আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
হাচি দেয়ার পর আলহামদুল্লিলাহ বলার পর জুদি সেটা অপর মানুষ সুনতে পায় তাহলে ইয়ারহামুকাল্লাহ তাকে এমন আওয়াজে বলতে হবে যাতে যিনি হাচি দিয়েছেন সে যেন সুনতে পায় আর এটা বলা ওয়াজিব এটা আমি সুনেছিলাম কিন্তু এখন জুদি এমন ঘটে যিনি হাচি দিয়েছেন তিনি অনেক দ্রুত জায়গা ছেরে চলে যান ইয়ারহামুকাল্লাহ শোনার আগেই  যেমন জুদি কোন বাইক এ থাকেন বা পাসে বসে ছিলেন হাচি দেয়ার পর আলহামদুল্লিলাহ বলে দ্রুত চলে গেলেন বা হাচি দাতা জুদি বধির হয় অর্থাৎ তার জুদি শোনার শক্তি না থাকে সেই ক্ষেত্রেও কি ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা ওয়াজিব হবে কি আর না বললে কি কোন গুনাহ হবে কি ?

1 Answer

0 votes
by (59,190 points)

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

 https://ifatwa.info/12526/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

হাঁচিদাতা হাঁচি দেবার পর পড়বে আলহামদুলিল্লাহ। আর যে ব্যক্তি শুনবে সে পড়বে (يَرْحَمُكَ اللَّهُ) “ইয়ারহামুকাল্লাহ”। ইয়ারহামুকাল্লাহ শুনার পর হাঁচিদাতা আবার পড়বে ( يَهْدِيكُمُ اللَّهُ، وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ) ইয়াহদীকুমুল্লাহু ওয়াওছলিহু বালাকুম”। আর যদি হাঁচিদাতা “আলহামদুলিল্লাহ” না বলে তাহলে “ইয়ারহামুকাল্লাহ” বলার বিধান নেই। ইচ্ছেকৃত হাইতোলা ভাল নয়। হাইকে যথা সম্ভব রুখে রাখার চেষ্টা করা উচিত। তবে যদি এসেই যায়, তাহলে মুখে হাত দিয়ে রাখবে। যাতে মুখ খোলা না থাকে। এটাই রাসূল সাঃ এর শিখানো পদ্ধতি।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ العُطَاسَ، وَيَكْرَهُ التَّثَاؤُبَ، فَإِذَا عَطَسَ فَحَمِدَ اللَّهَ، فَحَقٌّ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ سَمِعَهُ أَنْ يُشَمِّتَهُ، وَأَمَّا التَّثَاؤُبُ: فَإِنَّمَا هُوَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَرُدَّهُ مَا اسْتَطَاعَ، فَإِذَا قَالَ: هَا، ضَحِكَ مِنْهُ الشَّيْطَانُ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ পাক হাঁচি দেয়াকে পছন্দ করেন এবং হাই তোলাকে অপছন্দ করেন; সুতরাং তোমাদের কেউ হাঁচি দিলে এবং “আলহামদুলিল্লাহ” বললে এমন প্রত্যেক মুসলমানের উপর “ইয়ারহামুকাল্লাহ” বলা বাধ্যতামূলক হয়ে যায়, যে হাঁচিদাতার “আলহামদুলিল্লাহ” বলা শুনেছে। আর হাই তোলা হল শয়তানের প্রভাব দ্বারা কৃত। অতএব যখন তোমাদের কারো হাই আসে তখন যথাসাধ্য তা প্রতিরোধ করবে। কেননা, কেউ হাই তোললে অর্থাৎ মুখ হা করলে শয়তান বিদ্রুপের হাসি হাসে। {মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৮৫০৮, বুখারী, হাদীস নং-৬২২৩}

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ: الحَمْدُ لِلَّهِ، وَلْيَقُلْ لَهُ أَخُوهُ أَوْ صَاحِبُهُ: يَرْحَمُكَ اللَّهُ، فَإِذَا قَالَ لَهُ: يَرْحَمُكَ اللَّهُ، فَلْيَقُلْ: يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ হাঁচি দিলে সে যেন আলহামদুলিল্লাহ বলে এবং তার সঙ্গী মুসলমান ভাই অথবা বলেছেন সঙ্গী ব্যক্তি যেন “ইয়ারহামুকাল্লাহ” বলে জবাব দেয়। আর যখন জবাবদাতা হাঁচিদাতাকে “ইয়ারহামুকাল্লাহ” বলে, তখন হাঁচিদাতা যেন “ইয়াহদীকুমুল্লাহু ওয়াইয়ুছলিহু বালাকুম” বলে। {বুখারী, হাদীস নং-৬২২৪}

عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ، فَلْيُمْسِكْ بِيَدِهِ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ»

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কারো হাই আসে, তখন সে যেন নিজের হাত দ্বারা মুখ বন্ধ করে রাখে। নতুবা শয়তান তার মুখের ভিতরে  চলে যায়। {মুসলিম, হাদীস নং-২৯৯৫}

হাঁচি দেওয়ার পর হাঁচিদাতার জন্য উচ্চ স্বরে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা মুস্তাহাব। হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যখন হাঁচি দেয় তখন সে যেন আলহামদুলিল্লাহ বলে। এবং তার সাথী যেন উত্তরে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলে। যখন তার সাথী ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলবে তখন হাঁচিদাতা যেন উত্তরে ‘ইয়াহদিকুমুল্লাহু ওয়া ইউসলিহু বালাকুম’ বলে।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬২২৪ অন্য হাদীসে এসেছে, ইয়াহইয়া ইবনে আবী কাছির তার এক উস্তাদ থেকে বর্ণনা করেন, হাঁচিদাতার জন্য উচিত হল উচ্চস্বরে আলহামদুলিল্লাহ বলা, যাতে করে আশপাশের লোকেরা তা শুনতে পায়। আর ঐ ব্যক্তির আলহামদুলিল্লাহ বলার পর শ্রোতাদের জন্য জরুরি হল ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা। (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক, হাদীস : ১৯৬৮০; কিতাবুল আযকার পৃ. ৪৪১; তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ৪/২৪৭; রদ্দুল মুহতার ৬/৪১৪; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/৮৭) (সংগৃহিত)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

যেহেতু শ্রোতা হাঁতিদাতা থেকে “আলহামদুলিল্লাহ” শুনতে পেয়েছে বিধায় তার জন্য “ইয়ারহামুকাল্লাহ” বলা জরুরী। আলহামদুলিল্লাহ শোনার পর উত্তরে "ইয়ারহামুকাল্লাহ" উচ্চ আওয়াজে বলা ওয়াজিব নয়। আস্তে বা নিম্ন আওয়াজেও পড়তে পারে। কিন্তু উচ্চারণ না করে তবে মনে মনে বলা যাবে না। হাঁচিদাতা শুনতে পেলে ভালো। তবে সে বধির হওয়ার কারণে বা দ্রুত অন্যত্র প্রস্থান করার কারণে সে না শুনতে পেলেও কোন সমস্য নেই। কিন্তু তার হাঁচির উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...