আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
279 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। দয়া করে একটু পয়েন্ট করে উত্তর দিয়েন হুজুর। তাহলে বেশি ক্লিয়ার হবো হুজুর। মাফ করে দেন হুজুর।
আমার একটা হারাম রিলেশন ছিল। সেখানে আমি কোনোদিন কাউকে সাক্ষী রেখে ইজাব কবুল এর মত কিছু বলিনি। কিন্তু প্রায় সময় ই আমরা বিয়ে নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। রেস্টুরেন্টে এই বেশি দেখা করতাম। এখন আমরা আলোচনার সময় ইজাব কবুল এর মত কোনো কথা বলে ফেলেছিলাম কিনা, আশে পাশের মানুষ শুনেছিল কিনা আমার মনে পড়ে না। যেহেতু সাক্ষী নিয়ে কিছু বলি নাই। (আমাকে বিয়ে করো, আচ্ছা বিয়ে করলাম)  এমন বলেছিলাম কিনা মনে নাই।  একবার মনে হয় কিছু বলেছি, আবার মনে হয় কিছুই বলিনি। আপনাকে আগে একবার এই প্রশ্ন করার পরে, আপনি আমাকে বলেছিলেন যদি মনের ভুলে ইজাব কবুল হয়ে থাকে তাহলে তালাক চাইতে হবে তার কাছে। কিন্তু হুজুর আমার তার সাথে যোগাযোগ করা এখন সম্ভব না। আর যোগাযোগ করলে জিনিস টা হয়তো আরোও ছড়বে খারাপ হবে। এদিকে এসব ভেবে আমার নতুন করে বিয়ে করতেও মন চায় না। বিয়ের কথা ভাবলেই খারাপ লাগে। আমি অনেক কষ্টে আছি হুজুর।
এখন হুজুর আমার এক্স বয়ফ্রেন্ড  সে নিজেই ব্রেকআপ করে চলে গিয়েছিল। সে নিজে থেকেই  ম্যাসেজ এ লিখেছিলো যে, আমার সাথে আর থাকতে চায় না। আমি যেন মেনে নেই এটা। সে সব সময় বলতো যে -" আমি ফিরবো না কোনোদিন। তুমি আশা রাইখো না। অপেক্ষা করে লাভ নাই, আমি যদি পারতাম তাহলে তোমার সাথে থাকতাম, আমি ব্রেকাপ করে দিছি, আমাকে মাফ করে দাও আমার কিছু করার নাই, আমি ফিরবো না" এই কথাটাই অনেক বার লিখেছে ম্যাসেজ এ  , ফোনে বা সরাসরি এগুলো কম বলেছিল। ম্যাসেজ এই লিখতো বেশি।  আসলে হুজুর সে চলে যাওয়ার জন্যই আমাকে এসব বলতো কারন সে অন্য মেয়ের উপর দুর্বল ছিল। এর পরে থেকে তার সাথে আমার ২বছর উপরে ধরে কোনো কথা হয় না। আমি এই হারাম এর জন্য অনেক অনুতপ্ত হুজুর।
১))- এখন আমার প্রশ্ন হলো হুজুর। সে যে এমন করে ম্যাসেজ এ লিখেছিল - ব্রেকাপ করতে চায়৷ আর ফিরবে না কোনোদিন,আমি তাকে মানাইতে পারবো না কোনোভাবে। মানে সে ই আমাকে অনেক কিছু বলে চলে গিয়েছিল। সে থাকবে না আমার সাথে এটাই মুল কথা। এখন এগুলা কি কেনায়া বাক্য হুজুর?
কেনায়া বাক্য হলে তো এমনিতেও তার সাথে সব শেষ হয়ে যাওয়ার কথা আমার। যদি তার সাথে আমার বিয়ের মত কিছু হয়েও থাকে, আদৌ আমি জানিনা ইজাব কবুল এর মত আমরা কথায় কথায় এমন বলেছিলাম কিনা। কারন কোনোদিন বিয়ে করবো এমন ভেবে সাক্ষী রাখি নি।
২))  ২প্রশ্ন---- তার পরেও কি আমার তার কাছে তালাক চাইতে হবে হুজুর? নাকি এগুলা কথার কারনে সব শেষ হয়ে গেছে যদি বিয়ের মত কিছু হয়ে থাকে? এসব কেনায়া বাক্য বলার  পরেও কি এক্স এর কাছে গিয়ে তালাক চাইতে হবে আমার ?

৩) ম্যাসেজ এ কেনায়া বাক্য লিখে দেয়ার কারনে কি আমার এক্স বয়ফ্রেন্ড এর সাথে আমার সব শেষ হয়ে গেছে নাকি এগুলো মুখে উচ্চারণ করতে হবে?
আমি অনেক অনুতপ্ত হুজুর। আল্লাহ আমাকে মাফ করুক।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে,
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)ব্রেকাপ করতে চায়৷ আর ফিরবে না কোনোদিন,আমি তাকে মানাইতে পারবো না কোনোভাবে। 
এখানে কেনায়া তালাকের প্রশ্ন আসা অবান্তর ও অবাস্তব। কেননা বিয়েই তো হয়নি, তাই তালাকের প্রশ্নই আসতে পারে না।

(২) যেহেতু এটা নিশ্চিত যে, বিয়েই হয়নি, তাই তালাকের চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসতে পারে না। 

(৩) তালাক চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।কেননা নিশ্চিত যে, বিয়ে হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...