আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামুয়ালাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এর উত্তর দিলে উপকৃত হবো।

১.নামাজে তাশাহুদ পড়ার সময় বিরতি আছে।কিন্তু আমি যদি বিরতি না নিয়ে একটা তাশাহুদ পড়ে যাই তাহলে নামাজ আদায় হবে?

২.তাশাহুদ পড়ার সময় "আসসালামু আলাইকা আইয়ুহান্নাবীয়ু" এর সাথে"ইয়া " যোগ করে "আসসালামু আলাইকা ইয়া আইয়ুহান্নাবীয়ু" পড়ে ফেলেছি। আমার নামাজ কি কবুল হয়েছে?

৩.নামাজ পড়ার সময় যদি মনে মনে যিকির করি তাহলে কি নামাজে সমস্যা হবে?

৪.নামাজের মধ্যে যদি বাংলায় দোয়া গুলো মনে মনে উচ্চারণ করি তাহলে কি নামাজ ভেঙ্গে যাবে? অর্থাৎ আমি মনে মনে শুধু উচ্চারণ করব। কিন্তু

দোয়া হিসেবে বলব না।

৫.তাওবা করার পর যদি ওয়াসওয়াসা বশত তওবা কবুল বারে বারে সন্দেহ হয় কিন্তু আমি যদি সন্দেহকে পাত্তা না দিয়ে বিশ্বাস করি তওবা কবুল হয়েছে। তাহলে কি তাওবাতে কোনো সমস্যা হবে?

৬.অশ্লীল চিন্তা,গান বাজনার চিন্তা, গালিগালাজ চিন্তা আসলে তৎক্ষণাৎ তা বাদ দিলে গুণাহ হয় না।কিন্তু এইসব চিন্তা করার পর তাৎক্ষণিক চিন্তা বাদ দেওয়ার পর ১ মিনিট পর যদি পুণরায় এগুলোর চিন্তা আসে এবং এগুলোর চিন্তা করে তাৎক্ষণিক তা বাদ দিলে কি গুণাহ হবে না?

৭.যদি অশ্লীল চিন্তা,গান বাজনার চিন্তা, গালিগালাজ চিন্তা করতে নিলে, চিন্তা করার আগেই যদি এসব চিন্তা বাদ দেই কিন্তু তখনই অনিচ্ছাকৃতভাবে এগুলোর চিন্তা চলে আসে তাহলে কি গুণাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

("তাশাহুদ পড়ার সময় বিরতি আছে" এই বিরতি আসলে কখন? বিষয়টি কমেন্ট বক্সে স্পষ্ট করলে ভালো হতো।)

(০২)
আপনার নামাজ আদায় হয়েছে। 
 "ইয়া" এবং "আইয়্যুহা" উভয়টিই মুনাদার হরফ তথা আহবান সূচক বাক্য। সুতরাং এক্ষেত্রে "ইয়া" যুক্ত করাটা অতিরিক্ত বলে গন্য হবে। 

তবে এতে নামাজের সমস্যা হবেনা। 

(০৩)
এক্ষেত্রেও নামাজ হয়ে যাবে।

(তবে নামাজে তিলাওয়াত,রুকু সেজদার তাসবিহ,তাশাহুদ ইত্যাদি পাঠের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে।)

(০৪)
আপনি নামাযের বাহিরে বাংলায় দু'আ করবেন, অথবা আপনি আপনার অন্তরে সেই বিশেষ বিষয়কে উপস্থিত রেখে মুজমাল দু'আ যাতে দুনিয়া আখেরাতের সকল প্রকার কল্যাণ রয়েছে,যেমন "রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ"  কুরআন-হাদীসে বর্ণিত এমন দু'আ করতে পারবেন।

নফল সালাতে বাংলায় দু'আ সম্পর্কে কেউ কেউ রুখসত দিয়ে থাকেন।

বিস্তারিত জানুনঃ   

নামাযের সেজদায় শুধুমাত্র কুরআন-হাদীসে বর্ণিত দু'আ গুলোই করা যাবে।
সেজদায় গিয়ে سبحان  ربي الأعلى 
ছাড়াও অন্যান্য দোয়া পড়া যাবে। সমস্যা নেই। কিন্তু দুনিয়াবি দোয়া বা আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় দুআ করা যাবে না।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদায় অনেক দোয়া পাঠ করতেনঃ

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَقُولُ فِى سُجُودِهِ « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ সেজদায় পড়তেন আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু”। {তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-১৩০৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৭৮, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১১১২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং-৬৭২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-১৯৩১}
আরো জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
মনে মনে বাংলায় দোয়া উচ্চারণ কিভাবে করা যায়,বিষয়টি অস্পষ্ট। 

আপনি নামাজের মধ্যে মনে মনে বাংলায় দোয়া করতে পারবেন,এতে নামাজের সমস্যা হবেনা। 

(০৫)
না,কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০৬)
এক্ষেত্রেও তাৎক্ষনিক সেই চিন্তা বাদ দিতে হবে,নতুবা গুনাহ হবে।

(০৭)
অনিচ্ছাকৃতভাবে এগুলোর চিন্তা চলে আসলে সেক্ষেত্রে সাথে সাথে সেই চিন্তা বাদ দিবেন,তাহলে গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...