কিংবা খেয়ে ফেললে রোজা ভাঙে না। (শামি, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ৩৬৭)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মিসওয়াকের এ আশ ছোলা বুটের সমান নয়।
তাই এগুলোর জন্য রোজা নষ্ট হবেনা।
তবে সতর্কতা অবশ্যই কাম্য।

আরো জানুনঃ- 

(০৩)
নাকের মধ্যে আঙ্গুল প্রবেশ করালে নাকের মাঝের দিকে যে শক্ত স্থান আছে,সেটির মাথা মূলত নাকের নরম স্থান বলে বিবেচিত হয়।

(উল্লেখিত ছবিতে নিচের দিকে যে তিনটি দাগ দেয়া আছে,এর ৩নং দাগ উদ্দেশ্য।) 

তবে রোযা রাখা অবস্থায় এতো দূর পানি পৌছানো যাবেনা। হাদীস শরীফে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। 

সুতরাং রোযা অবস্থায় নিজের আঙ্গুল ভিজিয়ে নিয়ে তাহা দিয়ে নাকের ভিতর সামান্য ভিজিয়ে নেয়াই যথেষ্ট। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَالِغْ فِي الِاسْتِنْشَاقِ، إِلَّا أَنْ تَكُونَ صَائِمًا

লাক্বীত ইবনু সাবারাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি উত্তমরূপে নাকে পানি দিয়ে তা পরিস্কার করো- যদি তুমি সওম পালনের অবস্থায় না থাকো।
(আবু দাউদ ২৩৬৬)

উক্ত হাদীসের সারমর্ম হলোঃ  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি উত্তমরূপে নাকে পানি দিয়ে তা পরিস্কার করো- যদি তুমি সওম পালনের অবস্থায় না থাকো।

(০৪)
এক্ষেত্রে ডলে ডলে ধোঁয়া আবশ্যক। 
প্রয়োজনে অবাঞ্চিত লোম কেটে ফেলতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...