জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
("তাশাহুদ পড়ার সময় বিরতি আছে" এই বিরতি আসলে কখন? বিষয়টি কমেন্ট বক্সে স্পষ্ট করলে ভালো হতো।)
(০২)
আপনার নামাজ আদায় হয়েছে।
"ইয়া" এবং "আইয়্যুহা" উভয়টিই মুনাদার হরফ তথা আহবান সূচক বাক্য। সুতরাং এক্ষেত্রে "ইয়া" যুক্ত করাটা অতিরিক্ত বলে গন্য হবে।
তবে এতে নামাজের সমস্যা হবেনা।
(০৩)
এক্ষেত্রেও নামাজ হয়ে যাবে।
(তবে নামাজে তিলাওয়াত,রুকু সেজদার তাসবিহ,তাশাহুদ ইত্যাদি পাঠের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে।)
(০৪)
আপনি নামাযের বাহিরে বাংলায় দু'আ করবেন, অথবা আপনি আপনার অন্তরে সেই বিশেষ বিষয়কে উপস্থিত রেখে মুজমাল দু'আ যাতে দুনিয়া আখেরাতের সকল প্রকার কল্যাণ রয়েছে,যেমন "রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ" কুরআন-হাদীসে বর্ণিত এমন দু'আ করতে পারবেন।
নফল সালাতে বাংলায় দু'আ সম্পর্কে কেউ কেউ রুখসত দিয়ে থাকেন।
বিস্তারিত জানুনঃ
নামাযের সেজদায় শুধুমাত্র কুরআন-হাদীসে বর্ণিত দু'আ গুলোই করা যাবে।
সেজদায় গিয়ে سبحان ربي الأعلى
ছাড়াও অন্যান্য দোয়া পড়া যাবে। সমস্যা নেই। কিন্তু দুনিয়াবি দোয়া বা আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় দুআ করা যাবে না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদায় অনেক দোয়া পাঠ করতেনঃ
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَقُولُ فِى سُجُودِهِ « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ সেজদায় পড়তেন আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু”। {তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-১৩০৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৭৮, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১১১২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং-৬৭২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-১৯৩১}
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
মনে মনে বাংলায় দোয়া উচ্চারণ কিভাবে করা যায়,বিষয়টি অস্পষ্ট।
আপনি নামাজের মধ্যে মনে মনে বাংলায় দোয়া করতে পারবেন,এতে নামাজের সমস্যা হবেনা।
(০৫)
না,কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৬)
এক্ষেত্রেও তাৎক্ষনিক সেই চিন্তা বাদ দিতে হবে,নতুবা গুনাহ হবে।
(০৭)
অনিচ্ছাকৃতভাবে এগুলোর চিন্তা চলে আসলে সেক্ষেত্রে সাথে সাথে সেই চিন্তা বাদ দিবেন,তাহলে গুনাহ হবেনা।