জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীস টি হলোঃ
أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ على قَوْمٍ لِيَجِدُوا من رِيحِهَا فَهِيَ زَانِيَةٌ.
.
এই জাতীয় আরো হাদীস এসেছেঃ
,
আবু দাউদ শরীফের ৪১৭৩ নং হাদীসে এসেছে
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ثَابِتُ بْنُ عُمَارَةَ، حَدَّثَنِي غُنَيْمُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا اسْتَعْطَرَتِ الْمَرْأَةُ، فَمَرَّتْ عَلَى الْقَوْمِ لِيَجِدُوا رِيحَهَا، فَهِيَ كَذَا وَكَذَا قَالَ قَوْلًا شَدِيدًا
আবূ মূসা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নারীরা যখন সুগন্ধি লাগিয়ে জনসমাজকে এর গন্ধ বিলানোর জন্য তাদের পাশ দিয়ে যাতায়াত করে, সে তখন এরূপ এরূপ। একথা বলে তিনি একটি কঠোর মন্তব্য করেন।
,
তিরমিজি শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ عِمَارَةَ الْحَنَفِيِّ، عَنْ غُنَيْمِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّ عَيْنٍ زَانِيَةٌ وَالْمَرْأَةُ إِذَا اسْتَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ بِالْمَجْلِسِ فَهِيَ كَذَا وَكَذَا يَعْنِي زَانِيَةً " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিটি চোখ ব্যভিচারী। কোন মহিলা যদি আতর লাগিয়ে কোন মজলিসের পাশ দিয়ে যায় তবে সে হল এমন অর্থাৎ ব্যভিচারিণী।
,
(আত্ তিরমিযী ২৭৮৬, আবূ দাঊদ ৪১৭৩, সহীহ আত্ তারগীব ২০১৯, সুনান আল কুবরা ৯৪২২, ইবনু খুযায়মাহ্ ১৬৪১, ইবনু হিব্বান ৪৪২৪।)
এই হাদীসের ব্যাখ্যা: (كُلُّ عَيْنٍ زَانِيَةٌ) ‘‘সকল চক্ষুই যিনাকারী’’ অর্থাৎ যে চোখ আযনাবী তথা যাকে দেখা বৈধ নয় তার দিকে শাহওয়াতের তথা যৌন কামনার দৃষ্টিতে তাকায় সে চোখ যিনাকারী। কেননা চোখ দ্বারা তাকানোটাই যিনা। ‘‘মহিলা যখন সুগন্ধি লাগিয়ে পুরুষের মাজলিসের নিকট দিয়ে গমন করে তখন সে মহিলা যিনাকারিণী। কেননা উক্ত মহিলা সুগন্ধি লাগিয়ে পুরুষের যৌন কামনাকে উসকে দিয়েছে। যা তার দিকে তাকাতে উদ্বুদ্ধ করেছে। আর যে ব্যক্তি তার দিকে তাকালো সে চোখের যিনা করল। উক্ত মহিলাই এ যিনার কারণ হওয়ার ফলে ঐ মহিলা যিনার অপরাধে অপরাধী। তাই এ যিনার পাপও তার উপর বর্তাবে।
,
কোনো প্রকার সেন্ট বা পারফিউমড্ ক্রিম অথবা পাউডার ব্যবহার করে বাইরে পুরুষদের সম্মুখে (পর্দার সাথে হলেও) যাওয়া ব্যভিচারের নিকটবর্তী হওয়ার এক ভূমিকা। যেহেতু যুবকের প্রবৃত্তি এই যে, মহিলার নিকট হতে সুগন্ধ পেলে তার যৌন-চেতনা উত্তেজনায় পরিণত হয়।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,এই হাদীস সুগন্ধি ব্যবহার করে যেই নারী বাহিরে বের হয়,তার ক্ষেত্রে।
,
চাই সে পর্দা করেই বের হোক,বা বেপর্দা বের হোক।
সুগন্ধি মেখে বের হলেই সে এই হাদীসের অন্তর্ভুক্ত হবে।
অর্থাৎ কেহ পর্দা করে বের হলেও সে যদি সুগন্ধি মেখে বের হয়,তাহলে সে এই হাদীসের অন্তর্ভুক্ত হবে।
,
এখানে শুধু বেপর্দা হওয়ার কারনে নারীকে যেনাকারিনী বা ব্যভিচারী বলা হয়নি।
,
তবে বেপর্দা নারী যারা এমন পোশাক পড়ে বের হয়,যাহা যুবকদেরকে নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করে,তারা জাহান্নামী।
,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا، قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ، وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلَاتٌ مَائِلَاتٌ، رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ، لَا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ، وَلَا يَجِدْنَ رِيحَهَا، وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا»
“দুই শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামের অধিবাসী যাদেরকে আমি দেখিনি, তারা ভবিষ্যতে আসবে প্রথম শ্রেণী অত্যাচারীর দল যাদের সঙ্গে থাকবে গরুর লেজের মত চাবুক যদ্ধারা তারা লোকদেরকে প্রহার করবে। আর দ্বিতীয় শ্রেণী হল সে নারীর দল যারা কাপড়তো পরিধান করবে কিন্তু তারা উলঙ্গ, নিজেরা অন্যদের প্রতি আকৃষ্ট এবং অন্যদেরকেও তাদের প্রতি আকৃষ্ট করবে, যাদের মস্তক [খোপা বাধার কারণে] উটের হেলে যাওয়া কুঁজের মত হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তার গন্ধও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুগন্ধ এত এত দূরবর্তী স্থান থেকেও পাওয়া যাবে”।
(মুসলিম: ২১২৮)