জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ فَقَالَ " اعْرِضُوا عَلَىَّ رُقَاكُمْ لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ " .
আবূ তাহির (রহঃ) ..... আওফ ইবনু মালিক আশজা'ঈ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জাহিলী (মূর্খতার) যুগে (বিভিন্ন) মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতাম। এজন্যে আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আবেদন করলাম- হে আল্লাহর রসূল! এক্ষেত্রে আপনার মতামত কি? তিনি বললেন, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমার নিকট উপস্থাপন করো, ঝাড়ফুঁকে কোন দোষ নেই- যদি তাতে কোন শিরক (জাতীয় কথা) না থাকে। (মুসলিম ৫৬২৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৪৪, ইসলামিক সেন্টার ৫৫৬৯)
তাবিজে কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুআয়ে মাসুরা বা শিরকমুক্ত অর্থবোধক থাকলে তা জায়িজ। কেননা এসব তাবিজের ক্ষেত্রে মুয়াসসার বিজজাত তথা আরোগ্যের ক্ষমতা আল্লাহ তাআলাকেই মনে করা হয়।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যদি আপনার জানা মতে আরোগ্যের ক্ষমতা তাবিজ/কবিরাজকেই মনে করে,অথবা সেই কবিরাজ শিরকী বাক্য দিয়ে তাবিজ করে,আর সে বিষয়টি জেনে শুনেই তার কাছে যায়,সেক্ষেত্রে আপনার উক্ত কথা বলা ঠিকই হয়েছে।
সুতরাং আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
অন্যথায় আপনার উক্ত কথা বলা ঠিক হয়নি,তবে এক্ষেত্রেও আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।